alt

সম্পাদকীয়

খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যবিধি যেন মেনে চলা হয়

: সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

অপেক্ষার প্রহর ফুরিয়েছে। স্কুল-কলেজ খুলেছে। প্রায় দেড় বছর ধরে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফেরার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল। অবশেষে দীর্ঘ ৫৪৩ দিন পর রোববার স্কুল-কলেজ খুলেছে। উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে শুরু করেছে।

তবে বন্যাকবলিত অনেক এলাকার শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না। ঝরেপড়া ছেলেমেয়েদের হয়তো আর কখনই বিদ্যালয়ের আঙিনায় দেখা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে এখনও সময় লাগবে। প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা হয়নি।

শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরেছে। সীমিত আকারে হলেও শ্রেণীকক্ষে প্রত্যক্ষ পাঠদান শুরু হয়েছে। এটা ভালো খবর। আমরা আশা করব, ধীরে ধীরে পূর্ণাঙ্গ পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে। সবস্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। বিশেষ করে কিন্ডারগার্টেনগুলো খোলা নানান কারণেই জরুরি।

স্বাভাবিক পাঠদান কার্যক্রমে ফিরতে হলে মহামারী করোনাকে প্রতিরোধ করতে হবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধের কাজটি করতে হবে। এজন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে সবাইকে। স্কুল-কলেজ খোলা বা চালু রাখার ক্ষেত্রে সরকার ১৯ দফা যে নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো সংশ্লিষ্টদের কঠোরভাবে মানতে হবে। বিশেষ করে স্কুলে অভিভাবকরা যেন ভিড় না করেন, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে অভিভাবকরা সচেতনতার পরিচয় দেবেন সেটাই কাম্য। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি তাদেরও মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো জরুরি স্বাস্থ্যবিধিগুলো নিশ্চিত করতে হবে।

করোনার সংক্রমণ আবারও বাড়লে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বে। স্কুল-কলেজও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সরকার এ বিষয়ে স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছে। কাজেই গোড়া থেকেই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের কারও করোনার উপসর্গ দেখা দিলে সহজে করোনার টেস্ট করানোর ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা চাই, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরুক।

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

tab

সম্পাদকীয়

খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যবিধি যেন মেনে চলা হয়

সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

অপেক্ষার প্রহর ফুরিয়েছে। স্কুল-কলেজ খুলেছে। প্রায় দেড় বছর ধরে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফেরার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল। অবশেষে দীর্ঘ ৫৪৩ দিন পর রোববার স্কুল-কলেজ খুলেছে। উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে শুরু করেছে।

তবে বন্যাকবলিত অনেক এলাকার শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না। ঝরেপড়া ছেলেমেয়েদের হয়তো আর কখনই বিদ্যালয়ের আঙিনায় দেখা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে এখনও সময় লাগবে। প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা হয়নি।

শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরেছে। সীমিত আকারে হলেও শ্রেণীকক্ষে প্রত্যক্ষ পাঠদান শুরু হয়েছে। এটা ভালো খবর। আমরা আশা করব, ধীরে ধীরে পূর্ণাঙ্গ পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে। সবস্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। বিশেষ করে কিন্ডারগার্টেনগুলো খোলা নানান কারণেই জরুরি।

স্বাভাবিক পাঠদান কার্যক্রমে ফিরতে হলে মহামারী করোনাকে প্রতিরোধ করতে হবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধের কাজটি করতে হবে। এজন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে সবাইকে। স্কুল-কলেজ খোলা বা চালু রাখার ক্ষেত্রে সরকার ১৯ দফা যে নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো সংশ্লিষ্টদের কঠোরভাবে মানতে হবে। বিশেষ করে স্কুলে অভিভাবকরা যেন ভিড় না করেন, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে অভিভাবকরা সচেতনতার পরিচয় দেবেন সেটাই কাম্য। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি তাদেরও মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো জরুরি স্বাস্থ্যবিধিগুলো নিশ্চিত করতে হবে।

করোনার সংক্রমণ আবারও বাড়লে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বে। স্কুল-কলেজও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সরকার এ বিষয়ে স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছে। কাজেই গোড়া থেকেই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের কারও করোনার উপসর্গ দেখা দিলে সহজে করোনার টেস্ট করানোর ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা চাই, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরুক।

back to top