নির্ধারিত সময়ে ও ব্যয়ে প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ার অসংখ্য নজির রয়েছে দেশে। আবার নির্ধারিত মেয়াদে কাজ শুরুই হয়নি এমন প্রকল্পও রয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) সূত্রে জানা গেছে, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাগেরহাটের রামপালে ‘আমাদের গ্রাম ক্যান্সার কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার’ নামে একটি প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত জুন মাসে। ১০৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালের জুলাই মাসে। কিন্তু বাস্তবে প্রকল্পটির কোন অগ্রগতিই হয়নি।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ছয়টি পূর্ণাঙ্গ টিভি কেন্দ্র স্থাপনের একটি প্রকল্পেরও একই অবস্থা। এক হাজার ৩৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে। গত বছরের ডিসেম্বরে এর মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু গত চার বছরেও এ প্রকল্পের কোন অগ্রগতি হয়নি। এমনকি নিয়োগ দেয়া হয়নি প্রকল্প পরিচালকও। একনেকে পাস হওয়া এমন আরও ডজনখানেকের মতো প্রকল্প রয়েছে, যেগুলোর মেয়াদ ফুরিয়ে আসছে, কিন্তু কাজই শুরু হয়নি।
আইএমইডি সচিব বলেছেন, এতো প্রকল্পের শূন্য অগ্রগতি খুবই দুঃখজনক। এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে চিঠি দেয়া হয়েছে। জবাব এলে করণীয় নির্ধারণ করা হবে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এককেটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয় জনগণের কল্যাণের জন্য। কিন্তু প্রকল্প যদি যথাসময়ে বাস্তবায়ন না করা যায়, বা কাজই শুরু না হয়, তাহলে জনগণকে কাক্সিক্ষত সেবা দেয়া সম্ভব হয় না। জনগণের কল্যাণের জন্য সরকার অনেক পরিকল্পনা করে, ভেবেচিন্তে প্রকল্প গ্রহণ করে। কিন্তু এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের সিংহভাগেরই উদাসীনতা ও অবহেলা দেখা যায়।
দেশে প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বাড়ানোর ঘটনা সাধারণ বিষয়। প্রকল্পের অর্থ নয়ছয় করার খবরও প্রায়ই পাওয়া যায়। সরকারও বিষয়গুলো সম্পর্কে অবহিত। বিভিন্ন সময় সরকারপ্রধান এ নিয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। জনগণের কল্যাণে সংশ্লিষ্টদের কাজ করার জন্য বার বার তাগাদা দেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের এ নিয়ে কোন মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না। প্রকল্প পাস হওয়ার পর নির্ধারিত সময়ে কাজ শুরু না হওয়া এর একটি বড় উদাহরণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোন প্রকল্প সময়মতো বাস্তবায়ন না হওয়ার বহুবিদ ক্ষতি রয়েছে। দিন দিন নির্মাণসামগ্রীসহ শ্রমিকের মজুরি ও অন্যান্য সেবার দাম বাড়ছে। ফলে প্রকল্পের ব্যয় অনেক বেড়ে যায়। এতে সরকারের উন্নয়ন শৃঙ্খলা বিনষ্ট নয়।
একনেকে পাস হওয়ার পরেও কেন এসব প্রকল্পের কাজ শুরু হলো না সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। বাস্তবায়নের দায়িত্ব যাদের হাতে ন্যস্ত ছিল তাদের কাজের স্বচ্ছতা ও জাবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। কারও অবহেলা ও উদাসীনতায় জনগণ সেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে, সরকারের উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনের কাজ বিঘ্নিত হবে, সেটা হতে পারে না।
মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর ২০২১
নির্ধারিত সময়ে ও ব্যয়ে প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ার অসংখ্য নজির রয়েছে দেশে। আবার নির্ধারিত মেয়াদে কাজ শুরুই হয়নি এমন প্রকল্পও রয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) সূত্রে জানা গেছে, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাগেরহাটের রামপালে ‘আমাদের গ্রাম ক্যান্সার কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার’ নামে একটি প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত জুন মাসে। ১০৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালের জুলাই মাসে। কিন্তু বাস্তবে প্রকল্পটির কোন অগ্রগতিই হয়নি।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ছয়টি পূর্ণাঙ্গ টিভি কেন্দ্র স্থাপনের একটি প্রকল্পেরও একই অবস্থা। এক হাজার ৩৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে। গত বছরের ডিসেম্বরে এর মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু গত চার বছরেও এ প্রকল্পের কোন অগ্রগতি হয়নি। এমনকি নিয়োগ দেয়া হয়নি প্রকল্প পরিচালকও। একনেকে পাস হওয়া এমন আরও ডজনখানেকের মতো প্রকল্প রয়েছে, যেগুলোর মেয়াদ ফুরিয়ে আসছে, কিন্তু কাজই শুরু হয়নি।
আইএমইডি সচিব বলেছেন, এতো প্রকল্পের শূন্য অগ্রগতি খুবই দুঃখজনক। এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে চিঠি দেয়া হয়েছে। জবাব এলে করণীয় নির্ধারণ করা হবে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এককেটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয় জনগণের কল্যাণের জন্য। কিন্তু প্রকল্প যদি যথাসময়ে বাস্তবায়ন না করা যায়, বা কাজই শুরু না হয়, তাহলে জনগণকে কাক্সিক্ষত সেবা দেয়া সম্ভব হয় না। জনগণের কল্যাণের জন্য সরকার অনেক পরিকল্পনা করে, ভেবেচিন্তে প্রকল্প গ্রহণ করে। কিন্তু এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের সিংহভাগেরই উদাসীনতা ও অবহেলা দেখা যায়।
দেশে প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বাড়ানোর ঘটনা সাধারণ বিষয়। প্রকল্পের অর্থ নয়ছয় করার খবরও প্রায়ই পাওয়া যায়। সরকারও বিষয়গুলো সম্পর্কে অবহিত। বিভিন্ন সময় সরকারপ্রধান এ নিয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। জনগণের কল্যাণে সংশ্লিষ্টদের কাজ করার জন্য বার বার তাগাদা দেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের এ নিয়ে কোন মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না। প্রকল্প পাস হওয়ার পর নির্ধারিত সময়ে কাজ শুরু না হওয়া এর একটি বড় উদাহরণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোন প্রকল্প সময়মতো বাস্তবায়ন না হওয়ার বহুবিদ ক্ষতি রয়েছে। দিন দিন নির্মাণসামগ্রীসহ শ্রমিকের মজুরি ও অন্যান্য সেবার দাম বাড়ছে। ফলে প্রকল্পের ব্যয় অনেক বেড়ে যায়। এতে সরকারের উন্নয়ন শৃঙ্খলা বিনষ্ট নয়।
একনেকে পাস হওয়ার পরেও কেন এসব প্রকল্পের কাজ শুরু হলো না সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। বাস্তবায়নের দায়িত্ব যাদের হাতে ন্যস্ত ছিল তাদের কাজের স্বচ্ছতা ও জাবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। কারও অবহেলা ও উদাসীনতায় জনগণ সেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে, সরকারের উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনের কাজ বিঘ্নিত হবে, সেটা হতে পারে না।