আরও পাঁচটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ রোববার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে ৭৭৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুতের আওতায় এসেছে দেশের ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ। জানা গেছে, দেশে এখন ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ ২৫ হাজার ২৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। গত ১২ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার ১১৯টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে যেগুলো সম্মিলিতভাবে ২০ হাজার ২৯৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। সরকার ২০২১ সালের মধ্যে দেশে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে দেশে বিদ্যুৎ সংকট চরম আকার ধারণ করেছিল। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার অগ্রাধিকারভিত্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে। গত এক যুগে এক্ষেত্রে তাদের অর্জন লক্ষ্যযোগ্য। যদিও রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
উৎপাদন সক্ষমতা বাড়লেও বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনে দুর্বলতা রয়ে গেছে। যে কারণে ভোক্তা পর্যায়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। এখনো লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি পোহাতে হয় মানুষকে। ভোল্টেজ ও ফ্রিকোয়েন্সির সমস্যাও ভোগাচ্ছে। সমস্যাগুলো সরকারও জানে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, আগামী তিন বছরের মধ্যে ভোক্তা পর্যায়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
সরকারকে সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনের উন্নয়নে জোর দিতে হবে। এজন্য এ খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো জরুরি। আশার কথা হচ্ছে, বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১৩ শতাংশ। আমরা বলতে চাই, শুধু বরাদ্দ বাড়ানোই যথেষ্ট নয়। দক্ষতার সঙ্গে ব্যয় করাও জরুরি। সঞ্চালন ও বিতরণের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যা দ্রুত দূর করে সব স্তরের গ্রাহকদের মানসম্মত সেবা দেয়া হবে সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।
রোববার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১
আরও পাঁচটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ রোববার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে ৭৭৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুতের আওতায় এসেছে দেশের ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ। জানা গেছে, দেশে এখন ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ ২৫ হাজার ২৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। গত ১২ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার ১১৯টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে যেগুলো সম্মিলিতভাবে ২০ হাজার ২৯৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। সরকার ২০২১ সালের মধ্যে দেশে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে দেশে বিদ্যুৎ সংকট চরম আকার ধারণ করেছিল। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার অগ্রাধিকারভিত্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে। গত এক যুগে এক্ষেত্রে তাদের অর্জন লক্ষ্যযোগ্য। যদিও রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
উৎপাদন সক্ষমতা বাড়লেও বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনে দুর্বলতা রয়ে গেছে। যে কারণে ভোক্তা পর্যায়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। এখনো লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি পোহাতে হয় মানুষকে। ভোল্টেজ ও ফ্রিকোয়েন্সির সমস্যাও ভোগাচ্ছে। সমস্যাগুলো সরকারও জানে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, আগামী তিন বছরের মধ্যে ভোক্তা পর্যায়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
সরকারকে সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনের উন্নয়নে জোর দিতে হবে। এজন্য এ খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো জরুরি। আশার কথা হচ্ছে, বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১৩ শতাংশ। আমরা বলতে চাই, শুধু বরাদ্দ বাড়ানোই যথেষ্ট নয়। দক্ষতার সঙ্গে ব্যয় করাও জরুরি। সঞ্চালন ও বিতরণের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যা দ্রুত দূর করে সব স্তরের গ্রাহকদের মানসম্মত সেবা দেয়া হবে সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।