মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার খলসী ইউনিয়নের জেলেদের ভিজিএফ কার্ডের চাউল বিতরণের ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রতি কার্ডে ৮০ কেজি চাউল দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়েছে ৫০ কেজি করে। গত ১৯ মে সোমবার সকালে পৃথক পৃথক ভাবে ৫টি ইউনিয়নে মোট ৮৯৩ জন জেলের মধ্যে ভিজিএফ কার্ড বিতরণ করা হয় উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে। এসময় নির্বাহী অফিসার মো. নাহিয়ান নুরেন জেলেদের মাঝে সচেতনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন এবং কারেন্ট জাল ব্যবহার জেলেদের নিরুৎসাহিত করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাঘুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো.আমজাদ হোসেন ।
এরপর ধারাবাহিকভাবে চাউল বিতরণ শুরু হয়, চলে বিকাল পর্যন্ত। অভিযোগ রয়েছে যে, খলসী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে- প্রতি কার্ডের জন্য জেলেদের মাঝে ৮০ কেজি করে চাউল দেওয়ার কথা কিন্তু তিনি দিয়েছেন ৫০ কেজি করে। এবিষয়ে ভুক্তভোগী ভগীরথ হালদার অভিযোগ করে বলেন তিনি ৫০ কেজি চাল পেয়েছি। মানিক হালদার ও সুরেশ হালদারও একই কথা বলেন। তারা কেউ জানে না যে প্রতি কার্ডে ৮০ কেজি করে চাল পাবে। এবিষয়ে খলসী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বলেন, আমি ৭৩ টি কার্ড পেয়েছি। এরমধ্যে ১২ জন মেম্বারকে ৩টি করে কার্ড দিয়েছি। বাকী ৩৭টি কার্ড আমি বিতরণ করছি। ৫০ কেজি করে চাউল বিতরণের কথা জিজ্ঞেস করলে, তিনি কোনো উত্তর দেননি। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার তন্নী বলেন, প্রত্যেক কার্ড ধারী ৮০ কেজি করে চাউল পাবে। চাউল কম দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ট্যাগ অফিসার জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী শুভঙ্কর মন্ডল বলেন,আমি ছুটিতে ছিলাম চেয়ারম্যানকে বলেছিলাম সময়টা পিছিয়ে দিন। কিন্তু তিনি আমার কথা না মানায় পরে আমি আমার প্রতিনিধি হিসাবে মো. হামিদকে পাঠিয়েছি। হামিদ বলেন, যে আমি তেমন কিছু বুঝিনা। চেয়ারম্যান ও মেম্বার মিলে চাউল বিতরণ করেছে। আমি শুধু দাড়িয়ে ছিলাম। এবিষয়ে আর কিছু বলতে পারবো না। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিয়ান নুরেন বলেন অভিযোগ পেলে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার খলসী ইউনিয়নের জেলেদের ভিজিএফ কার্ডের চাউল বিতরণের ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রতি কার্ডে ৮০ কেজি চাউল দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়েছে ৫০ কেজি করে। গত ১৯ মে সোমবার সকালে পৃথক পৃথক ভাবে ৫টি ইউনিয়নে মোট ৮৯৩ জন জেলের মধ্যে ভিজিএফ কার্ড বিতরণ করা হয় উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে। এসময় নির্বাহী অফিসার মো. নাহিয়ান নুরেন জেলেদের মাঝে সচেতনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন এবং কারেন্ট জাল ব্যবহার জেলেদের নিরুৎসাহিত করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাঘুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো.আমজাদ হোসেন ।
এরপর ধারাবাহিকভাবে চাউল বিতরণ শুরু হয়, চলে বিকাল পর্যন্ত। অভিযোগ রয়েছে যে, খলসী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে- প্রতি কার্ডের জন্য জেলেদের মাঝে ৮০ কেজি করে চাউল দেওয়ার কথা কিন্তু তিনি দিয়েছেন ৫০ কেজি করে। এবিষয়ে ভুক্তভোগী ভগীরথ হালদার অভিযোগ করে বলেন তিনি ৫০ কেজি চাল পেয়েছি। মানিক হালদার ও সুরেশ হালদারও একই কথা বলেন। তারা কেউ জানে না যে প্রতি কার্ডে ৮০ কেজি করে চাল পাবে। এবিষয়ে খলসী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বলেন, আমি ৭৩ টি কার্ড পেয়েছি। এরমধ্যে ১২ জন মেম্বারকে ৩টি করে কার্ড দিয়েছি। বাকী ৩৭টি কার্ড আমি বিতরণ করছি। ৫০ কেজি করে চাউল বিতরণের কথা জিজ্ঞেস করলে, তিনি কোনো উত্তর দেননি। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার তন্নী বলেন, প্রত্যেক কার্ড ধারী ৮০ কেজি করে চাউল পাবে। চাউল কম দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ট্যাগ অফিসার জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী শুভঙ্কর মন্ডল বলেন,আমি ছুটিতে ছিলাম চেয়ারম্যানকে বলেছিলাম সময়টা পিছিয়ে দিন। কিন্তু তিনি আমার কথা না মানায় পরে আমি আমার প্রতিনিধি হিসাবে মো. হামিদকে পাঠিয়েছি। হামিদ বলেন, যে আমি তেমন কিছু বুঝিনা। চেয়ারম্যান ও মেম্বার মিলে চাউল বিতরণ করেছে। আমি শুধু দাড়িয়ে ছিলাম। এবিষয়ে আর কিছু বলতে পারবো না। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিয়ান নুরেন বলেন অভিযোগ পেলে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।