কক্সবাজারের টেকনাফে মানব পাচারকারীদের জিম্মি-ঘর থেকে অপহৃত ১৪ জনকে উদ্ধার করেছে বিজিবি।
শনিবার (১০ মে) রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর লম্বরী এলাকার সাইফুল ইসলামের বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। তবে এ সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
আজ রবিবার (১১ মে) সকালে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, টেকনাফ ও আশপাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মানবপাচার ও অপহরণের মতো অপরাধ সংঘটিত হয়ে আসছে।
এসব অপরাধ দমনে আমরা নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় অপহরণের পর জিম্মি করে রাখা ১৪ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, তাদেরকে যে ঘরে রাখা হয়েছিল, সেটা তালাবদ্ধ ছিল। পরে তালা ভেঙে তাদেরকে জিম্মি-ঘর থেকে বের করা হয়েছে। মূলত ; তাদের কাছ থেকে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। অপহৃত অনেকেই এক লাখ টাকা মুক্তিপণও দিয়েছে।
আশিকুর রহমান আরও বলেন, কারা এই অপহরণে জড়িত, কী উদ্দেশে তাদের অপহরণ করা হয়েছে, তা জানতে আমরা ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলছি। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উদ্ধার হওয়া আবুল কাসেম ও মহিন উদ্দিন জানান, আমরা ইনানীতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে এক সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালকের প্রলোভনে টেকনাফে গেলে তাদের অপহরণ করে একটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আরও বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে রাখা হয়।
পরে তাদের মারধর করে পরিবারের কাছে ভিডিও পাঠিয়ে এক লাখ করে টাকা আদায় করা হয়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল সাগরপথে পাচারের জন্য দালালদের কাছে বিক্রি করে দেয়া।
রোববার, ১১ মে ২০২৫
কক্সবাজারের টেকনাফে মানব পাচারকারীদের জিম্মি-ঘর থেকে অপহৃত ১৪ জনকে উদ্ধার করেছে বিজিবি।
শনিবার (১০ মে) রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর লম্বরী এলাকার সাইফুল ইসলামের বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। তবে এ সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
আজ রবিবার (১১ মে) সকালে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, টেকনাফ ও আশপাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মানবপাচার ও অপহরণের মতো অপরাধ সংঘটিত হয়ে আসছে।
এসব অপরাধ দমনে আমরা নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় অপহরণের পর জিম্মি করে রাখা ১৪ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, তাদেরকে যে ঘরে রাখা হয়েছিল, সেটা তালাবদ্ধ ছিল। পরে তালা ভেঙে তাদেরকে জিম্মি-ঘর থেকে বের করা হয়েছে। মূলত ; তাদের কাছ থেকে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। অপহৃত অনেকেই এক লাখ টাকা মুক্তিপণও দিয়েছে।
আশিকুর রহমান আরও বলেন, কারা এই অপহরণে জড়িত, কী উদ্দেশে তাদের অপহরণ করা হয়েছে, তা জানতে আমরা ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলছি। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উদ্ধার হওয়া আবুল কাসেম ও মহিন উদ্দিন জানান, আমরা ইনানীতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে এক সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালকের প্রলোভনে টেকনাফে গেলে তাদের অপহরণ করে একটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আরও বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে রাখা হয়।
পরে তাদের মারধর করে পরিবারের কাছে ভিডিও পাঠিয়ে এক লাখ করে টাকা আদায় করা হয়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল সাগরপথে পাচারের জন্য দালালদের কাছে বিক্রি করে দেয়া।