দেশের যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে। সড়ক ব্যবস্থার প্রসার ঘটছে। সেতু নির্মাণ হচ্ছে। পদ্মা সেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। আবার রাস্তা ও জনমানবহীন অনেক অপ্রয়োজনীয় জায়গায়ও সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সড়কের শেষ মাথায়, বিলের মধ্যে, এমনকি দুর্গম পাহাড়েও কোন প্রয়োজন ছাড়াই নির্মাণ করা হয়েছে এসব সেতু। অথচ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়ন ও শীলকূপ ইউনিয়নের মাঝামাঝি জলিয়াখালী জলকদর খালের উপর একটি পাকা সেতু নেই! দুই ইউনিয়নের হাজারো বাসিন্দাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয়ভাবে বাঁশের ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে।
গত কয়েক বছর ধরে জোয়ারের পানির তোড় এবং ভাঁটার স্রোতের কারণে সাঁকোটি নড়বড়ে হয়ে গেছে। ২-৩ জনের বেশি লোক উঠলেই দুলতে থাকে সাঁকোটি। এ নিয়ে সংবাদ-এ আজ শনিবার সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, প্রতিদিন জেলেদের কাছ থেকে সামুদ্রিক মাছ কেনার জন্য সরল, জলদীসহ বিভিন্ন এলাকার শত শত ব্যবসায়ীকে শীলকূপ মনকিচর ও গন্ডামারা যেতে হয় এ সাঁকো পার হয়ে। পাশাপাশি সরল এলাকার বহু শিক্ষার্থীকে পড়াশোনার জন্য শীলকূপ, মনকিচরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকোটি ব্যবহার করতে হয়।
সরল-মনকিচর, গন্ডামারার বাসিন্দাদের বাঁশখালী উপজেলা সদর ও চট্টগ্রাম শহরে যেতেও এ সাঁকোটি ব্যবহার করতে হয়। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে হয় এসব এলাকার কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে। তখন বাঁশের মাচায় করে বাঁশের সাঁকো দিয়ে বাঁশখালী হাসপাতালে নিয়ে যেতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয় রোগীর স্বজনদের। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষকরা তাদের পণ্য বাজারে নিয়ে যেতে পারেন না। ফলে তারা বাধ্য হয়ে কম মূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রি করেন।
আমরা চাই, বাঁশখালীর দুই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা মসৃণ হোক। সাঁকো পারাপারে স্থানীয় বাসিন্দাদের ঝুঁকি দূর করতে হবে। সেখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা গেলে ভালো হয়। বাঁশখালী উপজেলা প্রকৌশলী জানিয়েছেন, সেখানের বাঁশের সাঁকো ভেঙে সেতু নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই একটা সুরাহা হযে যাবে। এটা একটা ভালো খবর। আমরা তার কথায় আশ্বস্ত হতে চাই।
আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আবেদনটি বিবেচনা করে দ্রুতই একটি সমীক্ষা করে সেতু নির্মাণের জন্য প্রকল্প হাতে নেবে। তবে এলাকার মানুষ যেন ঝুঁকিমুক্তভাবে চলাচল করতে পারেন সেজন্য জরুরি ভিত্তিতে বাঁশের সাঁকোটি পুনর্নির্মাণ বা সংস্কার করতে হবে।
শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১
দেশের যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে। সড়ক ব্যবস্থার প্রসার ঘটছে। সেতু নির্মাণ হচ্ছে। পদ্মা সেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। আবার রাস্তা ও জনমানবহীন অনেক অপ্রয়োজনীয় জায়গায়ও সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সড়কের শেষ মাথায়, বিলের মধ্যে, এমনকি দুর্গম পাহাড়েও কোন প্রয়োজন ছাড়াই নির্মাণ করা হয়েছে এসব সেতু। অথচ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়ন ও শীলকূপ ইউনিয়নের মাঝামাঝি জলিয়াখালী জলকদর খালের উপর একটি পাকা সেতু নেই! দুই ইউনিয়নের হাজারো বাসিন্দাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয়ভাবে বাঁশের ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে।
গত কয়েক বছর ধরে জোয়ারের পানির তোড় এবং ভাঁটার স্রোতের কারণে সাঁকোটি নড়বড়ে হয়ে গেছে। ২-৩ জনের বেশি লোক উঠলেই দুলতে থাকে সাঁকোটি। এ নিয়ে সংবাদ-এ আজ শনিবার সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, প্রতিদিন জেলেদের কাছ থেকে সামুদ্রিক মাছ কেনার জন্য সরল, জলদীসহ বিভিন্ন এলাকার শত শত ব্যবসায়ীকে শীলকূপ মনকিচর ও গন্ডামারা যেতে হয় এ সাঁকো পার হয়ে। পাশাপাশি সরল এলাকার বহু শিক্ষার্থীকে পড়াশোনার জন্য শীলকূপ, মনকিচরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকোটি ব্যবহার করতে হয়।
সরল-মনকিচর, গন্ডামারার বাসিন্দাদের বাঁশখালী উপজেলা সদর ও চট্টগ্রাম শহরে যেতেও এ সাঁকোটি ব্যবহার করতে হয়। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে হয় এসব এলাকার কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে। তখন বাঁশের মাচায় করে বাঁশের সাঁকো দিয়ে বাঁশখালী হাসপাতালে নিয়ে যেতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয় রোগীর স্বজনদের। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষকরা তাদের পণ্য বাজারে নিয়ে যেতে পারেন না। ফলে তারা বাধ্য হয়ে কম মূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রি করেন।
আমরা চাই, বাঁশখালীর দুই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা মসৃণ হোক। সাঁকো পারাপারে স্থানীয় বাসিন্দাদের ঝুঁকি দূর করতে হবে। সেখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা গেলে ভালো হয়। বাঁশখালী উপজেলা প্রকৌশলী জানিয়েছেন, সেখানের বাঁশের সাঁকো ভেঙে সেতু নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই একটা সুরাহা হযে যাবে। এটা একটা ভালো খবর। আমরা তার কথায় আশ্বস্ত হতে চাই।
আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আবেদনটি বিবেচনা করে দ্রুতই একটি সমীক্ষা করে সেতু নির্মাণের জন্য প্রকল্প হাতে নেবে। তবে এলাকার মানুষ যেন ঝুঁকিমুক্তভাবে চলাচল করতে পারেন সেজন্য জরুরি ভিত্তিতে বাঁশের সাঁকোটি পুনর্নির্মাণ বা সংস্কার করতে হবে।