নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা বিসিক শিল্পাঞ্চলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ক্রোনি গ্রুপের অবন্তী কালার টেক্স লিমিটেডের ৮৩০ শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে দুই শ্রমিক সংগঠন। মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলে মামলা প্রত্যাহার ও বকেয়া বেতনসহ ছাটাইকৃত শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের দাবি জানান তারা।
গতকাল বিকেল ৫টায় চাষাঢ়া শহীদ মিনারে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে ইউনাইটেড ফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স জেলা শাখা। সংগঠনটির জেলা সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সেন্টুর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশ।
একই সময় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে অবন্তী কালার টেক্স লি. শ্রমিকদের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র। অবন্তী কালার টেক্সের শ্রমিক আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, জেলা কমিটির সভাপতি এম এ শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, কারখানার শ্রমিক সজিব, সাথী ও ফাতেমা প্রমুখ।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, অবন্তী কালার টেক্সের মালিক শ্রম আইন লঙ্ঘন করে মাসের পর মাস শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বকেয়া রাখে। প্রত্যেক মাসেই বেতন নিয়ে ঘোরাঘুরি করে। কোন শ্রমিক কথা বললেই তাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়। হুমকি দিয়ে ভয় দেখিয়ে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। শ্রম আইন অনুযায়ী একজন শ্রমিক কোনো কারখানায় এক মাস কাজ করার পর পরবর্তী মাসের ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তার বেতন পরিশোধের কথা থাকলেও অবন্তী কালার টেক্সের মালিক আইন-কানুনের তোয়াক্কা করে না। কারখানার মালিক আসলাম সানি আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ার কারণে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শ্রমিক ছাঁটাই-নির্যাতন হয়রানি করে যাচ্ছে।
তারা আরও বলেন, মার্চ মাসের বকেয়া বেতন দাবিতে শ্রমিকরা রাস্তায় নামলে শিল্প কারখানা সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রশাসন সংকট নিরসনে কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো নিরিহ শ্রমিকদের ওপর লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও গুলি চালায়।
এ ঘটনায় ৮৩০ শ্রমিকের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। হুমকি-ধমকি দিয়ে ভয় দেখিয়ে শ্রমিকের দাবি আদায়ের আন্দোলন দমিয়ে রাখা, ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। অবিলম্বে শ্রমিক হয়রানির মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন পরিশোধসহ চাকুরিচ্যুত শ্রমিকদের আইনানুগ যাবতীয় পাওনা পরিশোধের আহ্বান জানান তারা।
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা বিসিক শিল্পাঞ্চলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ক্রোনি গ্রুপের অবন্তী কালার টেক্স লিমিটেডের ৮৩০ শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে দুই শ্রমিক সংগঠন। মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলে মামলা প্রত্যাহার ও বকেয়া বেতনসহ ছাটাইকৃত শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের দাবি জানান তারা।
গতকাল বিকেল ৫টায় চাষাঢ়া শহীদ মিনারে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে ইউনাইটেড ফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স জেলা শাখা। সংগঠনটির জেলা সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সেন্টুর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশ।
একই সময় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে অবন্তী কালার টেক্স লি. শ্রমিকদের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র। অবন্তী কালার টেক্সের শ্রমিক আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, জেলা কমিটির সভাপতি এম এ শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, কারখানার শ্রমিক সজিব, সাথী ও ফাতেমা প্রমুখ।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, অবন্তী কালার টেক্সের মালিক শ্রম আইন লঙ্ঘন করে মাসের পর মাস শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বকেয়া রাখে। প্রত্যেক মাসেই বেতন নিয়ে ঘোরাঘুরি করে। কোন শ্রমিক কথা বললেই তাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়। হুমকি দিয়ে ভয় দেখিয়ে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। শ্রম আইন অনুযায়ী একজন শ্রমিক কোনো কারখানায় এক মাস কাজ করার পর পরবর্তী মাসের ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তার বেতন পরিশোধের কথা থাকলেও অবন্তী কালার টেক্সের মালিক আইন-কানুনের তোয়াক্কা করে না। কারখানার মালিক আসলাম সানি আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ার কারণে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শ্রমিক ছাঁটাই-নির্যাতন হয়রানি করে যাচ্ছে।
তারা আরও বলেন, মার্চ মাসের বকেয়া বেতন দাবিতে শ্রমিকরা রাস্তায় নামলে শিল্প কারখানা সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রশাসন সংকট নিরসনে কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো নিরিহ শ্রমিকদের ওপর লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও গুলি চালায়।
এ ঘটনায় ৮৩০ শ্রমিকের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। হুমকি-ধমকি দিয়ে ভয় দেখিয়ে শ্রমিকের দাবি আদায়ের আন্দোলন দমিয়ে রাখা, ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। অবিলম্বে শ্রমিক হয়রানির মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন পরিশোধসহ চাকুরিচ্যুত শ্রমিকদের আইনানুগ যাবতীয় পাওনা পরিশোধের আহ্বান জানান তারা।