দেশের ২২টি মহাসড়কে থ্রি-হুইলার অটোরিকশা, অটোটেম্পোসহ সবধরনের অযান্ত্রিক যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে ২০১৫ সালে। কিন্তু কোথাও সেই নিষেধাজ্ঞা মানা হচ্ছে না। সব মহাসড়কেই নিষিদ্ধ যানবাহন চলছে বলে আজ একটি জাতীয় দৈনিক বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। শুধু যাত্রী ও পণ্যই পরিবহন করছে না, মহাসড়কে এসব যানের অবৈধ স্ট্যান্ডও গড়ে উঠেছে।
ধীরগতির যান চলাচল আর যত্রতত্র যাত্রী ওঠানো-নামানোর কারণে মহাসড়কে প্রায়ই যানজট তৈরি হয়, সড়ক দুর্ঘটনাও ঘটে। দেশের মহাসড়কগুলোতে দুর্ঘটনা কমানোর লক্ষ্যে ছয় বছর আগে থ্রি-হুইলার অটোরিকশা, অটোটেম্পোসহ সবধরনের অযান্ত্রিক যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর কিছুদিন এসব যান চলাচল বন্ধও ছিল। তখন সড়ক দুর্ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছিল বলে জানা যায়। সরকার বলেছিল, বাই-লেন সড়ক নির্মাণ করার পর ধীরগতির যানবাহন চলতে দেয়া হবে। কোন কোন মহাসড়কে বাই-লেন সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। তবে বাই-লেন সড়ক নির্মাণ করা হয়নি এমন মহাসড়কেও ধীরগতির যানবাহন চলছে।
প্রশ্ন হচ্ছে- প্রশাসনের নাকের ডগার ওপর দিয়ে ধীরগতির যানবাহন মহসড়কে চলছে কী করে। অভিযোগ রয়েছে, মাসোহারার বিনিময়ে নিষিদ্ধ যানবাহন চলতে দেয়া হয়। যদিও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এ অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে। মহাসড়কে নিষিদ্ধ যান চলাচলের পেছনে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়।
সড়ক-মহাসড়ক নিরাপদ করতে সরকার অনেক সিদ্ধান্তই এ পর্যন্ত নিয়েছে। তবে এসব সিদ্ধান্ত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাস্তবায়ন করা হয় না। কখনো কখনো মহাসড়কে থ্রি-হুইলার অটোরিকশা, নসিমন-করিমন, লেগুনা প্রভৃতি চলাচলের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নভাবে অভিযান চালানো হয়। অভিযান শেষ হতে না হতেই মহাসড়ক পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায়। আবার দুর্ঘটনা ঘটে, যানজটও হয়।
আমরা মহাসড়কে ধীরগতির যান চলাচল করতে না দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের কঠোর বাস্তবায়ন দেখতে চাই। এজন্য হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে তৎপর হতে হবে। কার্যকর তদারকি চালাতে হবে। ধীরগতির যান চলাচলের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে। মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করে বাই-লেন সড়ক নির্মাণ করে তারপর ধীরগতির যানবাহন চলতে দেয়া যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
দেশের ২২টি মহাসড়কে থ্রি-হুইলার অটোরিকশা, অটোটেম্পোসহ সবধরনের অযান্ত্রিক যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে ২০১৫ সালে। কিন্তু কোথাও সেই নিষেধাজ্ঞা মানা হচ্ছে না। সব মহাসড়কেই নিষিদ্ধ যানবাহন চলছে বলে আজ একটি জাতীয় দৈনিক বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। শুধু যাত্রী ও পণ্যই পরিবহন করছে না, মহাসড়কে এসব যানের অবৈধ স্ট্যান্ডও গড়ে উঠেছে।
ধীরগতির যান চলাচল আর যত্রতত্র যাত্রী ওঠানো-নামানোর কারণে মহাসড়কে প্রায়ই যানজট তৈরি হয়, সড়ক দুর্ঘটনাও ঘটে। দেশের মহাসড়কগুলোতে দুর্ঘটনা কমানোর লক্ষ্যে ছয় বছর আগে থ্রি-হুইলার অটোরিকশা, অটোটেম্পোসহ সবধরনের অযান্ত্রিক যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর কিছুদিন এসব যান চলাচল বন্ধও ছিল। তখন সড়ক দুর্ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছিল বলে জানা যায়। সরকার বলেছিল, বাই-লেন সড়ক নির্মাণ করার পর ধীরগতির যানবাহন চলতে দেয়া হবে। কোন কোন মহাসড়কে বাই-লেন সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। তবে বাই-লেন সড়ক নির্মাণ করা হয়নি এমন মহাসড়কেও ধীরগতির যানবাহন চলছে।
প্রশ্ন হচ্ছে- প্রশাসনের নাকের ডগার ওপর দিয়ে ধীরগতির যানবাহন মহসড়কে চলছে কী করে। অভিযোগ রয়েছে, মাসোহারার বিনিময়ে নিষিদ্ধ যানবাহন চলতে দেয়া হয়। যদিও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এ অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে। মহাসড়কে নিষিদ্ধ যান চলাচলের পেছনে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়।
সড়ক-মহাসড়ক নিরাপদ করতে সরকার অনেক সিদ্ধান্তই এ পর্যন্ত নিয়েছে। তবে এসব সিদ্ধান্ত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাস্তবায়ন করা হয় না। কখনো কখনো মহাসড়কে থ্রি-হুইলার অটোরিকশা, নসিমন-করিমন, লেগুনা প্রভৃতি চলাচলের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নভাবে অভিযান চালানো হয়। অভিযান শেষ হতে না হতেই মহাসড়ক পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায়। আবার দুর্ঘটনা ঘটে, যানজটও হয়।
আমরা মহাসড়কে ধীরগতির যান চলাচল করতে না দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের কঠোর বাস্তবায়ন দেখতে চাই। এজন্য হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে তৎপর হতে হবে। কার্যকর তদারকি চালাতে হবে। ধীরগতির যান চলাচলের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে। মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করে বাই-লেন সড়ক নির্মাণ করে তারপর ধীরগতির যানবাহন চলতে দেয়া যেতে পারে।