alt

সম্পাদকীয়

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হত্যাকান্ড প্রসঙ্গে

: শুক্রবার, ০১ অক্টোবর ২০২১

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নেতা আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহকে গত বুধবার রাতে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। কক্সবাজারের উখিয়া থানাধীন কুতুপালংয়ের পূর্ব এফডিএমএন ক্যাম্পে এই হত্যার ঘটনা ঘটে। তিনজন অস্ত্রধারী তাকে লক্ষ্য করে ৫ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনও হত্যাকারীদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মুহিবুল্লাহর মতাদর্শের বিরোধীরা এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। নিহতের স্বজনরা হত্যাকান্ডের জন্য আরসা নামের একটি সশস্ত্র সংগঠনের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে এটা আমাদের আশা।

মায়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে জাতিগত নিধন শুরু করলে ২০১৭ সালের আগস্টের পর সেখান থেকে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে মুহিবুল্লাহও ছিলেন। তার নেতৃত্বাধীন সংগঠন রোহিঙ্গাদের অধিকার নিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলেন বলে জানা যায়। পূর্ণ নাগরিক অধিকার নিয়ে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার পক্ষে ছিল তার অবস্থান। তার প্রতি ক্যাম্পে অবস্থানরত সাধারণ রোহিঙ্গাদের ছিল অকুণ্ঠ সমর্থন। বছর কয়েক আগে কয়েক লাখ রোহিঙ্গাদের সমাবেশ ঘটিয়ে ছিলেন তিনি। রোহিঙ্গাদের জাতিগত অধিকার নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ছিলেন সরব। প্রত্যাবাসনবিরোধী রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন গ্রুপ তার এই ভূমিকার বিরোধিতা করেছে বারবার। বিভিন্ন সময় তাকে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

মহিবুল্লার মৃত্যুতে কারা লাভবান হয়েছে আর কারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটা একটা প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তার মৃত্যুর ফলে ক্যাম্পগুলোতে প্রত্যাবাসন বিরোধী সশস্ত্র সংগঠনগুলোর অবস্থান শক্ত হবে। আর রোহিঙ্গাদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো বিপাকে পড়বে। তাদের নিজ দেশে নাগরিক অধিকার নিয়ে ফিরে যাওয়ার লক্ষ বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শিবিরগুলোকে কেন্দ্র করে কমবেশি ২০টি সশস্ত্র সংগঠন অপতৎপরতা চালাচ্ছে বলে গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় খবর প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি স্বীকার করে না। ক্যাম্পে অতীতেও হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। অপহরণ, ধর্ষণ, ছিনতাই, মাদক-বাণিজ্য প্রভৃতি অপরাধ নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে।

মুহিবুল্লাহর হত্যাকান্ডের ঘটনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। ক্যাম্পগুলোর কঠোর নিরাপত্তা বিধান করতে হবে। সেখানে সব ধরনের সন্ত্রাসী অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে। ক্যাম্পগুলো কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার আগেই সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে হবে। রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনের কাজে যারা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে তাদের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

tab

সম্পাদকীয়

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হত্যাকান্ড প্রসঙ্গে

শুক্রবার, ০১ অক্টোবর ২০২১

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নেতা আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহকে গত বুধবার রাতে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। কক্সবাজারের উখিয়া থানাধীন কুতুপালংয়ের পূর্ব এফডিএমএন ক্যাম্পে এই হত্যার ঘটনা ঘটে। তিনজন অস্ত্রধারী তাকে লক্ষ্য করে ৫ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনও হত্যাকারীদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মুহিবুল্লাহর মতাদর্শের বিরোধীরা এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। নিহতের স্বজনরা হত্যাকান্ডের জন্য আরসা নামের একটি সশস্ত্র সংগঠনের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে এটা আমাদের আশা।

মায়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে জাতিগত নিধন শুরু করলে ২০১৭ সালের আগস্টের পর সেখান থেকে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে মুহিবুল্লাহও ছিলেন। তার নেতৃত্বাধীন সংগঠন রোহিঙ্গাদের অধিকার নিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলেন বলে জানা যায়। পূর্ণ নাগরিক অধিকার নিয়ে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার পক্ষে ছিল তার অবস্থান। তার প্রতি ক্যাম্পে অবস্থানরত সাধারণ রোহিঙ্গাদের ছিল অকুণ্ঠ সমর্থন। বছর কয়েক আগে কয়েক লাখ রোহিঙ্গাদের সমাবেশ ঘটিয়ে ছিলেন তিনি। রোহিঙ্গাদের জাতিগত অধিকার নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ছিলেন সরব। প্রত্যাবাসনবিরোধী রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন গ্রুপ তার এই ভূমিকার বিরোধিতা করেছে বারবার। বিভিন্ন সময় তাকে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

মহিবুল্লার মৃত্যুতে কারা লাভবান হয়েছে আর কারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটা একটা প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তার মৃত্যুর ফলে ক্যাম্পগুলোতে প্রত্যাবাসন বিরোধী সশস্ত্র সংগঠনগুলোর অবস্থান শক্ত হবে। আর রোহিঙ্গাদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো বিপাকে পড়বে। তাদের নিজ দেশে নাগরিক অধিকার নিয়ে ফিরে যাওয়ার লক্ষ বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শিবিরগুলোকে কেন্দ্র করে কমবেশি ২০টি সশস্ত্র সংগঠন অপতৎপরতা চালাচ্ছে বলে গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় খবর প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি স্বীকার করে না। ক্যাম্পে অতীতেও হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। অপহরণ, ধর্ষণ, ছিনতাই, মাদক-বাণিজ্য প্রভৃতি অপরাধ নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে।

মুহিবুল্লাহর হত্যাকান্ডের ঘটনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। ক্যাম্পগুলোর কঠোর নিরাপত্তা বিধান করতে হবে। সেখানে সব ধরনের সন্ত্রাসী অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে। ক্যাম্পগুলো কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার আগেই সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে হবে। রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনের কাজে যারা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে তাদের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।

back to top