সাটুরিয়ার রাজৈর খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিদিন ৫০ গ্রামের ৩০ হাজার মানুষ পারাপার হয়
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর রাজৈর খেয়াঘাটে সেতু নির্মাণে প্রথম নকশা অনুয়ায়ী না করায় উপজেলা প্রকৌশলী মো. নাজমুল করিম ও ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এতে সরকারকে অতিরিক্ত কোটি কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে বুয়েট কর্তৃক নকশা অনুযায়ী সেতু নির্মাণ না হলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলকাবাসী। বরাইদের গোপালপুরসহ ২০টি গ্রামের প্রায় দুই হাজার মানুষ এর স্বপক্ষে গণস্বাক্ষর দিয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে।
স্থানীয়দের অভিয়োগ, উপজেলা প্রকৌশলী মো. নাজমুল করিমকে অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আব্দুল হাই তার বাড়ির সামনে দিয়ে সেতুটি নির্মাণ করার গোপনে নতুন নকশা করেছেন। চেয়ারম্যানের নকশা অনুযায়ী সেতুটি নির্মাণ করা হলে প্রায় ৫০ গ্রামের ৩০ হাজার মানুষ ও কৃষকের উৎপাদিত ফসল, প্রায় ৮ হাজার শিক্ষার্থীকে এক কিলোমিটার ঘুরে আসতে হবে। সেতুটি বুয়েটের প্রথম নকশা অনুযায়ী হলে কৃষক, শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৩০ হাজার মানুষের সেতুটি উপকারে আসবে।
গত শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বরাইদ ইউনিয়েনের গোপালপুর বাজার, গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়, দরগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়, দরগ্রাম সরকারি ভিকু মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ, দরগ্রাম সিনিয়র আলেয়া মাদ্রাসা ও সরকারি ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বর্তমান রাজৈর খেয়াঘাট দিয়ে পারাপার হয়ে স্কুলে কলেজে যাতায়ত করে থাকে। এছাড়া টাঙ্গাইলের নাগরপুর, মানিকগঞ্জের ঘিওর, দৈলতপুর এলাকার মানুষ এ ঘাট দিয়ে চলাচল করে থাকেন। এ নিয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে সাটুরিয়া এলজিইডি প্রথমে গোপালপুর রাজৈর মাইনকার খেয়াঘাট দিয়ে বুয়েট কর্তৃক সেতু করার নকশা তৈরী করেন। সেতুটি নির্মাণের কয়েক ধাপে নদী শাসনের কাজ শুরু করে রাজৈর মাইনকার খেয়াঘাট দিয়ে। কিন্তু বরাইদ ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আব্দুল হাই বুয়েটের প্রথম নকশা বাতিল করে প্রায় ১ কিলোমিটার উত্তরে সরিয়ে নেন।
বিষয়টি এলাকাবাসী জানতে পেরে মাননীয় সংসদ, সচিব স্থানীয় সরকার বিভাগ, জেলা প্রশাসক, প্রকল্প পরিচালক, পল্লী সড়ক গুরুপ্তপূর্ণ সেতু নির্মাণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প এলজিইডি ও নির্বাহী প্রকৌশলী মানিকগঞ্জকে ১ মে সেতুটি বুয়েট কর্তৃক প্রথম নকশা অনুযায়ী করার জন্য লিখিত আবেদন করেন এলাকাবাসী। সেতুটি প্রথম নকশা অনুয়ায়ী করার জন্য সাটুরিয়া উপজেলার আট ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা স্বাক্ষর করেছেন।
গোপালপুর বাজারে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আপেল মাহমদু চৌধুরী বলেন, গোপালপুর বাজার বরাবর রাজৈর-গোপালপুর (পূর্ব পাশ) ও রাজৈর (পশ্চিম পাশ) ধলেশ্বরী নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মাণ চূরান্তাভাবে প্রক্রিয়াধীন আছে। প্রথমে বুয়েটের প্রতিনিধি সমন্বয়ে একটি টিম সর্ব প্রথম সরজমিন পরিদর্শন করে গোপালপুর বাজার সংলগ্ন মাইনকার খেয়া ঘাটে সেতুটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় এবং সে অনুযায়ী প্রাথমিক এলাইনমেন্ট নকশা প্রণয়ন করে সব কাজ শেষে টেন্ডারের ঘোষণা দেন কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু বরাইদ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান গাজী আব্দুল হাই, সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. নাজমুল করিমকে অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে জন স্বার্থ উপেক্ষা করে সেতুটি সরিয়ে উত্তর দিকে আনুমানিক এক কিলোমিটার দূরে তার নিজ বাড়ির সামনে দিয়ে সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করেন। চেয়ারম্যান বাড়ির নিকট থেকে সেতু নির্মাণ হলে সাটুরিয়া উপজেলা ও দৌলতপুর উপজেলার সঙ্গে সহজ যোগাযোগ বিঘ্নিত হবে। নাগরপুর দৌলতপুর ও ঘিওর উপজেলার দূরবর্তী জনগণসহ দড়গ্রাম ও সাটুরিয়া ইউনিয়ন এবং রাজৈর, ধূলট, কাকরাইদ, গালা, ঘরিয়ালা গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার লোকের দৈনন্দিন যাতায়াত বিঘ্নিত হবে।
গোপালপুরের মো. মিহির আলী বলেন, ৫ বছর ধরে শুনে আসছি সেতু নির্মাণ হবে গোপালপুর-রাজৈর ঘাটে। এখন শুনতাছি চেয়ারম্যানের বাড়ির নিকট হবে। আমরা কোন অবস্থাতেই সেতুটি গোপালপুর বাজারের উত্তরে নির্মাণ করতে দিব না। চর রাজৈর লালচান মিয়া ও গোলাম মোস্তফা বলেন, সেতুটি গোপালপুর বাজারের নিকটে না হলে, দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলব। প্রয়োজনে সেতুন কোন নির্মাণ সামগ্রী অন্য স্থানে নিয়ে যেতে দিব না। অতি শিঘ্রই ভুল সিদ্বান্ত থেকে না সড়ে আসলে আমারা সেতু সঠিক স্থানে নির্মাণের জন্য মানববন্ধনসহ বৃহত্তর কর্মসূচি গ্রহণ করব।
এ ব্যাপারে বরাইদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গজী আব্দুল হাই বলেন, বরাইদ ইউনিয়নের বৃহৎ স্বার্থেই সেতুটি যথা স্থানে নির্মিত হচ্ছে। এখানে আমার কোন হাত নেই। প্রকৌশলীরা যেখানে ভালো মনে করেছেন সেখান দিয়েই সেতু নির্মাণের প্রস্তাব করেছেন। সেতু সরিয়ে নেয়ার আমার কোন হাত নেই বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. নাজমুল করিম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রথমে বুয়েট কর্তৃক নকশা অনুযায়ী গোাপালপুর মাইনকার খেয়াঘাটে সেতু নির্মানের জন্য নকশা করা হয়। পরে প্রকল্প পরিচালকের অফিস থেকে গোপালপুর মজিদের বাড়ি নিকট থেকে ডিজাইন করা হয়। পরে তৃতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান গাজী আব্দুল হাই এর বাড়ির নিকট থেকে ডিজাইন করা হয়। সর্বশেষ ডিজাইন অনুযায়ী সেতু নির্মাণের জন্য টেন্ডারের পক্রিয়াধীন ছিল। কিন্তু এখানে সেতু নির্মাণ হলে জনসার্থ বিঘ্নিত হবে বলে দাবি করেন তিনি।
সাটুরিয়ার রাজৈর খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিদিন ৫০ গ্রামের ৩০ হাজার মানুষ পারাপার হয়
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর রাজৈর খেয়াঘাটে সেতু নির্মাণে প্রথম নকশা অনুয়ায়ী না করায় উপজেলা প্রকৌশলী মো. নাজমুল করিম ও ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এতে সরকারকে অতিরিক্ত কোটি কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে বুয়েট কর্তৃক নকশা অনুযায়ী সেতু নির্মাণ না হলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলকাবাসী। বরাইদের গোপালপুরসহ ২০টি গ্রামের প্রায় দুই হাজার মানুষ এর স্বপক্ষে গণস্বাক্ষর দিয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে।
স্থানীয়দের অভিয়োগ, উপজেলা প্রকৌশলী মো. নাজমুল করিমকে অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আব্দুল হাই তার বাড়ির সামনে দিয়ে সেতুটি নির্মাণ করার গোপনে নতুন নকশা করেছেন। চেয়ারম্যানের নকশা অনুযায়ী সেতুটি নির্মাণ করা হলে প্রায় ৫০ গ্রামের ৩০ হাজার মানুষ ও কৃষকের উৎপাদিত ফসল, প্রায় ৮ হাজার শিক্ষার্থীকে এক কিলোমিটার ঘুরে আসতে হবে। সেতুটি বুয়েটের প্রথম নকশা অনুযায়ী হলে কৃষক, শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৩০ হাজার মানুষের সেতুটি উপকারে আসবে।
গত শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বরাইদ ইউনিয়েনের গোপালপুর বাজার, গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়, দরগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়, দরগ্রাম সরকারি ভিকু মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ, দরগ্রাম সিনিয়র আলেয়া মাদ্রাসা ও সরকারি ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বর্তমান রাজৈর খেয়াঘাট দিয়ে পারাপার হয়ে স্কুলে কলেজে যাতায়ত করে থাকে। এছাড়া টাঙ্গাইলের নাগরপুর, মানিকগঞ্জের ঘিওর, দৈলতপুর এলাকার মানুষ এ ঘাট দিয়ে চলাচল করে থাকেন। এ নিয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে সাটুরিয়া এলজিইডি প্রথমে গোপালপুর রাজৈর মাইনকার খেয়াঘাট দিয়ে বুয়েট কর্তৃক সেতু করার নকশা তৈরী করেন। সেতুটি নির্মাণের কয়েক ধাপে নদী শাসনের কাজ শুরু করে রাজৈর মাইনকার খেয়াঘাট দিয়ে। কিন্তু বরাইদ ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আব্দুল হাই বুয়েটের প্রথম নকশা বাতিল করে প্রায় ১ কিলোমিটার উত্তরে সরিয়ে নেন।
বিষয়টি এলাকাবাসী জানতে পেরে মাননীয় সংসদ, সচিব স্থানীয় সরকার বিভাগ, জেলা প্রশাসক, প্রকল্প পরিচালক, পল্লী সড়ক গুরুপ্তপূর্ণ সেতু নির্মাণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প এলজিইডি ও নির্বাহী প্রকৌশলী মানিকগঞ্জকে ১ মে সেতুটি বুয়েট কর্তৃক প্রথম নকশা অনুযায়ী করার জন্য লিখিত আবেদন করেন এলাকাবাসী। সেতুটি প্রথম নকশা অনুয়ায়ী করার জন্য সাটুরিয়া উপজেলার আট ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা স্বাক্ষর করেছেন।
গোপালপুর বাজারে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আপেল মাহমদু চৌধুরী বলেন, গোপালপুর বাজার বরাবর রাজৈর-গোপালপুর (পূর্ব পাশ) ও রাজৈর (পশ্চিম পাশ) ধলেশ্বরী নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মাণ চূরান্তাভাবে প্রক্রিয়াধীন আছে। প্রথমে বুয়েটের প্রতিনিধি সমন্বয়ে একটি টিম সর্ব প্রথম সরজমিন পরিদর্শন করে গোপালপুর বাজার সংলগ্ন মাইনকার খেয়া ঘাটে সেতুটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় এবং সে অনুযায়ী প্রাথমিক এলাইনমেন্ট নকশা প্রণয়ন করে সব কাজ শেষে টেন্ডারের ঘোষণা দেন কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু বরাইদ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান গাজী আব্দুল হাই, সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. নাজমুল করিমকে অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে জন স্বার্থ উপেক্ষা করে সেতুটি সরিয়ে উত্তর দিকে আনুমানিক এক কিলোমিটার দূরে তার নিজ বাড়ির সামনে দিয়ে সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করেন। চেয়ারম্যান বাড়ির নিকট থেকে সেতু নির্মাণ হলে সাটুরিয়া উপজেলা ও দৌলতপুর উপজেলার সঙ্গে সহজ যোগাযোগ বিঘ্নিত হবে। নাগরপুর দৌলতপুর ও ঘিওর উপজেলার দূরবর্তী জনগণসহ দড়গ্রাম ও সাটুরিয়া ইউনিয়ন এবং রাজৈর, ধূলট, কাকরাইদ, গালা, ঘরিয়ালা গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার লোকের দৈনন্দিন যাতায়াত বিঘ্নিত হবে।
গোপালপুরের মো. মিহির আলী বলেন, ৫ বছর ধরে শুনে আসছি সেতু নির্মাণ হবে গোপালপুর-রাজৈর ঘাটে। এখন শুনতাছি চেয়ারম্যানের বাড়ির নিকট হবে। আমরা কোন অবস্থাতেই সেতুটি গোপালপুর বাজারের উত্তরে নির্মাণ করতে দিব না। চর রাজৈর লালচান মিয়া ও গোলাম মোস্তফা বলেন, সেতুটি গোপালপুর বাজারের নিকটে না হলে, দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলব। প্রয়োজনে সেতুন কোন নির্মাণ সামগ্রী অন্য স্থানে নিয়ে যেতে দিব না। অতি শিঘ্রই ভুল সিদ্বান্ত থেকে না সড়ে আসলে আমারা সেতু সঠিক স্থানে নির্মাণের জন্য মানববন্ধনসহ বৃহত্তর কর্মসূচি গ্রহণ করব।
এ ব্যাপারে বরাইদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গজী আব্দুল হাই বলেন, বরাইদ ইউনিয়নের বৃহৎ স্বার্থেই সেতুটি যথা স্থানে নির্মিত হচ্ছে। এখানে আমার কোন হাত নেই। প্রকৌশলীরা যেখানে ভালো মনে করেছেন সেখান দিয়েই সেতু নির্মাণের প্রস্তাব করেছেন। সেতু সরিয়ে নেয়ার আমার কোন হাত নেই বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. নাজমুল করিম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রথমে বুয়েট কর্তৃক নকশা অনুযায়ী গোাপালপুর মাইনকার খেয়াঘাটে সেতু নির্মানের জন্য নকশা করা হয়। পরে প্রকল্প পরিচালকের অফিস থেকে গোপালপুর মজিদের বাড়ি নিকট থেকে ডিজাইন করা হয়। পরে তৃতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান গাজী আব্দুল হাই এর বাড়ির নিকট থেকে ডিজাইন করা হয়। সর্বশেষ ডিজাইন অনুযায়ী সেতু নির্মাণের জন্য টেন্ডারের পক্রিয়াধীন ছিল। কিন্তু এখানে সেতু নির্মাণ হলে জনসার্থ বিঘ্নিত হবে বলে দাবি করেন তিনি।