পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নির্যাতন, হামলা-মামলা ও হয়রানির শিকার হয়েছেন ১৫৫ জন সাংবাদিক, একজন সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এ তথ্য। প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাংবাদিক নির্যাতনের বেশিরভাগ ঘটনার সঙ্গে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কোন না কোনভাবে জড়িত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধেও সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগ মিলেছে। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন। তথ্য বা মত প্রকাশের জন্য তাদের নানা হুমকি, হামলা ও মামলা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। মত প্রকাশের জন্য সাংবাদিক হত্যার মন্দ নজিরও দেশে রয়েছে।
সাংবাদিকরা যেন নির্বিঘ্নে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারেন সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে রাষ্ট্রের বিভিন্ন বাহিনী বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই বিভিন্ন সময় নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া যায়। সাংবাদিক নির্যাতনে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে ক্ষমতাসীন দলের একশ্রেণীর নেতাকর্মী। আসকের প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস হওয়ার পর দেশে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আইনটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর নির্যাতন-নিপীড়নের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। গণমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কারও কোন মত পছন্দ না হলেই এই আইনে মামলা ঠুকে দেয়া হচ্ছে। পুলিশ বিনা পরোয়ানায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করছে। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির জামিনও মিলছে না।
সাংবাদিক নির্যাতনের বেশিরভাগ অভিযোগের কোন প্রতিকার করা হয় না। দেশে সাংবাদিক হত্যার অনেক ঘটনারই বিচার হয়নি। বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয় না বলেই সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না। বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীও সাংবাদিক নির্যাতনে অন্যায় উৎসাহ পায়। কখনও বা প্রশাসন এসবের পেছনে থাকে। কিন্তু এগুলোর বিচার না হওয়ায় দেশে এমন নিপীড়নের ঘটনা ঘটতেই থাকে।
তথ্য বা মত প্রকাশ করাই সাংবাদিকের কাজ। পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সাংবাদিক নিপীড়ন কাম্য নয়। মুক্ত গণমাধ্যম ও গণতন্ত্র একে অপরের পরিপূরক। অবাধ ও মুক্ত পরিবেশে সাংবাদিকতা করার পরিবেশ নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যার সব ঘটনার বিচার করা গণতান্ত্রিক সরকারের অন্যতম কর্তব্য।
শনিবার, ০২ অক্টোবর ২০২১
পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নির্যাতন, হামলা-মামলা ও হয়রানির শিকার হয়েছেন ১৫৫ জন সাংবাদিক, একজন সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এ তথ্য। প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাংবাদিক নির্যাতনের বেশিরভাগ ঘটনার সঙ্গে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কোন না কোনভাবে জড়িত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধেও সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগ মিলেছে। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন। তথ্য বা মত প্রকাশের জন্য তাদের নানা হুমকি, হামলা ও মামলা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। মত প্রকাশের জন্য সাংবাদিক হত্যার মন্দ নজিরও দেশে রয়েছে।
সাংবাদিকরা যেন নির্বিঘ্নে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারেন সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে রাষ্ট্রের বিভিন্ন বাহিনী বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই বিভিন্ন সময় নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া যায়। সাংবাদিক নির্যাতনে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে ক্ষমতাসীন দলের একশ্রেণীর নেতাকর্মী। আসকের প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস হওয়ার পর দেশে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আইনটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর নির্যাতন-নিপীড়নের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। গণমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কারও কোন মত পছন্দ না হলেই এই আইনে মামলা ঠুকে দেয়া হচ্ছে। পুলিশ বিনা পরোয়ানায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করছে। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির জামিনও মিলছে না।
সাংবাদিক নির্যাতনের বেশিরভাগ অভিযোগের কোন প্রতিকার করা হয় না। দেশে সাংবাদিক হত্যার অনেক ঘটনারই বিচার হয়নি। বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয় না বলেই সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না। বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীও সাংবাদিক নির্যাতনে অন্যায় উৎসাহ পায়। কখনও বা প্রশাসন এসবের পেছনে থাকে। কিন্তু এগুলোর বিচার না হওয়ায় দেশে এমন নিপীড়নের ঘটনা ঘটতেই থাকে।
তথ্য বা মত প্রকাশ করাই সাংবাদিকের কাজ। পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সাংবাদিক নিপীড়ন কাম্য নয়। মুক্ত গণমাধ্যম ও গণতন্ত্র একে অপরের পরিপূরক। অবাধ ও মুক্ত পরিবেশে সাংবাদিকতা করার পরিবেশ নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যার সব ঘটনার বিচার করা গণতান্ত্রিক সরকারের অন্যতম কর্তব্য।