alt

সম্পাদকীয়

সব শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ে ফেরাতে হবে

: শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছে, শিক্ষার্থীরা ক্লাসে যাচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম সপ্তাহে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির যে হিসাব মিলেছে তাতে দেখা যায় প্রাথমিকে ২০ এবং মাধ্যমিকে ৮ শতাংশ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।

প্রথম সপ্তাহের এই অনুপস্থিতির ভিত্তিতে এখনই বলা যাচ্ছে না যে, এসব শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। অনুপস্থিত এসব শিক্ষার্থীর মধ্যে কতজন পরবর্তীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে আসে সেটা দেখার বিষয়। আমাদের আশঙ্কা এদের অনেকেই হয়তো আর বিদ্যালয়ে ফিরবে না। নারায়ণগঞ্জের একটি উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সংবাদকে জানিয়েছেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ কিছু শিক্ষার্থীর সঙ্গে একেবারেই যোগাযোগ করতে পারছে না। অভিভাবকদের পাওয়া যাচ্ছে না। হয়তো তারা আর স্কুলে ফিরবে না। মহামারী করোনার সময় অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তবে সে সংখ্যাটা কত, এতদিন সেটা জানার কোন উপায় ছিল না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর হয়তো ধীরে ধীরে সেটা জানা যাবে।

স্কুলে অনুপস্থিত থাকা শিক্ষার্থীদের ফেরানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক বলেছেন, সব শিক্ষার্থীর ঠিকানা স্কুলে রয়েছে। সেই অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠান প্রধানরা অভিভাবকদের সঙ্গে সরাসরি বা টেলিফোনে যোগাযোগ করছেন। কারোর আর্থিক সমস্যা থাকলে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে বেতন মওকুফ করা হবে, উপবৃত্তির ব্যবস্থা করে দেয়া হবে। সব কিছুই সরকার বহন করবে। সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এক সভায় মন্ত্রণালয়ের সব কর্মকর্তাকে সারাদেশের মাঠপর্যায়ের বিদ্যালয় পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি প্রতিটি বিদ্যালয়ের সমস্যা চিহ্নিত করার পাশাপাশি অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের খোঁজ নেয়ার জন্যও বলেছেন।

যারা বিদ্যালয়ে আসছে না তাদের খোঁজ-খবর নিয়ে ফেরানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। নিঃসন্দেহে এটি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। কিন্তু তার আগে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের বিশদ একটি তালিকা করতে হবে। সেখানে দেশের কতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কতজন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত, তাদের মধ্যে আলাদাভাবে ছেলেমেয়ের সংখ্যা, শহর-গ্রাম বা অঞ্চলভেদে ঝরে পড়ার হার কত সেট জানতে হবে। এসব শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে আনার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হলে এসব জানা জরুরি। শিক্ষার্থীদের সমস্যা চিহ্নিত করে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ঢালাওভাবে উপবৃত্তি দিলে বা কোন প্রকল্প নিলে কাক্সিক্ষত সুফল নাও মিলতে পারে।

এজন্য ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের একটি বিশদ তালিকা থাকা জরুরি। তালিকাটি হতে হবে স্বচ্ছ। আর দ্রুত সময়ের মধ্যে তালিকা তৈরি করতে হবে। অনাকাক্সিক্ষত বিলম্ব ঘটলে অনেক শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনা কঠিন হয়ে পড়তে পারে। আমরা চাই, প্রতিটি শিক্ষার্থী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে আসুক, লেখাপড়া শুরু করুক। একজন শিক্ষার্থীও যেন ঝরে না পড়ে। এজন্য সরকারের যা যা করণীয় তাই করতে হবে।

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

tab

সম্পাদকীয়

সব শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ে ফেরাতে হবে

শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছে, শিক্ষার্থীরা ক্লাসে যাচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম সপ্তাহে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির যে হিসাব মিলেছে তাতে দেখা যায় প্রাথমিকে ২০ এবং মাধ্যমিকে ৮ শতাংশ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।

প্রথম সপ্তাহের এই অনুপস্থিতির ভিত্তিতে এখনই বলা যাচ্ছে না যে, এসব শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। অনুপস্থিত এসব শিক্ষার্থীর মধ্যে কতজন পরবর্তীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে আসে সেটা দেখার বিষয়। আমাদের আশঙ্কা এদের অনেকেই হয়তো আর বিদ্যালয়ে ফিরবে না। নারায়ণগঞ্জের একটি উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সংবাদকে জানিয়েছেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ কিছু শিক্ষার্থীর সঙ্গে একেবারেই যোগাযোগ করতে পারছে না। অভিভাবকদের পাওয়া যাচ্ছে না। হয়তো তারা আর স্কুলে ফিরবে না। মহামারী করোনার সময় অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তবে সে সংখ্যাটা কত, এতদিন সেটা জানার কোন উপায় ছিল না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর হয়তো ধীরে ধীরে সেটা জানা যাবে।

স্কুলে অনুপস্থিত থাকা শিক্ষার্থীদের ফেরানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক বলেছেন, সব শিক্ষার্থীর ঠিকানা স্কুলে রয়েছে। সেই অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠান প্রধানরা অভিভাবকদের সঙ্গে সরাসরি বা টেলিফোনে যোগাযোগ করছেন। কারোর আর্থিক সমস্যা থাকলে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে বেতন মওকুফ করা হবে, উপবৃত্তির ব্যবস্থা করে দেয়া হবে। সব কিছুই সরকার বহন করবে। সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এক সভায় মন্ত্রণালয়ের সব কর্মকর্তাকে সারাদেশের মাঠপর্যায়ের বিদ্যালয় পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি প্রতিটি বিদ্যালয়ের সমস্যা চিহ্নিত করার পাশাপাশি অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের খোঁজ নেয়ার জন্যও বলেছেন।

যারা বিদ্যালয়ে আসছে না তাদের খোঁজ-খবর নিয়ে ফেরানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। নিঃসন্দেহে এটি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। কিন্তু তার আগে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের বিশদ একটি তালিকা করতে হবে। সেখানে দেশের কতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কতজন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত, তাদের মধ্যে আলাদাভাবে ছেলেমেয়ের সংখ্যা, শহর-গ্রাম বা অঞ্চলভেদে ঝরে পড়ার হার কত সেট জানতে হবে। এসব শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে আনার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হলে এসব জানা জরুরি। শিক্ষার্থীদের সমস্যা চিহ্নিত করে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ঢালাওভাবে উপবৃত্তি দিলে বা কোন প্রকল্প নিলে কাক্সিক্ষত সুফল নাও মিলতে পারে।

এজন্য ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের একটি বিশদ তালিকা থাকা জরুরি। তালিকাটি হতে হবে স্বচ্ছ। আর দ্রুত সময়ের মধ্যে তালিকা তৈরি করতে হবে। অনাকাক্সিক্ষত বিলম্ব ঘটলে অনেক শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনা কঠিন হয়ে পড়তে পারে। আমরা চাই, প্রতিটি শিক্ষার্থী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে আসুক, লেখাপড়া শুরু করুক। একজন শিক্ষার্থীও যেন ঝরে না পড়ে। এজন্য সরকারের যা যা করণীয় তাই করতে হবে।

back to top