alt

সম্পাদকীয়

নিত্যপণ্যের বাজারে মানুষের পকেট কাটা বন্ধ করুন

: শনিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২১

বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলছে। সপ্তাহখানেক আগেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। এখন তা ৭০-৮০ টাকা। শুধু এই একটি পণ্যেরই দাম বাড়েনি। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার অজুহাতে বেড়েছে ভোজ্যতেল, চিনি ও ডালের দাম। ভরা মৌসুমেও দেশের চালের বাজার চড়া। নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের প্রোটিনের প্রধান উৎস বলে খ্যাত ব্রয়লার মুরগির দামও চড়া। বাজারে এখন প্রতি কেজি ব্রয়লারের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৩০-১৪০ টাকা। সবজির বাজারেও রয়েছে অস্বস্তি।

নিত্যপণ্যের দাম বাড়লে নিম্নবিত্ত, খেটে খাওয়া ও সীমিত আয়ের মানুষের ওপর বাড়তি অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করে। একটি দুটি পণ্যের দাম বাড়লেই সীমিত আয়ের মানুষের পকেটে টান পড়ে। পরিবার নিয়ে তাদের টিকে থাকা কষ্টকর হয়ে যায়। মৌসুমভেদে কোন কোন পণ্যের দাম যৌক্তিক কারণে বাড়লে সেটার সঙ্গে সাধারণ মানুষ মানিয়ে নেয়ার প্রাণান্তকর চেষ্টা করে। কিন্তু কোন কারণ ছাড়া নিত্যপণ্যের দাম যখন লাগামহীন বাড়তে থাকে তখন সাধারণ মানুষের পক্ষে এর চাপ সামলানো সম্ভব হয় না। বাড়তি দামের বোঝায় চিড়ে-চ্যাপ্টা হওয়া এসব মানুষের খবর কেউ রাখে বলে মনে হয় না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোন প্রচেষ্টা দেখা যায় না।

দাম বাড়ার অজুহাত হিসেবে অনেক কারণের কথাই বলা হয়। সপ্তাহখানেক আগে ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছে। আমদানিও কিছুটা কমেছে বলে জানা গেছে। এ খবরেই দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। অথচ দেশি পেঁয়াজের এবার ঘাটতি নেই। বরং এবার সাড়ে ছয় লাখ টন বাড়তি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। আমদানি কম হওয়ার খবরেই যদি পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়, তাহলে সত্যি সত্যি আমদানি বন্ধ হলে এর দাম কোথায় গিয়ে পৌঁছবে সেটা ভেবে আমরা শঙ্কিত। এর আগে ২০১৯ সালের অক্টোবরে আকস্মিকভাবে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিলে এর দাম ২০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।

কারণে-অকারণে যদি কোন পণ্যের দাম বাড়ে তখন রাতারাতি সেটা দ্বিগুণ হয়ে যায়। আর দেশে একবার কোন পণ্যের দাম বাড়লে তা আর সহজে কমতে চায় না। কেন কমে না সেটার কারণ খতিয়ে দেখা বা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয় না।

শোনা যাচ্ছে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগামীকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে পেঁয়াজ আমদানির ওপর আরোপিত ৫ শতাংশ কর প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেয়া হতে পারে। অতীতেও এমন অনেক বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তার সুফল পাওয়া যায়নি। এবার যেন সুফল মেলে সেটা আমাদের প্রত্যাশা।

যেকোন মূল্যে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে। এজন্য বাজার মনিটর করতে হবে। অনেক মজুদদার অন্যায়ভবে মাত্রাতিরিক্ত মুনাফা করেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সবজিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে উন্নত বিপণন ব্যবস্থা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে টিসিবির বিপণন কার্যক্রম আরও জোরদার ও এর পরিধি বিস্তৃত করতে হবে। বিপণন ব্যবস্থা এমন হতে হবে যেন মধ্যবিত্তরাও নিঃসংকোচে টিসিবির পণ্য কিনতে পারে।

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

tab

সম্পাদকীয়

নিত্যপণ্যের বাজারে মানুষের পকেট কাটা বন্ধ করুন

শনিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২১

বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলছে। সপ্তাহখানেক আগেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। এখন তা ৭০-৮০ টাকা। শুধু এই একটি পণ্যেরই দাম বাড়েনি। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার অজুহাতে বেড়েছে ভোজ্যতেল, চিনি ও ডালের দাম। ভরা মৌসুমেও দেশের চালের বাজার চড়া। নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের প্রোটিনের প্রধান উৎস বলে খ্যাত ব্রয়লার মুরগির দামও চড়া। বাজারে এখন প্রতি কেজি ব্রয়লারের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৩০-১৪০ টাকা। সবজির বাজারেও রয়েছে অস্বস্তি।

নিত্যপণ্যের দাম বাড়লে নিম্নবিত্ত, খেটে খাওয়া ও সীমিত আয়ের মানুষের ওপর বাড়তি অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করে। একটি দুটি পণ্যের দাম বাড়লেই সীমিত আয়ের মানুষের পকেটে টান পড়ে। পরিবার নিয়ে তাদের টিকে থাকা কষ্টকর হয়ে যায়। মৌসুমভেদে কোন কোন পণ্যের দাম যৌক্তিক কারণে বাড়লে সেটার সঙ্গে সাধারণ মানুষ মানিয়ে নেয়ার প্রাণান্তকর চেষ্টা করে। কিন্তু কোন কারণ ছাড়া নিত্যপণ্যের দাম যখন লাগামহীন বাড়তে থাকে তখন সাধারণ মানুষের পক্ষে এর চাপ সামলানো সম্ভব হয় না। বাড়তি দামের বোঝায় চিড়ে-চ্যাপ্টা হওয়া এসব মানুষের খবর কেউ রাখে বলে মনে হয় না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোন প্রচেষ্টা দেখা যায় না।

দাম বাড়ার অজুহাত হিসেবে অনেক কারণের কথাই বলা হয়। সপ্তাহখানেক আগে ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছে। আমদানিও কিছুটা কমেছে বলে জানা গেছে। এ খবরেই দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। অথচ দেশি পেঁয়াজের এবার ঘাটতি নেই। বরং এবার সাড়ে ছয় লাখ টন বাড়তি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। আমদানি কম হওয়ার খবরেই যদি পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়, তাহলে সত্যি সত্যি আমদানি বন্ধ হলে এর দাম কোথায় গিয়ে পৌঁছবে সেটা ভেবে আমরা শঙ্কিত। এর আগে ২০১৯ সালের অক্টোবরে আকস্মিকভাবে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিলে এর দাম ২০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।

কারণে-অকারণে যদি কোন পণ্যের দাম বাড়ে তখন রাতারাতি সেটা দ্বিগুণ হয়ে যায়। আর দেশে একবার কোন পণ্যের দাম বাড়লে তা আর সহজে কমতে চায় না। কেন কমে না সেটার কারণ খতিয়ে দেখা বা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয় না।

শোনা যাচ্ছে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগামীকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে পেঁয়াজ আমদানির ওপর আরোপিত ৫ শতাংশ কর প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেয়া হতে পারে। অতীতেও এমন অনেক বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তার সুফল পাওয়া যায়নি। এবার যেন সুফল মেলে সেটা আমাদের প্রত্যাশা।

যেকোন মূল্যে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে। এজন্য বাজার মনিটর করতে হবে। অনেক মজুদদার অন্যায়ভবে মাত্রাতিরিক্ত মুনাফা করেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সবজিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে উন্নত বিপণন ব্যবস্থা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে টিসিবির বিপণন কার্যক্রম আরও জোরদার ও এর পরিধি বিস্তৃত করতে হবে। বিপণন ব্যবস্থা এমন হতে হবে যেন মধ্যবিত্তরাও নিঃসংকোচে টিসিবির পণ্য কিনতে পারে।

back to top