উন্মুক্ত লাইব্রেরির প্রথম জেলা শাখা হিসেবে নোয়াখালী জেলায় উন্মুক্ত লাইব্রেরি উদ্বোধন করা হয়৷ আজ ৮ই মে (বুধবার) নোয়াখালী জেলার চৌমুহনী পৌর পার্কে উন্মুক্ত লাইব্রেরি, নোয়াখালীর শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উন্মুক্ত লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ফিতা কেটে উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এর মধ্য দিয়ে প্রথম কোনো জেলা শাখা হিসেবে উন্মুক্ত লাইব্রেরি, নোয়াখালীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
উদ্বোধনী বক্তব্যে উন্মুক্ত লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা তানভীর হাসান সৈকত বলেন, উন্মুক্ত লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার পেছনে অন্যতম কারণ ছিল হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট, আমাদের মনোজগতের উন্নয়ন। উন্নত দেশগুলোতে আমরা রাস্তার পাশে কিংবা উন্মুক্ত পার্কে মানুষকে বই পড়তে দেখি। কিন্তু আমাদের দেশে সেটি দেখা যায় না। উন্মুক্ত লাইব্রেরির মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশেও সেধরনের সংস্কৃতি তৈরির চেষ্টা করছি।
সৈকত বলেন, তরুণদের মধ্যে যারা বই বিমুখ হয়ে গিয়েছে, উন্মুক্ত লাইব্রেরি তাদের জন্য নতুন দ্বার খুলে দিবে, নতুন পথ দেখাবে এবং নতুন করে ভাবতে শেখাবে। একইসাথে উন্মুক্ত লাইব্রেরি আমাদের মগজের অন্ধত্বতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি, মৌলবাদী চর্চা ও ঔপনিবেশিক মনোভাব দূরীকরণে ভূমিকা রাখবে৷
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নোয়াখালী ৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণ বলেন, বই মানুষের জ্ঞান বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, মানুষকে সমৃদ্ধ করে৷ লাইব্রেরি বা পাঠাগার একটি অঞ্চলের মানুষকে আলোকিত করে তুলতে পারে৷ নোয়াখালীর মাটিতে উন্মুক্ত লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠা এই অঞ্চলের মানুষকে আলোকিত করে তুলবে বলে বিশ্বাস করি৷
এসময় তিনি উন্মুক্ত লাইব্রেরির যেকোনো প্রয়োজনে এবং লাইব্রেরির সম্মৃদ্ধিতে পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন৷
উন্মুক্ত লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মোছাদ্দেক বিল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় উন্মুক্ত লাইব্রেরি ছড়িয়ে পড়ার যে স্বপ্নটি আমরা লালন করছি, নোয়াখালী জেলায় উন্মুক্ত লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে আমাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে শুরু করেছে৷ আমি বিশ্বাস করি নোয়াখালীতে প্রতিষ্ঠিত উন্মুক্ত লাইব্রেরি এই অঞ্চলের মানুষের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে৷
উন্মুক্ত লাইব্রেরির উদ্যোক্তা রাকিবুল হাসান রাহির সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ খালেদ সাইফুল্লাহ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ফটকে ২০২২ সালের ৯ ই ফেব্রুয়ারি উন্মুক্ত লাইব্রেরি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে৷
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪
উন্মুক্ত লাইব্রেরির প্রথম জেলা শাখা হিসেবে নোয়াখালী জেলায় উন্মুক্ত লাইব্রেরি উদ্বোধন করা হয়৷ আজ ৮ই মে (বুধবার) নোয়াখালী জেলার চৌমুহনী পৌর পার্কে উন্মুক্ত লাইব্রেরি, নোয়াখালীর শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উন্মুক্ত লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ফিতা কেটে উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এর মধ্য দিয়ে প্রথম কোনো জেলা শাখা হিসেবে উন্মুক্ত লাইব্রেরি, নোয়াখালীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
উদ্বোধনী বক্তব্যে উন্মুক্ত লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা তানভীর হাসান সৈকত বলেন, উন্মুক্ত লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার পেছনে অন্যতম কারণ ছিল হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট, আমাদের মনোজগতের উন্নয়ন। উন্নত দেশগুলোতে আমরা রাস্তার পাশে কিংবা উন্মুক্ত পার্কে মানুষকে বই পড়তে দেখি। কিন্তু আমাদের দেশে সেটি দেখা যায় না। উন্মুক্ত লাইব্রেরির মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশেও সেধরনের সংস্কৃতি তৈরির চেষ্টা করছি।
সৈকত বলেন, তরুণদের মধ্যে যারা বই বিমুখ হয়ে গিয়েছে, উন্মুক্ত লাইব্রেরি তাদের জন্য নতুন দ্বার খুলে দিবে, নতুন পথ দেখাবে এবং নতুন করে ভাবতে শেখাবে। একইসাথে উন্মুক্ত লাইব্রেরি আমাদের মগজের অন্ধত্বতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি, মৌলবাদী চর্চা ও ঔপনিবেশিক মনোভাব দূরীকরণে ভূমিকা রাখবে৷
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নোয়াখালী ৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণ বলেন, বই মানুষের জ্ঞান বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, মানুষকে সমৃদ্ধ করে৷ লাইব্রেরি বা পাঠাগার একটি অঞ্চলের মানুষকে আলোকিত করে তুলতে পারে৷ নোয়াখালীর মাটিতে উন্মুক্ত লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠা এই অঞ্চলের মানুষকে আলোকিত করে তুলবে বলে বিশ্বাস করি৷
এসময় তিনি উন্মুক্ত লাইব্রেরির যেকোনো প্রয়োজনে এবং লাইব্রেরির সম্মৃদ্ধিতে পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন৷
উন্মুক্ত লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মোছাদ্দেক বিল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় উন্মুক্ত লাইব্রেরি ছড়িয়ে পড়ার যে স্বপ্নটি আমরা লালন করছি, নোয়াখালী জেলায় উন্মুক্ত লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে আমাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে শুরু করেছে৷ আমি বিশ্বাস করি নোয়াখালীতে প্রতিষ্ঠিত উন্মুক্ত লাইব্রেরি এই অঞ্চলের মানুষের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে৷
উন্মুক্ত লাইব্রেরির উদ্যোক্তা রাকিবুল হাসান রাহির সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ খালেদ সাইফুল্লাহ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ফটকে ২০২২ সালের ৯ ই ফেব্রুয়ারি উন্মুক্ত লাইব্রেরি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে৷