alt

সম্পাদকীয়

‘মা ইলিশ’ নিধন বন্ধে ব্যবস্থা নিন

: শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর ২০২১

প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ মাছ ধরার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে গত ৪ অক্টোবর থেকে। এ সময় দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, বিপণন, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ। ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্রে সব ধরনের মৎস্য আহরণও এ সময় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইলিশের নিরাপদ প্রজননের স্বার্থে মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ নিধন চলছেই। গতকাল বৃহস্পতিবার এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ৪ অক্টোবর থেকে মানিকগঞ্জের শিবালয় অঞ্চলে ৩৪টি অভিযানে এক লাখ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, প্রায় চার মণ ইলিশ, কয়েকটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা জব্দ করা হয়েছে। এ সময় ২৪ জন জেলেকে আটক করা হয়। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৬ জনকে এক মাস করে কারাদণ্ড এবং বয়স বিবেচনায় আটজনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

এছাড়া নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শরীয়তপুরের জাজিরা, নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জে পদ্মা নদীতে ইলিশ ধরার অপরাধে গত ১২ অক্টোবর ৭৩ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও ৫৩ হাজার টাকা জরিমানা এবং গত ৯ অক্টোবর ৫২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত ৮ অক্টোবর রাতে পটুয়াখালীর বাউফলের তেঁতুলিয়া নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মাছ ধরায় ২২ জেলে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি নৌকা, ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ৬০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে।

শুধু মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর এবং পটুয়াখালীতেই নয় ‘মা ইলিশ’ নিধনের ঘটনা ঘটছে আরো অনেক জায়গায়। অতীতেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আরও এক শ্রেণীর জেলেকে ইলিশ মাছ শিকার করতে দেখা গেছে। তাদের সঙ্গে স্থানীয় মহাজন, এক শ্রেণীর জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট প্রসাশনের কর্মকর্তাদের যোগসাজোশ আছে বলে জানা যায়। অভিযানে জেলেদের আটক করা গেলেও তাদের কখনও আটক করার কথা জানা যায় না। অধিকাংশ জেলেই পেটের দায়ে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে মাছ ধরতে যায়।

মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞার সময় সরকার জেলেদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে ২০ কেজি করে চাল দিয়েছে। এই পরিমাণ চাল একটি জেলে পরিবারের জন্য যথেষ্ট কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। আবার সে চাল অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্ত জেলেরা পায় না বলে অভিযোগ রয়েছে। শুধু চাল দিয়ে একটি পরিবারের প্রয়োজন মেটানো যায় না। জীবন ধারণের জন্য অন্যান্য জিনিসেরও প্রয়োজন আছে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের জীবন-ধারণের প্রয়োজন মেটানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

অনেক জেলেরই ঋণ আছে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে তাদের কাছ থেকে কিস্তি বা সুদ যাতে আদায় করা না হয় সেজন্য সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে। অনেক সময় কিস্তি পরিশোধের তাগাদা থেকে জেলেরা মাছ শিকার করতে বাধ্য হয়। জেলেদের মাঝে সহজ শর্তে ঋণ বিতরণ করা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখতে হবে।

শুধু অভিযান চালিয়ে জাল, নৌকা ও জেলে আটক করে কার্যকরভাবে ইলিশ নিধন বন্ধ করা যাবে না। জেলেদের সমস্যা সমাধানে বাস্তবে পদক্ষেপ নিতে হবে। বিষয়টি দেখতে হবে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

‘মা ইলিশ’ নিধন বন্ধে ব্যবস্থা নিন

শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর ২০২১

প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ মাছ ধরার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে গত ৪ অক্টোবর থেকে। এ সময় দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, বিপণন, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ। ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্রে সব ধরনের মৎস্য আহরণও এ সময় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইলিশের নিরাপদ প্রজননের স্বার্থে মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ নিধন চলছেই। গতকাল বৃহস্পতিবার এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ৪ অক্টোবর থেকে মানিকগঞ্জের শিবালয় অঞ্চলে ৩৪টি অভিযানে এক লাখ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, প্রায় চার মণ ইলিশ, কয়েকটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা জব্দ করা হয়েছে। এ সময় ২৪ জন জেলেকে আটক করা হয়। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৬ জনকে এক মাস করে কারাদণ্ড এবং বয়স বিবেচনায় আটজনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

এছাড়া নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শরীয়তপুরের জাজিরা, নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জে পদ্মা নদীতে ইলিশ ধরার অপরাধে গত ১২ অক্টোবর ৭৩ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও ৫৩ হাজার টাকা জরিমানা এবং গত ৯ অক্টোবর ৫২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত ৮ অক্টোবর রাতে পটুয়াখালীর বাউফলের তেঁতুলিয়া নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মাছ ধরায় ২২ জেলে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি নৌকা, ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ৬০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে।

শুধু মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর এবং পটুয়াখালীতেই নয় ‘মা ইলিশ’ নিধনের ঘটনা ঘটছে আরো অনেক জায়গায়। অতীতেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আরও এক শ্রেণীর জেলেকে ইলিশ মাছ শিকার করতে দেখা গেছে। তাদের সঙ্গে স্থানীয় মহাজন, এক শ্রেণীর জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট প্রসাশনের কর্মকর্তাদের যোগসাজোশ আছে বলে জানা যায়। অভিযানে জেলেদের আটক করা গেলেও তাদের কখনও আটক করার কথা জানা যায় না। অধিকাংশ জেলেই পেটের দায়ে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে মাছ ধরতে যায়।

মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞার সময় সরকার জেলেদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে ২০ কেজি করে চাল দিয়েছে। এই পরিমাণ চাল একটি জেলে পরিবারের জন্য যথেষ্ট কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। আবার সে চাল অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্ত জেলেরা পায় না বলে অভিযোগ রয়েছে। শুধু চাল দিয়ে একটি পরিবারের প্রয়োজন মেটানো যায় না। জীবন ধারণের জন্য অন্যান্য জিনিসেরও প্রয়োজন আছে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের জীবন-ধারণের প্রয়োজন মেটানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

অনেক জেলেরই ঋণ আছে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে তাদের কাছ থেকে কিস্তি বা সুদ যাতে আদায় করা না হয় সেজন্য সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে। অনেক সময় কিস্তি পরিশোধের তাগাদা থেকে জেলেরা মাছ শিকার করতে বাধ্য হয়। জেলেদের মাঝে সহজ শর্তে ঋণ বিতরণ করা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখতে হবে।

শুধু অভিযান চালিয়ে জাল, নৌকা ও জেলে আটক করে কার্যকরভাবে ইলিশ নিধন বন্ধ করা যাবে না। জেলেদের সমস্যা সমাধানে বাস্তবে পদক্ষেপ নিতে হবে। বিষয়টি দেখতে হবে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে।

back to top