বলিউডি অভিনেতা সাইফ আলী খানকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শাহজাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের হেফাজতে পেয়েছে মুম্বাই পুলিশ।
তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি নিয়ে বান্দ্রার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রোববার ৩০ বছর বয়সী শাহজাদকে ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেয়। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে পুলিশকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ২৪ জানুয়ারি ফের আদালতে তোলা শাহজাদকে।
শুনানিতে বান্দ্রা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাদকে হেফাজতে পেতে ১৪ দিনের আবেদন করেছিলেন।
শাহজাদকে সাইফের বাড়ি থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে মহারাষ্ট্রের কাসারভাদাভালিতে হিরানন্দানি এস্টেট এলাকা থেকে আদালতে তোলার দিন সকালে পুলিশ আটক করে; এবং তাকে বাংলাদেশি বলে ধরে নিয়েছে পুলিশ।
শাহজাদকে আটকের পর মুম্বাইয়ের পুলিশের ডেপুটি কমিশনার দিক্ষিত গেদাম সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “চুরির উদ্দেশে তিনি ওই বাড়িতে প্রবেশে করেছিলেন অনুসন্ধান বলছে। ভারতের কোনো নথিপত্র তার কাছে নেই। কিছু জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে, যাতে মনে হচ্ছে তিনি বাংলাদেশি।”
এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ওই ব্যক্তি চার মাস ধরে মুম্বাইয়ে থাকছেন। নাম পাল্টে রাখেন বিজয় দাস। তিনি একটি হাউজিং কোম্পানিতে চাকরি করতেন।
তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা আদালতে বলেছেন, “ছুরি দিয়ে সইফ আলি খানের উপর নৃশংস হামলা চালিয়েছে শাহজাদ। কীভাবে তিনি অভিনেতার বাড়িতে ঢুকেছিলেন এবং হামলার কারণ খতিয়ে দেখা দরকার। যেহেতু তিনি বাংলাদেশের নাগরিক তাই হামলার নেপথ্যে অন্য কোনও গুরুতর কারণও থাকতে পারে। তাই তাকে ১৪ দিন হেফাজতে নিয়ে জেরা করা প্রয়োজন।”
শাহজাদের পক্ষে এদিন আইনজীবী সন্দীপ ও দীনেশ প্রজাপতি শুনানি করার জন্য আদালতে দাঁড়িয়ে যান।
সন্দীপ শাহজাদের ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদনের বিরোধিতা করে বলেছেন, তার মক্কেল যে বাংলাদেশের নাগরিক, এমন কোনো প্রমাণ পুলিশের হাতে নেই।
“তিনি ভারতীয়, সাত বছর ধরে পরিবার নিয়ে মুম্বইয়ে বাস করছেন। অতীতে কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার রেকর্ড তার নেই।”
আরেক আইনজীবী দীনেশ প্রজাপতিও দাবি করেছেন তার মক্কেল গত সাত বছর ধরে সপরিবার মুম্বাইয়ে বসবাস করছেন।
তিনি বলেন, “আমার মক্কেল যে বাংলাদেশি নাগরিক, সে বিষয়ে কোনো তথ্যও আদালতে পেশ করতে পারেনি পুলিশ।”
তাহলে আদালতে কেন শাহজাদের পরিবারের কাউকে দেখা গেল না প্রশ্নে পরে সাংবাদিকদের দীনেশ বলেন, “চাপের মুখে তারা এখানে আসতে পারেননি। অবশ্যই আসবেন, যখন প্রয়োজন হবে।”
এর আগে সাইফের বাড়ির সিসিটিভি ভিডিও থেকে জড়িত সন্দেহে আকাশ কৈলাস ক্যানোজিয়া নামে একজনকে আটক করা হয়।
পুলিশ বলছে, ৩১ বছর বয়সী আকাশ মুম্বাই-হাওরা জননেশ্বরী এক্সপ্রেস ট্রেনে ছিলেন। ভ্রমণ করছিলেন টিকেট ছাড়াই। শনিবার দুপুর ২টার দিকে ট্রেনটি যখন ছত্রিশগড়েরর দুর্গ রেল স্টেশনে পৌঁছায়, তখন তাকে আটক করা হয়।
সাইফকে ছুরিকাঘাত করা হয় বুধবার রাত আড়াইটার দিকে। তার বাড়িতে প্রবেশ করা এক ব্যক্তি তাকে ছুরি মেরে পালিয়ে যান। পরে বাড়ির ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ভিডিওতে ধরা পড়া ওই ব্যক্তির ছবিও এসেছে সংবাদমাধ্যমে। পুলিশ ধারণা করছে, হামলাকারী ‘চুরি করতে’ ওই বাড়িতে ঢুকেছিলেন।
ওই রাতেই শহরের লীলাবতী হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তির পর সাইফের শরীর ৫ ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর চিকিৎসকরা বলেছিলেন নায়কের শরীরে ছয়টি ক্ষত ছিল। সেগুলোর মধ্যে মেরুদণ্ডের দুই ক্ষতকে বিপজ্জনক বলেছেন চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচারে সাইফের শরীর মেরুদণ্ডের খুব কাছ থেকে ছুরির আড়াই ইঞ্চির ভাঙা অংশও বের করা হয়।
অস্ত্রোপচারের পর একদিন আইসিইউতে রেখে তারপর কেবিনে আনা হয় এই অভিনেতাকে। সাইফের শারীরিক অবস্থা ভালো আছে জানিয়ে শিগগিরই তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা রেখেছেন লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
এদিবে হামলাকারীকে খুঁজে বের করতে বৃহস্পতিবার থেকে উঠেপড়ে লেগেছে মুম্বাই পুলিশ। এখন পর্যন্ত পতৌদি নবাবপুত্রের হামলাকারীকে ধরতে পুলিশের ৩৫টি টিম কাজ করছে।
এর মধ্যে মুম্বাই অপরাধ দমন বিভাগের ১৫টি টিম আছে আর মুম্বাই পুলিশ মাঠে নামিয়েছে তাদের ২০টি টিমকে। আর হামলার তদন্তের মূল দায়িত্ব পেয়েছেন পুলিশের ‘অ্যানকাউন্টার’ বিশেষজ্ঞ দয়া নায়েক।
সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
বলিউডি অভিনেতা সাইফ আলী খানকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শাহজাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের হেফাজতে পেয়েছে মুম্বাই পুলিশ।
তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি নিয়ে বান্দ্রার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রোববার ৩০ বছর বয়সী শাহজাদকে ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেয়। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে পুলিশকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ২৪ জানুয়ারি ফের আদালতে তোলা শাহজাদকে।
শুনানিতে বান্দ্রা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাদকে হেফাজতে পেতে ১৪ দিনের আবেদন করেছিলেন।
শাহজাদকে সাইফের বাড়ি থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে মহারাষ্ট্রের কাসারভাদাভালিতে হিরানন্দানি এস্টেট এলাকা থেকে আদালতে তোলার দিন সকালে পুলিশ আটক করে; এবং তাকে বাংলাদেশি বলে ধরে নিয়েছে পুলিশ।
শাহজাদকে আটকের পর মুম্বাইয়ের পুলিশের ডেপুটি কমিশনার দিক্ষিত গেদাম সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “চুরির উদ্দেশে তিনি ওই বাড়িতে প্রবেশে করেছিলেন অনুসন্ধান বলছে। ভারতের কোনো নথিপত্র তার কাছে নেই। কিছু জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে, যাতে মনে হচ্ছে তিনি বাংলাদেশি।”
এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ওই ব্যক্তি চার মাস ধরে মুম্বাইয়ে থাকছেন। নাম পাল্টে রাখেন বিজয় দাস। তিনি একটি হাউজিং কোম্পানিতে চাকরি করতেন।
তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা আদালতে বলেছেন, “ছুরি দিয়ে সইফ আলি খানের উপর নৃশংস হামলা চালিয়েছে শাহজাদ। কীভাবে তিনি অভিনেতার বাড়িতে ঢুকেছিলেন এবং হামলার কারণ খতিয়ে দেখা দরকার। যেহেতু তিনি বাংলাদেশের নাগরিক তাই হামলার নেপথ্যে অন্য কোনও গুরুতর কারণও থাকতে পারে। তাই তাকে ১৪ দিন হেফাজতে নিয়ে জেরা করা প্রয়োজন।”
শাহজাদের পক্ষে এদিন আইনজীবী সন্দীপ ও দীনেশ প্রজাপতি শুনানি করার জন্য আদালতে দাঁড়িয়ে যান।
সন্দীপ শাহজাদের ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদনের বিরোধিতা করে বলেছেন, তার মক্কেল যে বাংলাদেশের নাগরিক, এমন কোনো প্রমাণ পুলিশের হাতে নেই।
“তিনি ভারতীয়, সাত বছর ধরে পরিবার নিয়ে মুম্বইয়ে বাস করছেন। অতীতে কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার রেকর্ড তার নেই।”
আরেক আইনজীবী দীনেশ প্রজাপতিও দাবি করেছেন তার মক্কেল গত সাত বছর ধরে সপরিবার মুম্বাইয়ে বসবাস করছেন।
তিনি বলেন, “আমার মক্কেল যে বাংলাদেশি নাগরিক, সে বিষয়ে কোনো তথ্যও আদালতে পেশ করতে পারেনি পুলিশ।”
তাহলে আদালতে কেন শাহজাদের পরিবারের কাউকে দেখা গেল না প্রশ্নে পরে সাংবাদিকদের দীনেশ বলেন, “চাপের মুখে তারা এখানে আসতে পারেননি। অবশ্যই আসবেন, যখন প্রয়োজন হবে।”
এর আগে সাইফের বাড়ির সিসিটিভি ভিডিও থেকে জড়িত সন্দেহে আকাশ কৈলাস ক্যানোজিয়া নামে একজনকে আটক করা হয়।
পুলিশ বলছে, ৩১ বছর বয়সী আকাশ মুম্বাই-হাওরা জননেশ্বরী এক্সপ্রেস ট্রেনে ছিলেন। ভ্রমণ করছিলেন টিকেট ছাড়াই। শনিবার দুপুর ২টার দিকে ট্রেনটি যখন ছত্রিশগড়েরর দুর্গ রেল স্টেশনে পৌঁছায়, তখন তাকে আটক করা হয়।
সাইফকে ছুরিকাঘাত করা হয় বুধবার রাত আড়াইটার দিকে। তার বাড়িতে প্রবেশ করা এক ব্যক্তি তাকে ছুরি মেরে পালিয়ে যান। পরে বাড়ির ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ভিডিওতে ধরা পড়া ওই ব্যক্তির ছবিও এসেছে সংবাদমাধ্যমে। পুলিশ ধারণা করছে, হামলাকারী ‘চুরি করতে’ ওই বাড়িতে ঢুকেছিলেন।
ওই রাতেই শহরের লীলাবতী হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তির পর সাইফের শরীর ৫ ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর চিকিৎসকরা বলেছিলেন নায়কের শরীরে ছয়টি ক্ষত ছিল। সেগুলোর মধ্যে মেরুদণ্ডের দুই ক্ষতকে বিপজ্জনক বলেছেন চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচারে সাইফের শরীর মেরুদণ্ডের খুব কাছ থেকে ছুরির আড়াই ইঞ্চির ভাঙা অংশও বের করা হয়।
অস্ত্রোপচারের পর একদিন আইসিইউতে রেখে তারপর কেবিনে আনা হয় এই অভিনেতাকে। সাইফের শারীরিক অবস্থা ভালো আছে জানিয়ে শিগগিরই তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা রেখেছেন লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
এদিবে হামলাকারীকে খুঁজে বের করতে বৃহস্পতিবার থেকে উঠেপড়ে লেগেছে মুম্বাই পুলিশ। এখন পর্যন্ত পতৌদি নবাবপুত্রের হামলাকারীকে ধরতে পুলিশের ৩৫টি টিম কাজ করছে।
এর মধ্যে মুম্বাই অপরাধ দমন বিভাগের ১৫টি টিম আছে আর মুম্বাই পুলিশ মাঠে নামিয়েছে তাদের ২০টি টিমকে। আর হামলার তদন্তের মূল দায়িত্ব পেয়েছেন পুলিশের ‘অ্যানকাউন্টার’ বিশেষজ্ঞ দয়া নায়েক।