alt

সম্পাদকীয়

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি : শান্তির চেষ্টা কতটা সফল হবে?

: সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

গাজায় হামাসের সঙ্গে নতুন করা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি অনুমোদন করেছে ইসরায়েল সরকার। এই চুক্তি গাজায় মানবিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে-এই আশায় বিশ্বের চোখ এখন এই অঞ্চলে। তবে চুক্তি বাস্তবায়ন কতটা সফল হবে, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির পরেও ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে। হামলা অব্যাহত থাকার ফলে, এই চুক্তি টেকসই হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ ব্যর্থ হলে আবার যুদ্ধ শুরু করতে প্রস্তুত তার দেশ। এই চুক্তিতে অনেক ফিলিস্তিনিও ভরসা করতে পারছেন না।

আমরা মনে করি, ইসরায়েলের সরকারের পক্ষ থেকে এই ধরনের হুঁশিয়ারি শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে। যে শান্তি চুক্তি শুরুতে আশা জাগিয়েছিল, তা যদি মূলত রাজনৈতিক খেলায় পরিণত হয়, তাহলে শান্তি প্রতিষ্ঠা কঠিন হতে পারে। গাজায় প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সংশ্লিষ্ট শক্তিগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বা স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে।

গাজার পুনর্গঠন এবং স্থায়ী শান্তির জন্য কী ব্যবস্থা নেয়া হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। যুদ্ধবিরতি শুধু একটি সাময়িক সমাধান হতে পারে, তবে সত্যিকারের শান্তি স্থাপনের জন্য ব্যাপক রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উদ্যোগের প্রয়োজন। গাজার অবস্থা উন্নত করতে একাধিক আন্তর্জাতিক শক্তির সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করা জরুরি। মানবাধিকার, শান্তিপূর্ণ সমাধান, এবং দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।

গাজার মানুষের পুনর্বাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেখানে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। অসংখ্য পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। সেখানে দ্রুত মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এবং পুনর্গঠন কাজ শুরু করা খুবই জরুরি। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং সাহায্য সংস্থাগুলোর বড় ভূমিকা থাকা উচিত।

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি শান্তির পথে একটি পদক্ষেপ। এটা টেকসই হবে কিনা সেটা সংশ্লিষ্ট সবার জন্য একটি বড় পরীক্ষা। আমরা বলতে চাই, শান্তি স্থায়ী করতে হলে, শর্তাবলী সঠিকভাবে মেনে চলতে হবে এবং সব পক্ষকে শান্তির পথে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। শান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্তরিকভাবে কূটনৈতিক ও মানবিক পদক্ষেপ নেয়া হলে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্যিকার অর্থে শান্তি প্রতিষ্ঠার দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হতে পারে।

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

tab

সম্পাদকীয়

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি : শান্তির চেষ্টা কতটা সফল হবে?

সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

গাজায় হামাসের সঙ্গে নতুন করা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি অনুমোদন করেছে ইসরায়েল সরকার। এই চুক্তি গাজায় মানবিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে-এই আশায় বিশ্বের চোখ এখন এই অঞ্চলে। তবে চুক্তি বাস্তবায়ন কতটা সফল হবে, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির পরেও ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে। হামলা অব্যাহত থাকার ফলে, এই চুক্তি টেকসই হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ ব্যর্থ হলে আবার যুদ্ধ শুরু করতে প্রস্তুত তার দেশ। এই চুক্তিতে অনেক ফিলিস্তিনিও ভরসা করতে পারছেন না।

আমরা মনে করি, ইসরায়েলের সরকারের পক্ষ থেকে এই ধরনের হুঁশিয়ারি শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে। যে শান্তি চুক্তি শুরুতে আশা জাগিয়েছিল, তা যদি মূলত রাজনৈতিক খেলায় পরিণত হয়, তাহলে শান্তি প্রতিষ্ঠা কঠিন হতে পারে। গাজায় প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সংশ্লিষ্ট শক্তিগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বা স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে।

গাজার পুনর্গঠন এবং স্থায়ী শান্তির জন্য কী ব্যবস্থা নেয়া হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। যুদ্ধবিরতি শুধু একটি সাময়িক সমাধান হতে পারে, তবে সত্যিকারের শান্তি স্থাপনের জন্য ব্যাপক রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উদ্যোগের প্রয়োজন। গাজার অবস্থা উন্নত করতে একাধিক আন্তর্জাতিক শক্তির সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করা জরুরি। মানবাধিকার, শান্তিপূর্ণ সমাধান, এবং দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।

গাজার মানুষের পুনর্বাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেখানে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। অসংখ্য পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। সেখানে দ্রুত মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এবং পুনর্গঠন কাজ শুরু করা খুবই জরুরি। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং সাহায্য সংস্থাগুলোর বড় ভূমিকা থাকা উচিত।

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি শান্তির পথে একটি পদক্ষেপ। এটা টেকসই হবে কিনা সেটা সংশ্লিষ্ট সবার জন্য একটি বড় পরীক্ষা। আমরা বলতে চাই, শান্তি স্থায়ী করতে হলে, শর্তাবলী সঠিকভাবে মেনে চলতে হবে এবং সব পক্ষকে শান্তির পথে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। শান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্তরিকভাবে কূটনৈতিক ও মানবিক পদক্ষেপ নেয়া হলে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্যিকার অর্থে শান্তি প্রতিষ্ঠার দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হতে পারে।

back to top