কক্সবাজারের রামু ও উখিয়ায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছিল ১৯টি। এর মধ্যে একটি প্রত্যাহার করা হয়েছে, বাকি ১৮টির একটিরও নিষ্পত্তি হয়নি। ১৮টি মামলার অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়েছিল ৯৩৬ জনকে যাদের সবাই জামিনে ছাড়া পেয়ে গেছে।
২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে কক্সবাজারের রামুর ১২টি প্রাচীন বৌদ্ধবিহার ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ৩৪টি ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হয়। এর পরের দিন উখিয়া ও টেকনাফের আরও ৭টি বৌদ্ধবিহার ও হিন্দু মন্দিরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ভয়াবহ সেই সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার আদৌ হবে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে, মামলাগুলোর গোড়াতেই গলদ আছে। হামলার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের অনেককেই আসামি করা হয়নি। বরং নিরপরাধ অনেক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তও সঠিক পথে এগোচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। সাক্ষীদের আদালতে হাজির করা যাচ্ছে না। নিরাপত্তার অভাবে তারা সাক্ষ্য দিতে চাচ্ছেন না। তারা এখন এর বিচারও চান না।
বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর হামলার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়েছিল। সেটিরও কোন অগ্রগতি নেই। সংশ্লিষ্ট আইনজীবী এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেছেন, এটা সেনসিটিভ মামলা। এখন এ নিয়ে আদালতে গেলে, ডকুমেন্ট ওপেন হয়ে গেলে সাক্ষীদের হুমকি দেয়া হতে পারে, নির্যাতন হতে পারে।
শুধু রামু বা উখিয়ার সাম্প্রদায়িক হামলার ক্ষেত্রেই নয়, দেশে সাম্প্রদায়িক হামলার বাকি ঘটনাগুলোরও বিচার হয়নি। অভিযুক্তরা সবাই একপর্যায়ে ছাড়া পেয়ে যান। কিন্তু ঝুমন দাশের মতো ব্যক্তিদের মুক্তি পেতে হয় অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে।
বিচার করে যদি দৃষ্টান্ত স্থাপন করা না যায় তাহলে সাম্প্রদায়িক হামলার অপসংস্কৃতির অবসান ঘটবে কীভাবে? আমরা বলতে চাই, কক্সবাজারসহ দেশের সব সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনার দ্রুত বিচার করতে হবে। বিচার প্রক্রিয়ার পথে সব বাধা দূর করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, আইনজীবী এবং বিচারপ্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের আন্তরিকভাবে কাজ করা জরুরি। সরকারকে সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর হামলার বিচার হয়নি। উত্তম কুমার বড়ুয়ার সন্ধানও মেলেনি। উত্তমের স্বজনরা বলছেন, হামলার আগে তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে যান। এরপর গত নয় বছরেও তিনি আর ফেরেননি। তিনি বেঁচে আছেন কিনা সেটাও কেউ জানাতে পারছে না। তার ফেইসবুক পেজ থেকেই কোরআন অবমাননার ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, তার ফেইসবুক পেজে পরিকল্পিতভাবে ‘ভুয়া ছবি’ ট্যাগ করে সাম্প্রদায়িক উসকানি ছড়ানো হয়।
নয় বছরের বেশি সময় ধরে দেশের একজন নাগরিকের সন্ধান মিলছে না। প্রশ্ন হচ্ছে, উত্তম বড়–য়াকে খুঁজে বের করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কী করেছে। একজন নাগরিককে কেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না সেটা অন্তত জানানো হোক।
বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
কক্সবাজারের রামু ও উখিয়ায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছিল ১৯টি। এর মধ্যে একটি প্রত্যাহার করা হয়েছে, বাকি ১৮টির একটিরও নিষ্পত্তি হয়নি। ১৮টি মামলার অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়েছিল ৯৩৬ জনকে যাদের সবাই জামিনে ছাড়া পেয়ে গেছে।
২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে কক্সবাজারের রামুর ১২টি প্রাচীন বৌদ্ধবিহার ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ৩৪টি ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হয়। এর পরের দিন উখিয়া ও টেকনাফের আরও ৭টি বৌদ্ধবিহার ও হিন্দু মন্দিরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ভয়াবহ সেই সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার আদৌ হবে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে, মামলাগুলোর গোড়াতেই গলদ আছে। হামলার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের অনেককেই আসামি করা হয়নি। বরং নিরপরাধ অনেক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তও সঠিক পথে এগোচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। সাক্ষীদের আদালতে হাজির করা যাচ্ছে না। নিরাপত্তার অভাবে তারা সাক্ষ্য দিতে চাচ্ছেন না। তারা এখন এর বিচারও চান না।
বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর হামলার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়েছিল। সেটিরও কোন অগ্রগতি নেই। সংশ্লিষ্ট আইনজীবী এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেছেন, এটা সেনসিটিভ মামলা। এখন এ নিয়ে আদালতে গেলে, ডকুমেন্ট ওপেন হয়ে গেলে সাক্ষীদের হুমকি দেয়া হতে পারে, নির্যাতন হতে পারে।
শুধু রামু বা উখিয়ার সাম্প্রদায়িক হামলার ক্ষেত্রেই নয়, দেশে সাম্প্রদায়িক হামলার বাকি ঘটনাগুলোরও বিচার হয়নি। অভিযুক্তরা সবাই একপর্যায়ে ছাড়া পেয়ে যান। কিন্তু ঝুমন দাশের মতো ব্যক্তিদের মুক্তি পেতে হয় অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে।
বিচার করে যদি দৃষ্টান্ত স্থাপন করা না যায় তাহলে সাম্প্রদায়িক হামলার অপসংস্কৃতির অবসান ঘটবে কীভাবে? আমরা বলতে চাই, কক্সবাজারসহ দেশের সব সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনার দ্রুত বিচার করতে হবে। বিচার প্রক্রিয়ার পথে সব বাধা দূর করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, আইনজীবী এবং বিচারপ্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের আন্তরিকভাবে কাজ করা জরুরি। সরকারকে সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর হামলার বিচার হয়নি। উত্তম কুমার বড়ুয়ার সন্ধানও মেলেনি। উত্তমের স্বজনরা বলছেন, হামলার আগে তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে যান। এরপর গত নয় বছরেও তিনি আর ফেরেননি। তিনি বেঁচে আছেন কিনা সেটাও কেউ জানাতে পারছে না। তার ফেইসবুক পেজ থেকেই কোরআন অবমাননার ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, তার ফেইসবুক পেজে পরিকল্পিতভাবে ‘ভুয়া ছবি’ ট্যাগ করে সাম্প্রদায়িক উসকানি ছড়ানো হয়।
নয় বছরের বেশি সময় ধরে দেশের একজন নাগরিকের সন্ধান মিলছে না। প্রশ্ন হচ্ছে, উত্তম বড়–য়াকে খুঁজে বের করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কী করেছে। একজন নাগরিককে কেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না সেটা অন্তত জানানো হোক।