তারাগঞ্জ (রংপুর) : সামান্য বৃষ্টিতেই বরাতী হাই স্কুলের মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা -সংবাদ
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত বরাতী হাই স্কুলের মাঠে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
মাঠে পানি বেড়ে এক পর্যায়ে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে। চারপাশে উঁচু হওয়ায় পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে সমস্যা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। নিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাবে বছরে প্রায় ৬মাস এমন জলাবদ্ধতায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান কার্যক্রম। সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বরাতী হাই স্কুল এবং বরাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠেই হাঁটুপানি বিরাজ করছে। দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এক সাথে।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সংখ্যাও অনেক বেশী। মাঠে জমে থাকার কারনে শিক্ষার্থীরা স্কুলের কক্ষে যেতে পোহাতে হচ্ছে হাঁটুপানিতে দুর্ভোগ। কেউ আবার পিছলে পড়ে যান কাদা-পানিতে। কাদা-পানি পাড়ি দিয়ে বিদ্যালয় যাতায়াত করতে হয় তাদের। জলাবদ্ধ মাঠের ঘাস ও আগাছার পঁচা দুর্গন্ধে শিক্ষার্থীদের পাঠদান বিঘ্নিত হচ্ছে। বিদ্যালয়ের মাঠে খেলতে না পারায় শিক্ষার্থীরাও পড়ছে চরম বিপাকে। স্কুলে একটিমাত্র বিল্ডিং আর বাকিগুলো টিনের ছাউনি ঘর। একটু বৃষ্টি হলেই কিংবা আকাশে মেঘ দেখলেই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা দেয় শঙ্কা।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে এই হাই স্কুলটিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪০০ জন এবং শিক্ষক-কর্মচারী মিলে মোট ২৩ জন স্টাফ রয়েছেন। এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতি বছরই বোর্ড পরীক্ষায় বেশ ভালো ফলাফল করে থাকে। তারা পিছিয়ে নেই খেলাধুলায়ও।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাওহিদ তামজিদসহ বেশ কয়েকজন বলে, স্কুলের মাঠে জলাবদ্ধতার কারণে নিয়মিত খেলাধুলা করা যায় না। একটু বৃষ্টি হলেই শ্রেণিকক্ষে আসা-যাওয়া করতে অনেক সমস্যা হয় আমাদের।
অনেক সময় যেতে-আসতে শরীরে কাদা লেগে যায়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলী বলেন, পানি নিষ্কাশনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিপাতেই মাঠটি জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বেশি বৃষ্টি হলে মাঠের পানি বেড়ে গিয়ে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে। ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দেখা দেয়। মাঠের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে মাটি ভরাটের কোনো বিকল্প নেই। জলাবদ্ধতার কারণে একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে যাচ্ছে, অন্যদিকে বিদ্যালয়ে পাঠদানও ব্যাহত হচ্ছে।
এই বিষয়ে কথা হলে তারাগঞ্জ উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান বলেন, বরাতী হাই স্কুলের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন আবেদন হাতে পাইনি আমরা। আবেদন হাতে পেলে বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করবো।
তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল রানা বলেন, বরাতী হাই স্কুলের মাঠে জলাবদ্ধতার কথা শুনেছি। আগামী জুন মাসের পরে এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তারাগঞ্জ (রংপুর) : সামান্য বৃষ্টিতেই বরাতী হাই স্কুলের মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত বরাতী হাই স্কুলের মাঠে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
মাঠে পানি বেড়ে এক পর্যায়ে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে। চারপাশে উঁচু হওয়ায় পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে সমস্যা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। নিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাবে বছরে প্রায় ৬মাস এমন জলাবদ্ধতায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান কার্যক্রম। সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বরাতী হাই স্কুল এবং বরাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠেই হাঁটুপানি বিরাজ করছে। দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এক সাথে।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সংখ্যাও অনেক বেশী। মাঠে জমে থাকার কারনে শিক্ষার্থীরা স্কুলের কক্ষে যেতে পোহাতে হচ্ছে হাঁটুপানিতে দুর্ভোগ। কেউ আবার পিছলে পড়ে যান কাদা-পানিতে। কাদা-পানি পাড়ি দিয়ে বিদ্যালয় যাতায়াত করতে হয় তাদের। জলাবদ্ধ মাঠের ঘাস ও আগাছার পঁচা দুর্গন্ধে শিক্ষার্থীদের পাঠদান বিঘ্নিত হচ্ছে। বিদ্যালয়ের মাঠে খেলতে না পারায় শিক্ষার্থীরাও পড়ছে চরম বিপাকে। স্কুলে একটিমাত্র বিল্ডিং আর বাকিগুলো টিনের ছাউনি ঘর। একটু বৃষ্টি হলেই কিংবা আকাশে মেঘ দেখলেই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা দেয় শঙ্কা।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে এই হাই স্কুলটিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪০০ জন এবং শিক্ষক-কর্মচারী মিলে মোট ২৩ জন স্টাফ রয়েছেন। এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতি বছরই বোর্ড পরীক্ষায় বেশ ভালো ফলাফল করে থাকে। তারা পিছিয়ে নেই খেলাধুলায়ও।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাওহিদ তামজিদসহ বেশ কয়েকজন বলে, স্কুলের মাঠে জলাবদ্ধতার কারণে নিয়মিত খেলাধুলা করা যায় না। একটু বৃষ্টি হলেই শ্রেণিকক্ষে আসা-যাওয়া করতে অনেক সমস্যা হয় আমাদের।
অনেক সময় যেতে-আসতে শরীরে কাদা লেগে যায়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলী বলেন, পানি নিষ্কাশনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিপাতেই মাঠটি জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বেশি বৃষ্টি হলে মাঠের পানি বেড়ে গিয়ে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে। ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দেখা দেয়। মাঠের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে মাটি ভরাটের কোনো বিকল্প নেই। জলাবদ্ধতার কারণে একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে যাচ্ছে, অন্যদিকে বিদ্যালয়ে পাঠদানও ব্যাহত হচ্ছে।
এই বিষয়ে কথা হলে তারাগঞ্জ উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান বলেন, বরাতী হাই স্কুলের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন আবেদন হাতে পাইনি আমরা। আবেদন হাতে পেলে বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করবো।
তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল রানা বলেন, বরাতী হাই স্কুলের মাঠে জলাবদ্ধতার কথা শুনেছি। আগামী জুন মাসের পরে এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।