alt

সম্পাদকীয়

রোহিঙ্গাদের নিয়ে ব্যবসা করতে চাওয়া গোষ্ঠীর নাম প্রকাশ করুন

: মঙ্গলবার, ০৫ অক্টোবর ২০২১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, (বাংলাদেশে) রিফিউজি থাকলে কিছু লোকের লাভই হয়। রিফিউজি পালতে পারলেই কোন কোন সংস্থার জন্য ব্যবসা। এরা না থাকলে তাদের চাকরি থাকবে না। দেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য বসতি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে দেয়ার অনেক প্রস্তাবও সরকারের কাছে আসে বলে তিনি জানান। সোমবার (৪ অক্টোবর) গণভবন থেকে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

একটি চক্র চায়, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সমস্যা স্থায়ী রূপ পাক- অতীতেও এমন অভিযোগ উঠেছে। এখন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে এই অভিযোগ ভিত্তি পেল। রোহিঙ্গাদের সাহায্য-সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। তবে সাহায্য-সহযোগিতার আড়ালে কেউ এই সংকট নিয়ে ফায়দা লুটবে সেটা হতে পারে না। এখানে আশ্রয় পাওয়া রোহিঙ্গাদের নিয়ে যারা হীন স্বার্থে ‘ব্যবসা’ করার পাঁয়তারা করছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার কোন ব্যবস্থা নিয়েছে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। শুধু তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করাই যথেষ্ট নয়। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনবিরোধী যে কোন অপতৎপরতা কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। যারা রোহিঙ্গাদের নিয়ে ব্যবসা করতে চায় তাদের নাম জাতির সামনে প্রকাশ করতে হবে।

রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধান করতে হলে তাদের অবশ্যই নিজ দেশে ফিরতে হবে। মায়ানমার এই সংকট তৈরি করেছে, তাদেরই এর সমাধান করতে হবে। কিন্তু চার বছরেরও বেশি সময় পার হলেও দেশটি একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত নেয়নি। প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিশ্ব শক্তিগুলোর ভূমিকাও হতাশজনক। এ নিয়ে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক কূটনীতি ব্যর্থ হচ্ছে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। বাংলাদেশের কোন আহ্বানেই কাক্সিক্ষত সাড়া মিলছে না। এমনকি বন্ধু হিসেবে পরিচিত এই অঞ্চলের দুই শক্তি চীন ও ভারতকেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে কার্যকরভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। চীন এই ইস্যুতে এ পর্যন্ত যে পদক্ষেপ নিয়েছে সেটাকে যথেষ্ট বলা যাবে না।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মায়ানমার যেন বাধ্য হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। দেশটি যে শুধু মুখের কথায় এই সমস্যার সমাধান করবে না সেটা অনেক আগেই স্পষ্ট হয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে জোরালো কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। বিশেষ করে চীন ও ভারতকে আক্ষরিক অর্থে পাশে পাওয়া জরুরি। পাশাপাশি আসিয়ানকেও কাজে লাগাতে হবে।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

রোহিঙ্গাদের নিয়ে ব্যবসা করতে চাওয়া গোষ্ঠীর নাম প্রকাশ করুন

মঙ্গলবার, ০৫ অক্টোবর ২০২১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, (বাংলাদেশে) রিফিউজি থাকলে কিছু লোকের লাভই হয়। রিফিউজি পালতে পারলেই কোন কোন সংস্থার জন্য ব্যবসা। এরা না থাকলে তাদের চাকরি থাকবে না। দেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য বসতি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে দেয়ার অনেক প্রস্তাবও সরকারের কাছে আসে বলে তিনি জানান। সোমবার (৪ অক্টোবর) গণভবন থেকে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

একটি চক্র চায়, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সমস্যা স্থায়ী রূপ পাক- অতীতেও এমন অভিযোগ উঠেছে। এখন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে এই অভিযোগ ভিত্তি পেল। রোহিঙ্গাদের সাহায্য-সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। তবে সাহায্য-সহযোগিতার আড়ালে কেউ এই সংকট নিয়ে ফায়দা লুটবে সেটা হতে পারে না। এখানে আশ্রয় পাওয়া রোহিঙ্গাদের নিয়ে যারা হীন স্বার্থে ‘ব্যবসা’ করার পাঁয়তারা করছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার কোন ব্যবস্থা নিয়েছে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। শুধু তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করাই যথেষ্ট নয়। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনবিরোধী যে কোন অপতৎপরতা কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। যারা রোহিঙ্গাদের নিয়ে ব্যবসা করতে চায় তাদের নাম জাতির সামনে প্রকাশ করতে হবে।

রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধান করতে হলে তাদের অবশ্যই নিজ দেশে ফিরতে হবে। মায়ানমার এই সংকট তৈরি করেছে, তাদেরই এর সমাধান করতে হবে। কিন্তু চার বছরেরও বেশি সময় পার হলেও দেশটি একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত নেয়নি। প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিশ্ব শক্তিগুলোর ভূমিকাও হতাশজনক। এ নিয়ে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক কূটনীতি ব্যর্থ হচ্ছে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। বাংলাদেশের কোন আহ্বানেই কাক্সিক্ষত সাড়া মিলছে না। এমনকি বন্ধু হিসেবে পরিচিত এই অঞ্চলের দুই শক্তি চীন ও ভারতকেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে কার্যকরভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। চীন এই ইস্যুতে এ পর্যন্ত যে পদক্ষেপ নিয়েছে সেটাকে যথেষ্ট বলা যাবে না।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মায়ানমার যেন বাধ্য হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। দেশটি যে শুধু মুখের কথায় এই সমস্যার সমাধান করবে না সেটা অনেক আগেই স্পষ্ট হয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে জোরালো কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। বিশেষ করে চীন ও ভারতকে আক্ষরিক অর্থে পাশে পাওয়া জরুরি। পাশাপাশি আসিয়ানকেও কাজে লাগাতে হবে।

back to top