alt

সম্পাদকীয়

রোহিঙ্গাদের কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট, এখনই ব্যবস্থা নিন

: সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

মায়ানমার সেনাবাহিনীর নিপীড়নের শিকার হয়ে রোহিঙ্গারা প্রথম বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে ১৯৭৮ সালে। ওই বছর প্রায় দুই লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়া হয়। ২০১৭ সালের আগপর্যন্ত এর সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় চার লাখে। এরপর ২০১৭ সালের আগস্টের পরের কয়েক মাসে বাংলাদেশে এসেছে আরও সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে বাংলাদেশে। মানাবিক কারণে তাদের আশ্রয় দেয়া হয়। কিন্তু বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গারা জাতীয় পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্ট নিচ্ছে। এগুলো প্রায়ই গণমাধ্যমে আসে। গতকাল রোববার সংবাদ-এ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কক্সবাজার পৌরসভার একটি ওয়ার্ডের হাজারখানেক রোহিঙ্গার রয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড)। তাদের অনেকেরই পাসপোর্টও আছে। বাংলাদেশি সেজে বিদেশ পাড়ি দিয়েছে বহু রোহিঙ্গা। একটি ওয়ার্ডের চিত্রই যদি এমন হয় তাহলে সামগ্রিক চিত্র কী, সেটা ভাববার বিষয়। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে ৫৫ হাজার রোহিঙ্গা এনআইডি নিয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। এ বিষয়ে দুদক মামলাও দায়ের করেছে। রোহিঙ্গারা এনআইডি-পাসপোর্ট পেলে তাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া জটিল হতে পারে।

রোহিঙ্গারা নিজ দেশে জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তারা রাখাইনে যে পরিস্থিতির শিকার হয়েছে সেজন্য তাদের প্রতি আমাদের সহানুভূতি রয়েছে। সমস্যা হয়েছে, এ দেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের একটি অংশ পাহাড় কাটা থেকে শুরু করে ছিনতাই, হত্যা, ধর্ষণসহ নানান অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। তাদের উপস্থিতিতে কক্সবাজারের প্রাণ-প্রকৃতিও ইতোমধ্যে ধ্বংসের মুখে পতিত হয়েছে। বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে যারা বিদেশ যাচ্ছে তাদের অনেকেই সেখানে নানান অপরাধমূলক কর্মকা-ে জড়াচ্ছে। সে ক্ষেত্রে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। আবার প্রকৃত বাংলাদেশিরাও বিদেশ যাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী হওয়ার কারণে মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিভিন্ন সময় অনেক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

রোহিঙ্গাদের কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট গেল কীভাবে, সেটা একটা প্রশ্ন। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় একটি চক্র টাকার বিনিময়ে তাদের হাতে এগুলো তুলে দিয়েছে। এর সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ স্থানীয় কিছু জনপ্রতিনিধিও জড়িত বলে অভিযোগ মেলে।

রোহিঙ্গারা যেন কোনভাবেই জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট না পায় সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে। যারা তাদের হাতে এগুলো তুলে দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ইতোমধ্যে যেসব রোহিঙ্গার হাতে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট রয়েছে সেগুলো অবশ্যই সংগ্রহ করে ধ্বংস করতে হবে, যাতে এগুলোর অপব্যবহার না হয়। ভবিষ্যতেও তাদের হাতে যেন এগুলো না যায় সেজন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নজরদারি জোরদার করতে হবে।

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

রোহিঙ্গাদের কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট, এখনই ব্যবস্থা নিন

সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

মায়ানমার সেনাবাহিনীর নিপীড়নের শিকার হয়ে রোহিঙ্গারা প্রথম বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে ১৯৭৮ সালে। ওই বছর প্রায় দুই লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়া হয়। ২০১৭ সালের আগপর্যন্ত এর সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় চার লাখে। এরপর ২০১৭ সালের আগস্টের পরের কয়েক মাসে বাংলাদেশে এসেছে আরও সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে বাংলাদেশে। মানাবিক কারণে তাদের আশ্রয় দেয়া হয়। কিন্তু বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গারা জাতীয় পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্ট নিচ্ছে। এগুলো প্রায়ই গণমাধ্যমে আসে। গতকাল রোববার সংবাদ-এ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কক্সবাজার পৌরসভার একটি ওয়ার্ডের হাজারখানেক রোহিঙ্গার রয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড)। তাদের অনেকেরই পাসপোর্টও আছে। বাংলাদেশি সেজে বিদেশ পাড়ি দিয়েছে বহু রোহিঙ্গা। একটি ওয়ার্ডের চিত্রই যদি এমন হয় তাহলে সামগ্রিক চিত্র কী, সেটা ভাববার বিষয়। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে ৫৫ হাজার রোহিঙ্গা এনআইডি নিয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। এ বিষয়ে দুদক মামলাও দায়ের করেছে। রোহিঙ্গারা এনআইডি-পাসপোর্ট পেলে তাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া জটিল হতে পারে।

রোহিঙ্গারা নিজ দেশে জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তারা রাখাইনে যে পরিস্থিতির শিকার হয়েছে সেজন্য তাদের প্রতি আমাদের সহানুভূতি রয়েছে। সমস্যা হয়েছে, এ দেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের একটি অংশ পাহাড় কাটা থেকে শুরু করে ছিনতাই, হত্যা, ধর্ষণসহ নানান অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। তাদের উপস্থিতিতে কক্সবাজারের প্রাণ-প্রকৃতিও ইতোমধ্যে ধ্বংসের মুখে পতিত হয়েছে। বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে যারা বিদেশ যাচ্ছে তাদের অনেকেই সেখানে নানান অপরাধমূলক কর্মকা-ে জড়াচ্ছে। সে ক্ষেত্রে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। আবার প্রকৃত বাংলাদেশিরাও বিদেশ যাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী হওয়ার কারণে মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিভিন্ন সময় অনেক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

রোহিঙ্গাদের কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট গেল কীভাবে, সেটা একটা প্রশ্ন। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় একটি চক্র টাকার বিনিময়ে তাদের হাতে এগুলো তুলে দিয়েছে। এর সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ স্থানীয় কিছু জনপ্রতিনিধিও জড়িত বলে অভিযোগ মেলে।

রোহিঙ্গারা যেন কোনভাবেই জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট না পায় সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে। যারা তাদের হাতে এগুলো তুলে দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ইতোমধ্যে যেসব রোহিঙ্গার হাতে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট রয়েছে সেগুলো অবশ্যই সংগ্রহ করে ধ্বংস করতে হবে, যাতে এগুলোর অপব্যবহার না হয়। ভবিষ্যতেও তাদের হাতে যেন এগুলো না যায় সেজন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নজরদারি জোরদার করতে হবে।

back to top