alt

সম্পাদকীয়

ঢাকা-লক্ষ্মীপুর লঞ্চ সার্ভিস চালু করুন

: রোববার, ১০ অক্টোবর ২০২১

মেঘনা নদীর নৌপথটি খনন করা হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে। উদ্দেশ্য ছিল ঢাকা-লক্ষ্মীপুর লঞ্চ সার্ভিস চালু করা। যাতে লক্ষ্মীপুরের মানুষ সহজে এবং স্বাচ্ছন্দ্যে নৌপথে চলাচল করতে পারেন।

সড়কপথে ঢাকা থেকে লক্ষ্মীপুরের দূরত্ব ২০০ কিলোমিটার। বাসে যাতায়াত করতে সময় লাগে ৬-৭ ঘণ্টা। আর যানজট হলে ১০-১২ ঘণ্টা। নৌপথে ঢাকা-লক্ষ্মীপুরের দূরত্ব ছিল ১৩৭ কিলোমিটার। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে জানা গেছে, লঞ্চ সার্ভিস চালুর জন্য মেঘনা নদী খননের মাধ্যমে এ দূরত্ব ১২ কিলোমিটার কমিয়ে আনা হয়েছে। মেঘনা নদীর ১ দশমিক ৩০ কিলোমিটার চর খনন করে নতুন একটি চ্যানেল তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে লঞ্চে যাতায়াতে সময় লাগবে ৭-৮ ঘণ্টা। সঙ্গত কারণেই সড়কপথের চেয়ে নৌপথের ভাড়া কম। আর ভ্রমণে ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্যের প্রশ্ন তো আছেই।

এসব সুবিধার কোনটাই ভোগ করতে পারছেন না লক্ষ্মীপুরবাসী। কারণ এখনও ঢাকা-লক্ষ্মীপুর লঞ্চ সার্ভিস চালু হয়নি। অথচ এই পথ ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জেলার যাত্রীবাহী লঞ্চসহ অন্যান্য নৌযান ঠিকই চলাচল করে। এ নিয়ে গতকাল শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

লঞ্চ চলাচলের জন্য সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছিল, বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা। ২০১৮ সালের ২৭ জানুয়ারি সেই আনুষ্ঠানিকতার তারিখও ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু তা আর সম্পন্ন হয়নি। এরপর কেটে গেছে সাড়ে তিন বছর। লঞ্চ সার্ভিস চালু হলে সড়কপথের যাত্রী কমে যাবে এ আশঙ্কায় বাস মালিকরা ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

কোন একটি চক্রের গোষ্ঠী স্বার্থের কারণে লাখো মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হবে এমনটা হতে পারে না। পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের এমন দৌরাত্ম্য আগেও দেখা গেছে। তাদের কারণে অনেক রুটে বিআরটিসির বাস চলতে পারেনি। তাদের বিরেুদ্ধে বিআরটিসির বাস ভাঙচুর করা, চালক ও সহকারীকে মারধর করার অভিযোগ পুরনো। শুধু তাই নয় দেশের অনেক রেলপথও তাদের জন্য অকার্যকর হয়ে পড়েছে।

পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠন দেশটাকে মগের-মুল্লুক বানিয়ে ফেলছে। যখন যা খুশি তাই করছে। সড়ক পথে তারা নানা অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। নৌপথ ও রেলপথে তাদের শ্যেন দৃষ্টি পড়েছে। তারা যদি একদিন দেশের আকাশ পথে বিমান চলাচল আটকে দেয় তাহলেও হয়তো অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। তাদের হাত থেকে সড়কপথকে তো বটেই, নৌপথ-রেলপথও উদ্ধার করতে হবে।

ঢাকা-লক্ষ্মীপুর নৌপথে নতুন করে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। লঞ্চ সার্ভিস আগামী ১৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। তবে ঘোষিত তারিখে তা সম্ভব হবে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। জানা গেছে, অনুমোদিত লঞ্চটি মেরামত করতে আরও এক-দুই মাস সময় লাগবে। তবে স্থানীয়রা বলছেন, এখানেও বাস মালিকদের কোন ‘ষড়যন্ত্র’ আছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখতে হবে। সব ষড়যন্ত্রকে পেছনে ফেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অচিরেই ঢাকা-লক্ষ্মীপুর নৌপথে লঞ্চ চলাচল শুরু করবে- এটা আমাদের প্রতাশা।

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

tab

সম্পাদকীয়

ঢাকা-লক্ষ্মীপুর লঞ্চ সার্ভিস চালু করুন

রোববার, ১০ অক্টোবর ২০২১

মেঘনা নদীর নৌপথটি খনন করা হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে। উদ্দেশ্য ছিল ঢাকা-লক্ষ্মীপুর লঞ্চ সার্ভিস চালু করা। যাতে লক্ষ্মীপুরের মানুষ সহজে এবং স্বাচ্ছন্দ্যে নৌপথে চলাচল করতে পারেন।

সড়কপথে ঢাকা থেকে লক্ষ্মীপুরের দূরত্ব ২০০ কিলোমিটার। বাসে যাতায়াত করতে সময় লাগে ৬-৭ ঘণ্টা। আর যানজট হলে ১০-১২ ঘণ্টা। নৌপথে ঢাকা-লক্ষ্মীপুরের দূরত্ব ছিল ১৩৭ কিলোমিটার। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে জানা গেছে, লঞ্চ সার্ভিস চালুর জন্য মেঘনা নদী খননের মাধ্যমে এ দূরত্ব ১২ কিলোমিটার কমিয়ে আনা হয়েছে। মেঘনা নদীর ১ দশমিক ৩০ কিলোমিটার চর খনন করে নতুন একটি চ্যানেল তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে লঞ্চে যাতায়াতে সময় লাগবে ৭-৮ ঘণ্টা। সঙ্গত কারণেই সড়কপথের চেয়ে নৌপথের ভাড়া কম। আর ভ্রমণে ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্যের প্রশ্ন তো আছেই।

এসব সুবিধার কোনটাই ভোগ করতে পারছেন না লক্ষ্মীপুরবাসী। কারণ এখনও ঢাকা-লক্ষ্মীপুর লঞ্চ সার্ভিস চালু হয়নি। অথচ এই পথ ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জেলার যাত্রীবাহী লঞ্চসহ অন্যান্য নৌযান ঠিকই চলাচল করে। এ নিয়ে গতকাল শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

লঞ্চ চলাচলের জন্য সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছিল, বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা। ২০১৮ সালের ২৭ জানুয়ারি সেই আনুষ্ঠানিকতার তারিখও ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু তা আর সম্পন্ন হয়নি। এরপর কেটে গেছে সাড়ে তিন বছর। লঞ্চ সার্ভিস চালু হলে সড়কপথের যাত্রী কমে যাবে এ আশঙ্কায় বাস মালিকরা ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

কোন একটি চক্রের গোষ্ঠী স্বার্থের কারণে লাখো মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হবে এমনটা হতে পারে না। পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের এমন দৌরাত্ম্য আগেও দেখা গেছে। তাদের কারণে অনেক রুটে বিআরটিসির বাস চলতে পারেনি। তাদের বিরেুদ্ধে বিআরটিসির বাস ভাঙচুর করা, চালক ও সহকারীকে মারধর করার অভিযোগ পুরনো। শুধু তাই নয় দেশের অনেক রেলপথও তাদের জন্য অকার্যকর হয়ে পড়েছে।

পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠন দেশটাকে মগের-মুল্লুক বানিয়ে ফেলছে। যখন যা খুশি তাই করছে। সড়ক পথে তারা নানা অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। নৌপথ ও রেলপথে তাদের শ্যেন দৃষ্টি পড়েছে। তারা যদি একদিন দেশের আকাশ পথে বিমান চলাচল আটকে দেয় তাহলেও হয়তো অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। তাদের হাত থেকে সড়কপথকে তো বটেই, নৌপথ-রেলপথও উদ্ধার করতে হবে।

ঢাকা-লক্ষ্মীপুর নৌপথে নতুন করে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। লঞ্চ সার্ভিস আগামী ১৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। তবে ঘোষিত তারিখে তা সম্ভব হবে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। জানা গেছে, অনুমোদিত লঞ্চটি মেরামত করতে আরও এক-দুই মাস সময় লাগবে। তবে স্থানীয়রা বলছেন, এখানেও বাস মালিকদের কোন ‘ষড়যন্ত্র’ আছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখতে হবে। সব ষড়যন্ত্রকে পেছনে ফেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অচিরেই ঢাকা-লক্ষ্মীপুর নৌপথে লঞ্চ চলাচল শুরু করবে- এটা আমাদের প্রতাশা।

back to top