দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ এ সংক্রমিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কিছু কিছু সংক্রমণের খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়নি। করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকলে প্রয়োজনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত কোথাও সে রকম পরিস্থিতি হয়নি। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
দেড় বছর পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সংক্রমিত হওয়ার খবরে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, মানিকগঞ্জের একটি বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর ‘করোনা উপসর্গ’ নিয়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে। যদিও জেলা সিভিল সার্জন অফিস জানিয়েছে, ওই শিক্ষার্থীর করোনার পরীক্ষাই হয়নি। এ কারণে তার করোনা ছিল কী না, সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আবার যেসব স্থানে শিক্ষার্থীদের করোনা সংক্রমিত হওয়ার খবর আসছে, তাদের অধিকাংশই কোন পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হতে পারে তাদের মধ্যে করোনার উপসর্গ আছে। কিন্তু পরীক্ষা না করে বলে দেয়া যায় না যে, তাদের করোনা হয়েছে।
এ জন্য জরুরি হচ্ছে, উপসর্গ দেখা দেয়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দ্রুত করোনা পরীক্ষা করা। আর পরীক্ষার ভিত্তিতে সঠিক তথ্য প্রকাশ করতে হবে। এতে অভিভাবকরা আশস্ত হবেন। এটা জানতে হবে যে, আদৌ কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোন শিক্ষার্থী কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছে কি না। হয়ে থাকলে, তাদের সংখ্যা বা হার কত? যদি কেউ সংক্রমিত হয়ে থাকে, তাহলে কোথা থেকে হয়েছে তাও জানাতে হবে। শিক্ষার্থীদের করোনা সংক্রমণ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের লুকোচুরি করা সঙ্গত হবে না। কোথাও যদি সংক্রমণের ঘটনা ঘটে থাকে, সেটা গোপন করলেই বরং পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। প্রকৃত সত্য জেনে তৎক্ষণাৎ সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিলে দ্রুত করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
করোনা সংক্রমণের হার অনেক দিন ধরেই নিম্নমুখী, মৃত্যুও কমেছে। গত প্রায় এক সপ্তাহ থেকে শনাক্তের হার পাঁচ শতাংশের নিচে রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদন্ড অনুযায়ী, কোন দেশে টানা দুই সপ্তাহ করোনা শনাক্তের হার পাঁচ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
এরপরও কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কেউ আক্রান্ত হলে স্থানীয়ভাবে সে সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া যেতে পারে। ঠাকুরগাঁওয়ে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৩ শিক্ষার্থীর করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে দুই সপ্তাহের জন্য ওইসব স্কুলে পাঠদান বন্ধ করা হয়। এটি যথাযথ পদক্ষেপ হয়েছে বলে আমরা মনে করি। দু-একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে করোনা সংক্রমণের কারণে দেশে যেন আতঙ্ক না ছড়ায় বা সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা যেন ব্যাহত না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
রোববার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ এ সংক্রমিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কিছু কিছু সংক্রমণের খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়নি। করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকলে প্রয়োজনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত কোথাও সে রকম পরিস্থিতি হয়নি। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
দেড় বছর পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সংক্রমিত হওয়ার খবরে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, মানিকগঞ্জের একটি বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর ‘করোনা উপসর্গ’ নিয়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে। যদিও জেলা সিভিল সার্জন অফিস জানিয়েছে, ওই শিক্ষার্থীর করোনার পরীক্ষাই হয়নি। এ কারণে তার করোনা ছিল কী না, সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আবার যেসব স্থানে শিক্ষার্থীদের করোনা সংক্রমিত হওয়ার খবর আসছে, তাদের অধিকাংশই কোন পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হতে পারে তাদের মধ্যে করোনার উপসর্গ আছে। কিন্তু পরীক্ষা না করে বলে দেয়া যায় না যে, তাদের করোনা হয়েছে।
এ জন্য জরুরি হচ্ছে, উপসর্গ দেখা দেয়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দ্রুত করোনা পরীক্ষা করা। আর পরীক্ষার ভিত্তিতে সঠিক তথ্য প্রকাশ করতে হবে। এতে অভিভাবকরা আশস্ত হবেন। এটা জানতে হবে যে, আদৌ কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোন শিক্ষার্থী কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছে কি না। হয়ে থাকলে, তাদের সংখ্যা বা হার কত? যদি কেউ সংক্রমিত হয়ে থাকে, তাহলে কোথা থেকে হয়েছে তাও জানাতে হবে। শিক্ষার্থীদের করোনা সংক্রমণ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের লুকোচুরি করা সঙ্গত হবে না। কোথাও যদি সংক্রমণের ঘটনা ঘটে থাকে, সেটা গোপন করলেই বরং পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। প্রকৃত সত্য জেনে তৎক্ষণাৎ সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিলে দ্রুত করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
করোনা সংক্রমণের হার অনেক দিন ধরেই নিম্নমুখী, মৃত্যুও কমেছে। গত প্রায় এক সপ্তাহ থেকে শনাক্তের হার পাঁচ শতাংশের নিচে রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদন্ড অনুযায়ী, কোন দেশে টানা দুই সপ্তাহ করোনা শনাক্তের হার পাঁচ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
এরপরও কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কেউ আক্রান্ত হলে স্থানীয়ভাবে সে সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া যেতে পারে। ঠাকুরগাঁওয়ে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৩ শিক্ষার্থীর করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে দুই সপ্তাহের জন্য ওইসব স্কুলে পাঠদান বন্ধ করা হয়। এটি যথাযথ পদক্ষেপ হয়েছে বলে আমরা মনে করি। দু-একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে করোনা সংক্রমণের কারণে দেশে যেন আতঙ্ক না ছড়ায় বা সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা যেন ব্যাহত না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।