গত মঙ্গলবার সারা দেশে একদিনে করোনার টিকা দেয়া হয়েছে ৬৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯২২ ডোজ। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিশেষ কর্মসূচির আওতায় ৬৬ লাখ ২৫ হাজার ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। বাকি টিকা দেয়া হয়েছে নিয়মিত কর্মসূচির আওতায়।
একদিনে দেশজুড়ে প্রায় ৬৭ লাখ ৫৯ হাজার টিকা দেয়া বড় একটি অর্জন। এর আগে একদিনে করোনার এত টিকা দেয়া হয়নি। গণটিকাদান কর্মসূচির আওতায় গত ৭ আগস্ট ৩০ লাখের বেশি টিকা দেয়া হয়েছিল। এবার একদিনে টিকা দেয়া হলো দ্বিগুণেরও বেশি মানুষকে। এরফলে হার্ড ইমিউনিটির লক্ষ্য অর্জনের পথে দেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। দেশে করোনার টিকা দেয়া যখন শুরু হয় তখন নানা কারণে মানুষের মধ্যে আগ্রহের কমতি ছিল। এখন মানুষ টিকা নেয়ার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকছেন। টিকা পেলে হাসিমুখে ঘরে ফিরছেন, না পেলে হতাশ হচ্ছেন। টিকার প্রতি মানুষর এ মনোভাব ইতিবাচক।
সরকার আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের অর্ধেক মানুষকে টিকার আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছে। ঘোষিত সময়ের মধ্যে চাহিদা অনুযায়ী টিকা পাওয়া গেলে এই লক্ষ্য অর্জন করা যেতে পারে। দেশে দ্রুত হারে টিকা প্রয়োগের সক্ষমতায় ঘাটতি নেই। সমস্যা হচ্ছে, টিকার অপর্যাপ্ত জোগান। দেশে টিকা উৎপাদন হলে পাশাপাশি আমদানি বাড়ানো গেলে এ সমস্যার সমাধান হতে পারে।
স্বাস্থ্য বিভাগ প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিনে ৭৫ লাখ ডোজ টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। লক্ষ্যটি অবশ্য একদিনে পূরণ করা যায়নি। এ কারণে বিশেষ কর্মসূচি চলে পরের দিনও। মূলত কিছু অব্যবস্থাপনার কারণে একদিনে কর্মসূচি বাস্তবায়নে বেগ পেতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে বিপুলসংখ্যক টিকা দেয়ার ঘোষণাটাই ছিল আকস্মিক। বিশেষ ক্যাম্পেইন নিয়ে যথাযথ প্রস্তুতি নেয়া ও প্রচার চালানো হয়েছে কিনা সেই প্রশ্ন রয়েছে।
শহর এলাকায় বিশেষ কর্মসূচি তেমন সাড়া জাগাতে পারেনি। কোন কোন কেন্দ্রে টিকাদানের সময় নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। মানুষ টিকা নিতে গেছেন সকালে, কর্মসূচি শুরু হয়েছে দুপুরে। ফলে কর্মজীবী অনেক মানুষ টিকা নিতে পারেননি। গ্রামে অনেক কেন্দ্রে টিকার মজুদ ফুরিয়ে গেছে। আবার অনেক কেন্দ্রে মজুদ থাকলেও টিকাগ্রহীতার সংখ্যা কম ছিল। কেন্দ্রগুলোর মধ্যে সমন্বয় থাকলে প্রয়োজনের সময় এক কেন্দ্র আরেক কেন্দ্রকে টিকা দিতে পারত অথবা টিকাগ্রহীতারা কেন্দ্র বদল করতে পারতেন। আগামীতে গণটিকা দেয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা কমবে এটা আমাদের আশা।
বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১
গত মঙ্গলবার সারা দেশে একদিনে করোনার টিকা দেয়া হয়েছে ৬৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯২২ ডোজ। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিশেষ কর্মসূচির আওতায় ৬৬ লাখ ২৫ হাজার ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। বাকি টিকা দেয়া হয়েছে নিয়মিত কর্মসূচির আওতায়।
একদিনে দেশজুড়ে প্রায় ৬৭ লাখ ৫৯ হাজার টিকা দেয়া বড় একটি অর্জন। এর আগে একদিনে করোনার এত টিকা দেয়া হয়নি। গণটিকাদান কর্মসূচির আওতায় গত ৭ আগস্ট ৩০ লাখের বেশি টিকা দেয়া হয়েছিল। এবার একদিনে টিকা দেয়া হলো দ্বিগুণেরও বেশি মানুষকে। এরফলে হার্ড ইমিউনিটির লক্ষ্য অর্জনের পথে দেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। দেশে করোনার টিকা দেয়া যখন শুরু হয় তখন নানা কারণে মানুষের মধ্যে আগ্রহের কমতি ছিল। এখন মানুষ টিকা নেয়ার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকছেন। টিকা পেলে হাসিমুখে ঘরে ফিরছেন, না পেলে হতাশ হচ্ছেন। টিকার প্রতি মানুষর এ মনোভাব ইতিবাচক।
সরকার আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের অর্ধেক মানুষকে টিকার আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছে। ঘোষিত সময়ের মধ্যে চাহিদা অনুযায়ী টিকা পাওয়া গেলে এই লক্ষ্য অর্জন করা যেতে পারে। দেশে দ্রুত হারে টিকা প্রয়োগের সক্ষমতায় ঘাটতি নেই। সমস্যা হচ্ছে, টিকার অপর্যাপ্ত জোগান। দেশে টিকা উৎপাদন হলে পাশাপাশি আমদানি বাড়ানো গেলে এ সমস্যার সমাধান হতে পারে।
স্বাস্থ্য বিভাগ প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিনে ৭৫ লাখ ডোজ টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। লক্ষ্যটি অবশ্য একদিনে পূরণ করা যায়নি। এ কারণে বিশেষ কর্মসূচি চলে পরের দিনও। মূলত কিছু অব্যবস্থাপনার কারণে একদিনে কর্মসূচি বাস্তবায়নে বেগ পেতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে বিপুলসংখ্যক টিকা দেয়ার ঘোষণাটাই ছিল আকস্মিক। বিশেষ ক্যাম্পেইন নিয়ে যথাযথ প্রস্তুতি নেয়া ও প্রচার চালানো হয়েছে কিনা সেই প্রশ্ন রয়েছে।
শহর এলাকায় বিশেষ কর্মসূচি তেমন সাড়া জাগাতে পারেনি। কোন কোন কেন্দ্রে টিকাদানের সময় নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। মানুষ টিকা নিতে গেছেন সকালে, কর্মসূচি শুরু হয়েছে দুপুরে। ফলে কর্মজীবী অনেক মানুষ টিকা নিতে পারেননি। গ্রামে অনেক কেন্দ্রে টিকার মজুদ ফুরিয়ে গেছে। আবার অনেক কেন্দ্রে মজুদ থাকলেও টিকাগ্রহীতার সংখ্যা কম ছিল। কেন্দ্রগুলোর মধ্যে সমন্বয় থাকলে প্রয়োজনের সময় এক কেন্দ্র আরেক কেন্দ্রকে টিকা দিতে পারত অথবা টিকাগ্রহীতারা কেন্দ্র বদল করতে পারতেন। আগামীতে গণটিকা দেয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা কমবে এটা আমাদের আশা।