alt

সম্পাদকীয়

বাঁশখালীর বাঁশের সেতু সংস্কার করুন

: শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১

দেশের যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে। সড়ক ব্যবস্থার প্রসার ঘটছে। সেতু নির্মাণ হচ্ছে। পদ্মা সেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। আবার রাস্তা ও জনমানবহীন অনেক অপ্রয়োজনীয় জায়গায়ও সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সড়কের শেষ মাথায়, বিলের মধ্যে, এমনকি দুর্গম পাহাড়েও কোন প্রয়োজন ছাড়াই নির্মাণ করা হয়েছে এসব সেতু। অথচ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়ন ও শীলকূপ ইউনিয়নের মাঝামাঝি জলিয়াখালী জলকদর খালের উপর একটি পাকা সেতু নেই! দুই ইউনিয়নের হাজারো বাসিন্দাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয়ভাবে বাঁশের ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে।

গত কয়েক বছর ধরে জোয়ারের পানির তোড় এবং ভাঁটার স্রোতের কারণে সাঁকোটি নড়বড়ে হয়ে গেছে। ২-৩ জনের বেশি লোক উঠলেই দুলতে থাকে সাঁকোটি। এ নিয়ে সংবাদ-এ আজ শনিবার সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, প্রতিদিন জেলেদের কাছ থেকে সামুদ্রিক মাছ কেনার জন্য সরল, জলদীসহ বিভিন্ন এলাকার শত শত ব্যবসায়ীকে শীলকূপ মনকিচর ও গন্ডামারা যেতে হয় এ সাঁকো পার হয়ে। পাশাপাশি সরল এলাকার বহু শিক্ষার্থীকে পড়াশোনার জন্য শীলকূপ, মনকিচরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকোটি ব্যবহার করতে হয়।

সরল-মনকিচর, গন্ডামারার বাসিন্দাদের বাঁশখালী উপজেলা সদর ও চট্টগ্রাম শহরে যেতেও এ সাঁকোটি ব্যবহার করতে হয়। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে হয় এসব এলাকার কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে। তখন বাঁশের মাচায় করে বাঁশের সাঁকো দিয়ে বাঁশখালী হাসপাতালে নিয়ে যেতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয় রোগীর স্বজনদের। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষকরা তাদের পণ্য বাজারে নিয়ে যেতে পারেন না। ফলে তারা বাধ্য হয়ে কম মূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রি করেন।

আমরা চাই, বাঁশখালীর দুই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা মসৃণ হোক। সাঁকো পারাপারে স্থানীয় বাসিন্দাদের ঝুঁকি দূর করতে হবে। সেখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা গেলে ভালো হয়। বাঁশখালী উপজেলা প্রকৌশলী জানিয়েছেন, সেখানের বাঁশের সাঁকো ভেঙে সেতু নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই একটা সুরাহা হযে যাবে। এটা একটা ভালো খবর। আমরা তার কথায় আশ্বস্ত হতে চাই।

আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আবেদনটি বিবেচনা করে দ্রুতই একটি সমীক্ষা করে সেতু নির্মাণের জন্য প্রকল্প হাতে নেবে। তবে এলাকার মানুষ যেন ঝুঁকিমুক্তভাবে চলাচল করতে পারেন সেজন্য জরুরি ভিত্তিতে বাঁশের সাঁকোটি পুনর্নির্মাণ বা সংস্কার করতে হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

tab

সম্পাদকীয়

বাঁশখালীর বাঁশের সেতু সংস্কার করুন

শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১

দেশের যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে। সড়ক ব্যবস্থার প্রসার ঘটছে। সেতু নির্মাণ হচ্ছে। পদ্মা সেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। আবার রাস্তা ও জনমানবহীন অনেক অপ্রয়োজনীয় জায়গায়ও সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সড়কের শেষ মাথায়, বিলের মধ্যে, এমনকি দুর্গম পাহাড়েও কোন প্রয়োজন ছাড়াই নির্মাণ করা হয়েছে এসব সেতু। অথচ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়ন ও শীলকূপ ইউনিয়নের মাঝামাঝি জলিয়াখালী জলকদর খালের উপর একটি পাকা সেতু নেই! দুই ইউনিয়নের হাজারো বাসিন্দাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয়ভাবে বাঁশের ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে।

গত কয়েক বছর ধরে জোয়ারের পানির তোড় এবং ভাঁটার স্রোতের কারণে সাঁকোটি নড়বড়ে হয়ে গেছে। ২-৩ জনের বেশি লোক উঠলেই দুলতে থাকে সাঁকোটি। এ নিয়ে সংবাদ-এ আজ শনিবার সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, প্রতিদিন জেলেদের কাছ থেকে সামুদ্রিক মাছ কেনার জন্য সরল, জলদীসহ বিভিন্ন এলাকার শত শত ব্যবসায়ীকে শীলকূপ মনকিচর ও গন্ডামারা যেতে হয় এ সাঁকো পার হয়ে। পাশাপাশি সরল এলাকার বহু শিক্ষার্থীকে পড়াশোনার জন্য শীলকূপ, মনকিচরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকোটি ব্যবহার করতে হয়।

সরল-মনকিচর, গন্ডামারার বাসিন্দাদের বাঁশখালী উপজেলা সদর ও চট্টগ্রাম শহরে যেতেও এ সাঁকোটি ব্যবহার করতে হয়। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে হয় এসব এলাকার কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে। তখন বাঁশের মাচায় করে বাঁশের সাঁকো দিয়ে বাঁশখালী হাসপাতালে নিয়ে যেতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয় রোগীর স্বজনদের। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষকরা তাদের পণ্য বাজারে নিয়ে যেতে পারেন না। ফলে তারা বাধ্য হয়ে কম মূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রি করেন।

আমরা চাই, বাঁশখালীর দুই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা মসৃণ হোক। সাঁকো পারাপারে স্থানীয় বাসিন্দাদের ঝুঁকি দূর করতে হবে। সেখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা গেলে ভালো হয়। বাঁশখালী উপজেলা প্রকৌশলী জানিয়েছেন, সেখানের বাঁশের সাঁকো ভেঙে সেতু নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই একটা সুরাহা হযে যাবে। এটা একটা ভালো খবর। আমরা তার কথায় আশ্বস্ত হতে চাই।

আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আবেদনটি বিবেচনা করে দ্রুতই একটি সমীক্ষা করে সেতু নির্মাণের জন্য প্রকল্প হাতে নেবে। তবে এলাকার মানুষ যেন ঝুঁকিমুক্তভাবে চলাচল করতে পারেন সেজন্য জরুরি ভিত্তিতে বাঁশের সাঁকোটি পুনর্নির্মাণ বা সংস্কার করতে হবে।

back to top