alt

সম্পাদকীয়

সাম্প্রদায়িক হামলার বিচারে অগ্রগতি নেই কেন

: বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

কক্সবাজারের রামু ও উখিয়ায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছিল ১৯টি। এর মধ্যে একটি প্রত্যাহার করা হয়েছে, বাকি ১৮টির একটিরও নিষ্পত্তি হয়নি। ১৮টি মামলার অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়েছিল ৯৩৬ জনকে যাদের সবাই জামিনে ছাড়া পেয়ে গেছে।

২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে কক্সবাজারের রামুর ১২টি প্রাচীন বৌদ্ধবিহার ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ৩৪টি ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হয়। এর পরের দিন উখিয়া ও টেকনাফের আরও ৭টি বৌদ্ধবিহার ও হিন্দু মন্দিরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ভয়াবহ সেই সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার আদৌ হবে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে।

অভিযোগ রয়েছে, মামলাগুলোর গোড়াতেই গলদ আছে। হামলার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের অনেককেই আসামি করা হয়নি। বরং নিরপরাধ অনেক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তও সঠিক পথে এগোচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। সাক্ষীদের আদালতে হাজির করা যাচ্ছে না। নিরাপত্তার অভাবে তারা সাক্ষ্য দিতে চাচ্ছেন না। তারা এখন এর বিচারও চান না।

বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর হামলার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়েছিল। সেটিরও কোন অগ্রগতি নেই। সংশ্লিষ্ট আইনজীবী এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেছেন, এটা সেনসিটিভ মামলা। এখন এ নিয়ে আদালতে গেলে, ডকুমেন্ট ওপেন হয়ে গেলে সাক্ষীদের হুমকি দেয়া হতে পারে, নির্যাতন হতে পারে।

শুধু রামু বা উখিয়ার সাম্প্রদায়িক হামলার ক্ষেত্রেই নয়, দেশে সাম্প্রদায়িক হামলার বাকি ঘটনাগুলোরও বিচার হয়নি। অভিযুক্তরা সবাই একপর্যায়ে ছাড়া পেয়ে যান। কিন্তু ঝুমন দাশের মতো ব্যক্তিদের মুক্তি পেতে হয় অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে।

বিচার করে যদি দৃষ্টান্ত স্থাপন করা না যায় তাহলে সাম্প্রদায়িক হামলার অপসংস্কৃতির অবসান ঘটবে কীভাবে? আমরা বলতে চাই, কক্সবাজারসহ দেশের সব সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনার দ্রুত বিচার করতে হবে। বিচার প্রক্রিয়ার পথে সব বাধা দূর করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, আইনজীবী এবং বিচারপ্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের আন্তরিকভাবে কাজ করা জরুরি। সরকারকে সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর হামলার বিচার হয়নি। উত্তম কুমার বড়ুয়ার সন্ধানও মেলেনি। উত্তমের স্বজনরা বলছেন, হামলার আগে তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে যান। এরপর গত নয় বছরেও তিনি আর ফেরেননি। তিনি বেঁচে আছেন কিনা সেটাও কেউ জানাতে পারছে না। তার ফেইসবুক পেজ থেকেই কোরআন অবমাননার ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, তার ফেইসবুক পেজে পরিকল্পিতভাবে ‘ভুয়া ছবি’ ট্যাগ করে সাম্প্রদায়িক উসকানি ছড়ানো হয়।

নয় বছরের বেশি সময় ধরে দেশের একজন নাগরিকের সন্ধান মিলছে না। প্রশ্ন হচ্ছে, উত্তম বড়–য়াকে খুঁজে বের করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কী করেছে। একজন নাগরিককে কেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না সেটা অন্তত জানানো হোক।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

সাম্প্রদায়িক হামলার বিচারে অগ্রগতি নেই কেন

বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

কক্সবাজারের রামু ও উখিয়ায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছিল ১৯টি। এর মধ্যে একটি প্রত্যাহার করা হয়েছে, বাকি ১৮টির একটিরও নিষ্পত্তি হয়নি। ১৮টি মামলার অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়েছিল ৯৩৬ জনকে যাদের সবাই জামিনে ছাড়া পেয়ে গেছে।

২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে কক্সবাজারের রামুর ১২টি প্রাচীন বৌদ্ধবিহার ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ৩৪টি ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হয়। এর পরের দিন উখিয়া ও টেকনাফের আরও ৭টি বৌদ্ধবিহার ও হিন্দু মন্দিরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ভয়াবহ সেই সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার আদৌ হবে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে।

অভিযোগ রয়েছে, মামলাগুলোর গোড়াতেই গলদ আছে। হামলার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের অনেককেই আসামি করা হয়নি। বরং নিরপরাধ অনেক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তও সঠিক পথে এগোচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। সাক্ষীদের আদালতে হাজির করা যাচ্ছে না। নিরাপত্তার অভাবে তারা সাক্ষ্য দিতে চাচ্ছেন না। তারা এখন এর বিচারও চান না।

বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর হামলার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়েছিল। সেটিরও কোন অগ্রগতি নেই। সংশ্লিষ্ট আইনজীবী এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেছেন, এটা সেনসিটিভ মামলা। এখন এ নিয়ে আদালতে গেলে, ডকুমেন্ট ওপেন হয়ে গেলে সাক্ষীদের হুমকি দেয়া হতে পারে, নির্যাতন হতে পারে।

শুধু রামু বা উখিয়ার সাম্প্রদায়িক হামলার ক্ষেত্রেই নয়, দেশে সাম্প্রদায়িক হামলার বাকি ঘটনাগুলোরও বিচার হয়নি। অভিযুক্তরা সবাই একপর্যায়ে ছাড়া পেয়ে যান। কিন্তু ঝুমন দাশের মতো ব্যক্তিদের মুক্তি পেতে হয় অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে।

বিচার করে যদি দৃষ্টান্ত স্থাপন করা না যায় তাহলে সাম্প্রদায়িক হামলার অপসংস্কৃতির অবসান ঘটবে কীভাবে? আমরা বলতে চাই, কক্সবাজারসহ দেশের সব সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনার দ্রুত বিচার করতে হবে। বিচার প্রক্রিয়ার পথে সব বাধা দূর করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, আইনজীবী এবং বিচারপ্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের আন্তরিকভাবে কাজ করা জরুরি। সরকারকে সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর হামলার বিচার হয়নি। উত্তম কুমার বড়ুয়ার সন্ধানও মেলেনি। উত্তমের স্বজনরা বলছেন, হামলার আগে তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে যান। এরপর গত নয় বছরেও তিনি আর ফেরেননি। তিনি বেঁচে আছেন কিনা সেটাও কেউ জানাতে পারছে না। তার ফেইসবুক পেজ থেকেই কোরআন অবমাননার ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, তার ফেইসবুক পেজে পরিকল্পিতভাবে ‘ভুয়া ছবি’ ট্যাগ করে সাম্প্রদায়িক উসকানি ছড়ানো হয়।

নয় বছরের বেশি সময় ধরে দেশের একজন নাগরিকের সন্ধান মিলছে না। প্রশ্ন হচ্ছে, উত্তম বড়–য়াকে খুঁজে বের করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কী করেছে। একজন নাগরিককে কেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না সেটা অন্তত জানানো হোক।

back to top