গাজীপুরে ট্রেন দূর্ঘটনা
গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের প্রায় ৩২ ঘন্টা পর ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন জয়দেবপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো: সেতাবুর রহমান।
জয়দেবপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো: সেতাবুর রহমান জানান, দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনের সব বগি উদ্ধার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টার ক্ষতিগ্রস্ত বগি ও তেলের ওয়াগন সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আপ লাইন ক্লিয়ার আছে।
শুক্রবার সকাল পৌনে ১১টার স্টেশনের দক্ষিণে আউটার সিগন্যালে টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের সঙ্গে তেলবাহী ওয়াগনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি ট্রেনের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় লোকোমাস্টার সহ চারজন আহত হন। এরপর ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রুটের ট্রেন চলাচল ২ ঘণ্টা বন্ধ হয়ে যায়। পরে বিকল্প লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। বিকেলে রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়। তেলবাহী ওয়াগনের লাইনচ্যুত ৪টি বগি অপসারণ করে পার্শ্ববর্তী স্টেশনে সরিয়ে নেয়া হয়।
এছাড়া যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের ক্ষতিগ্রস্ত ৪ টি বগি রেল লাইনের পাশে ফেলে রাখা হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দুটি ইঞ্জিন ও ওয়াগনের বগি সরিয়ে ফেলে রেলওয়ে বিভাগ।
দুর্ঘটনার পর দায়িত্বে অবহেলার কারণে জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার মো. হাশেম, পয়েন্টম্যান সাদ্দাম হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও গাজীপুর জেলা প্রশাসন ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
অন্যদিকে দায়িত্বরত রেলওয়ে নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনের যন্ত্রাংশ ও তেল যেন খোয়া যেতে না পারে তার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। গাজীপুর মহানগর পুলিশের ফিক্সড ও টহল টিম, র্যাব সদস্য, ২ প্লাটুন বিজিবি, আনসার সদস্য এবং রেলওয়ে পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন।
গাজীপুরে ট্রেন দূর্ঘটনা
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের প্রায় ৩২ ঘন্টা পর ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন জয়দেবপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো: সেতাবুর রহমান।
জয়দেবপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো: সেতাবুর রহমান জানান, দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনের সব বগি উদ্ধার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টার ক্ষতিগ্রস্ত বগি ও তেলের ওয়াগন সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আপ লাইন ক্লিয়ার আছে।
শুক্রবার সকাল পৌনে ১১টার স্টেশনের দক্ষিণে আউটার সিগন্যালে টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের সঙ্গে তেলবাহী ওয়াগনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি ট্রেনের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় লোকোমাস্টার সহ চারজন আহত হন। এরপর ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রুটের ট্রেন চলাচল ২ ঘণ্টা বন্ধ হয়ে যায়। পরে বিকল্প লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। বিকেলে রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়। তেলবাহী ওয়াগনের লাইনচ্যুত ৪টি বগি অপসারণ করে পার্শ্ববর্তী স্টেশনে সরিয়ে নেয়া হয়।
এছাড়া যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের ক্ষতিগ্রস্ত ৪ টি বগি রেল লাইনের পাশে ফেলে রাখা হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দুটি ইঞ্জিন ও ওয়াগনের বগি সরিয়ে ফেলে রেলওয়ে বিভাগ।
দুর্ঘটনার পর দায়িত্বে অবহেলার কারণে জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার মো. হাশেম, পয়েন্টম্যান সাদ্দাম হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও গাজীপুর জেলা প্রশাসন ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
অন্যদিকে দায়িত্বরত রেলওয়ে নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনের যন্ত্রাংশ ও তেল যেন খোয়া যেতে না পারে তার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। গাজীপুর মহানগর পুলিশের ফিক্সড ও টহল টিম, র্যাব সদস্য, ২ প্লাটুন বিজিবি, আনসার সদস্য এবং রেলওয়ে পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন।