মেঘনা নদীর নৌপথটি খনন করা হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে। উদ্দেশ্য ছিল ঢাকা-লক্ষ্মীপুর লঞ্চ সার্ভিস চালু করা। যাতে লক্ষ্মীপুরের মানুষ সহজে এবং স্বাচ্ছন্দ্যে নৌপথে চলাচল করতে পারেন।
সড়কপথে ঢাকা থেকে লক্ষ্মীপুরের দূরত্ব ২০০ কিলোমিটার। বাসে যাতায়াত করতে সময় লাগে ৬-৭ ঘণ্টা। আর যানজট হলে ১০-১২ ঘণ্টা। নৌপথে ঢাকা-লক্ষ্মীপুরের দূরত্ব ছিল ১৩৭ কিলোমিটার। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে জানা গেছে, লঞ্চ সার্ভিস চালুর জন্য মেঘনা নদী খননের মাধ্যমে এ দূরত্ব ১২ কিলোমিটার কমিয়ে আনা হয়েছে। মেঘনা নদীর ১ দশমিক ৩০ কিলোমিটার চর খনন করে নতুন একটি চ্যানেল তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে লঞ্চে যাতায়াতে সময় লাগবে ৭-৮ ঘণ্টা। সঙ্গত কারণেই সড়কপথের চেয়ে নৌপথের ভাড়া কম। আর ভ্রমণে ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্যের প্রশ্ন তো আছেই।
এসব সুবিধার কোনটাই ভোগ করতে পারছেন না লক্ষ্মীপুরবাসী। কারণ এখনও ঢাকা-লক্ষ্মীপুর লঞ্চ সার্ভিস চালু হয়নি। অথচ এই পথ ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জেলার যাত্রীবাহী লঞ্চসহ অন্যান্য নৌযান ঠিকই চলাচল করে। এ নিয়ে গতকাল শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
লঞ্চ চলাচলের জন্য সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছিল, বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা। ২০১৮ সালের ২৭ জানুয়ারি সেই আনুষ্ঠানিকতার তারিখও ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু তা আর সম্পন্ন হয়নি। এরপর কেটে গেছে সাড়ে তিন বছর। লঞ্চ সার্ভিস চালু হলে সড়কপথের যাত্রী কমে যাবে এ আশঙ্কায় বাস মালিকরা ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
কোন একটি চক্রের গোষ্ঠী স্বার্থের কারণে লাখো মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হবে এমনটা হতে পারে না। পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের এমন দৌরাত্ম্য আগেও দেখা গেছে। তাদের কারণে অনেক রুটে বিআরটিসির বাস চলতে পারেনি। তাদের বিরেুদ্ধে বিআরটিসির বাস ভাঙচুর করা, চালক ও সহকারীকে মারধর করার অভিযোগ পুরনো। শুধু তাই নয় দেশের অনেক রেলপথও তাদের জন্য অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠন দেশটাকে মগের-মুল্লুক বানিয়ে ফেলছে। যখন যা খুশি তাই করছে। সড়ক পথে তারা নানা অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। নৌপথ ও রেলপথে তাদের শ্যেন দৃষ্টি পড়েছে। তারা যদি একদিন দেশের আকাশ পথে বিমান চলাচল আটকে দেয় তাহলেও হয়তো অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। তাদের হাত থেকে সড়কপথকে তো বটেই, নৌপথ-রেলপথও উদ্ধার করতে হবে।
ঢাকা-লক্ষ্মীপুর নৌপথে নতুন করে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। লঞ্চ সার্ভিস আগামী ১৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। তবে ঘোষিত তারিখে তা সম্ভব হবে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। জানা গেছে, অনুমোদিত লঞ্চটি মেরামত করতে আরও এক-দুই মাস সময় লাগবে। তবে স্থানীয়রা বলছেন, এখানেও বাস মালিকদের কোন ‘ষড়যন্ত্র’ আছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখতে হবে। সব ষড়যন্ত্রকে পেছনে ফেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অচিরেই ঢাকা-লক্ষ্মীপুর নৌপথে লঞ্চ চলাচল শুরু করবে- এটা আমাদের প্রতাশা।
রোববার, ১০ অক্টোবর ২০২১
মেঘনা নদীর নৌপথটি খনন করা হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে। উদ্দেশ্য ছিল ঢাকা-লক্ষ্মীপুর লঞ্চ সার্ভিস চালু করা। যাতে লক্ষ্মীপুরের মানুষ সহজে এবং স্বাচ্ছন্দ্যে নৌপথে চলাচল করতে পারেন।
সড়কপথে ঢাকা থেকে লক্ষ্মীপুরের দূরত্ব ২০০ কিলোমিটার। বাসে যাতায়াত করতে সময় লাগে ৬-৭ ঘণ্টা। আর যানজট হলে ১০-১২ ঘণ্টা। নৌপথে ঢাকা-লক্ষ্মীপুরের দূরত্ব ছিল ১৩৭ কিলোমিটার। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে জানা গেছে, লঞ্চ সার্ভিস চালুর জন্য মেঘনা নদী খননের মাধ্যমে এ দূরত্ব ১২ কিলোমিটার কমিয়ে আনা হয়েছে। মেঘনা নদীর ১ দশমিক ৩০ কিলোমিটার চর খনন করে নতুন একটি চ্যানেল তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে লঞ্চে যাতায়াতে সময় লাগবে ৭-৮ ঘণ্টা। সঙ্গত কারণেই সড়কপথের চেয়ে নৌপথের ভাড়া কম। আর ভ্রমণে ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্যের প্রশ্ন তো আছেই।
এসব সুবিধার কোনটাই ভোগ করতে পারছেন না লক্ষ্মীপুরবাসী। কারণ এখনও ঢাকা-লক্ষ্মীপুর লঞ্চ সার্ভিস চালু হয়নি। অথচ এই পথ ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জেলার যাত্রীবাহী লঞ্চসহ অন্যান্য নৌযান ঠিকই চলাচল করে। এ নিয়ে গতকাল শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
লঞ্চ চলাচলের জন্য সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছিল, বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা। ২০১৮ সালের ২৭ জানুয়ারি সেই আনুষ্ঠানিকতার তারিখও ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু তা আর সম্পন্ন হয়নি। এরপর কেটে গেছে সাড়ে তিন বছর। লঞ্চ সার্ভিস চালু হলে সড়কপথের যাত্রী কমে যাবে এ আশঙ্কায় বাস মালিকরা ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
কোন একটি চক্রের গোষ্ঠী স্বার্থের কারণে লাখো মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হবে এমনটা হতে পারে না। পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের এমন দৌরাত্ম্য আগেও দেখা গেছে। তাদের কারণে অনেক রুটে বিআরটিসির বাস চলতে পারেনি। তাদের বিরেুদ্ধে বিআরটিসির বাস ভাঙচুর করা, চালক ও সহকারীকে মারধর করার অভিযোগ পুরনো। শুধু তাই নয় দেশের অনেক রেলপথও তাদের জন্য অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠন দেশটাকে মগের-মুল্লুক বানিয়ে ফেলছে। যখন যা খুশি তাই করছে। সড়ক পথে তারা নানা অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। নৌপথ ও রেলপথে তাদের শ্যেন দৃষ্টি পড়েছে। তারা যদি একদিন দেশের আকাশ পথে বিমান চলাচল আটকে দেয় তাহলেও হয়তো অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। তাদের হাত থেকে সড়কপথকে তো বটেই, নৌপথ-রেলপথও উদ্ধার করতে হবে।
ঢাকা-লক্ষ্মীপুর নৌপথে নতুন করে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। লঞ্চ সার্ভিস আগামী ১৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। তবে ঘোষিত তারিখে তা সম্ভব হবে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। জানা গেছে, অনুমোদিত লঞ্চটি মেরামত করতে আরও এক-দুই মাস সময় লাগবে। তবে স্থানীয়রা বলছেন, এখানেও বাস মালিকদের কোন ‘ষড়যন্ত্র’ আছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখতে হবে। সব ষড়যন্ত্রকে পেছনে ফেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অচিরেই ঢাকা-লক্ষ্মীপুর নৌপথে লঞ্চ চলাচল শুরু করবে- এটা আমাদের প্রতাশা।