হিলি (দিনাজপুর) : পানির স্রোতে সেতু ভেঙে পড়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন -সংবাদ
পানির তোড়ে হিলি-ঘোড়াঘাট সড়কে নির্মাণাধীন সেতুর তিনটি বিকল্প রাস্তা ভেঙে পড়ায় দু’দিন ধরে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বাস-ট্রাকে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাতায়াতকারীদের।
হাকিমপুর উপজেলার জালালপুর তুলসীগঙ্গা নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতু, বাওনা সেতু ও ডুগডুগির হাট সেতুর পাশের সড়ক ভেঙে এ দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
সড়ক ভেঙে যাওয়ার বিষয়ে ঠিকাদারকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, হিলি-ঘোড়াঘাট সড়ক প্রশস্তকরণসহ ২৯টি সেতু পুনর্নির্মাণ কাজ চলছে।
ঠিকাদার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না রেখে মাটি ভরাট করে সেতুগুলোর বিকল্প রাস্তা নির্মাণ করেছেন। টানা বৃষ্টির কারণে উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি বের হতে না পেরে কৃষকের বিস্তীর্ণ ধানক্ষেত তলিয়ে গেছে। ধান বাঁচাতে উপায় না পেয়ে রাস্তার কিছু অংশ কেটে দেওয়া হয়। পানির তীব্র গতির করণে রাস্তাটি সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে।
তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বৃষ্টি ও কৃষকের ওপর দায় চাপিয়ে দায়িত্ব এড়িয়ে গেছেন। তিনি বলছেন, অতিবৃষ্টির কারণে উজান থেকে নেমে আসা পানি নেমে যেতে পারেনি। এতে ফসলের ক্ষেত ডুবে গেছে। ক্ষুব্ধ কৃষকরা বিকল্প রাস্তা ভেঙে বাংলা হিলি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার মহিমা জানায়, তার বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব তিন কিলোমিটার। প্রতিদিন স্কুলে আসতে ১০ টাকা অটো ভাড়া দিতে হয়। কিন্তু জালালপুর সেতুর পাশের রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় মোল্লাবাজার দিয়ে অটোতে আসতে হয়েছে। এতে ১৫ মিনিটের রাস্তা আসতে ১ ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে। আর ভাড়া গুণতে হয়েছে ৩০ টাকা।
দিনাজপুর বাস-মোটর শ্রমিক পরিবহন ইউনিয়নের হাকিমপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন বলেন, ঠিকাদার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না রেখে মাটি ভরাট করে বিকল্প রাস্তা তৈরি করেছে। বর্ষায় সেই রাস্তা ভেঙে গেছে। এর দায় ঠিকাদার, সড়ক ও পরিবহন কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারেনা। তিনি আরও বলেন, আমরা দিন আনি দিন খাই। দু’দিন হলো বাস চলাচল বন্ধ। শ্রমিকদের না খেয়ে থাকার উপক্রম।
রাউতার গ্রামের কৃষক দেলোয়ার হোসেন চার বিঘা বোরো ধান চাষ করেছিলেন। ফলন ভালো হয়েছে। সপ্তাহ খানেক পর ফসল ঘরে তুলবেন এমন আশা ছিল তার। কিন্তু সেতুর পাশের রাস্তায় পানি জমে ধান তলিয়ে গেছে। এতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় জানান, ফসল বাঁচাতে জালালপুর সেতুর সামনের রাস্তার সামান্য অংশ কেটে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পানির গতি তীব্রতার কারণে সেটি এখন অনেকটা ভেঙে গেছে। ঠিকাদার ও সওজ কর্তৃপক্ষকে সমস্যা সমাধানে বারবার তাগাদা দেওয়া হচ্ছে।
দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) উপ-প্রকৌশলী তাওহিদ-উর রহমান জানান, খবর পেয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সড়কটি পরিদর্শন করা হয়েছে। ঠিকাদারকে অস্থায়ী সেতু নির্মাণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন পানির স্রোত বেশি থাকায় কাজ শুরু করতে সময় লাগছে।
হিলি (দিনাজপুর) : পানির স্রোতে সেতু ভেঙে পড়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
পানির তোড়ে হিলি-ঘোড়াঘাট সড়কে নির্মাণাধীন সেতুর তিনটি বিকল্প রাস্তা ভেঙে পড়ায় দু’দিন ধরে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বাস-ট্রাকে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাতায়াতকারীদের।
হাকিমপুর উপজেলার জালালপুর তুলসীগঙ্গা নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতু, বাওনা সেতু ও ডুগডুগির হাট সেতুর পাশের সড়ক ভেঙে এ দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
সড়ক ভেঙে যাওয়ার বিষয়ে ঠিকাদারকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, হিলি-ঘোড়াঘাট সড়ক প্রশস্তকরণসহ ২৯টি সেতু পুনর্নির্মাণ কাজ চলছে।
ঠিকাদার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না রেখে মাটি ভরাট করে সেতুগুলোর বিকল্প রাস্তা নির্মাণ করেছেন। টানা বৃষ্টির কারণে উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি বের হতে না পেরে কৃষকের বিস্তীর্ণ ধানক্ষেত তলিয়ে গেছে। ধান বাঁচাতে উপায় না পেয়ে রাস্তার কিছু অংশ কেটে দেওয়া হয়। পানির তীব্র গতির করণে রাস্তাটি সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে।
তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বৃষ্টি ও কৃষকের ওপর দায় চাপিয়ে দায়িত্ব এড়িয়ে গেছেন। তিনি বলছেন, অতিবৃষ্টির কারণে উজান থেকে নেমে আসা পানি নেমে যেতে পারেনি। এতে ফসলের ক্ষেত ডুবে গেছে। ক্ষুব্ধ কৃষকরা বিকল্প রাস্তা ভেঙে বাংলা হিলি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার মহিমা জানায়, তার বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব তিন কিলোমিটার। প্রতিদিন স্কুলে আসতে ১০ টাকা অটো ভাড়া দিতে হয়। কিন্তু জালালপুর সেতুর পাশের রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় মোল্লাবাজার দিয়ে অটোতে আসতে হয়েছে। এতে ১৫ মিনিটের রাস্তা আসতে ১ ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে। আর ভাড়া গুণতে হয়েছে ৩০ টাকা।
দিনাজপুর বাস-মোটর শ্রমিক পরিবহন ইউনিয়নের হাকিমপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন বলেন, ঠিকাদার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না রেখে মাটি ভরাট করে বিকল্প রাস্তা তৈরি করেছে। বর্ষায় সেই রাস্তা ভেঙে গেছে। এর দায় ঠিকাদার, সড়ক ও পরিবহন কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারেনা। তিনি আরও বলেন, আমরা দিন আনি দিন খাই। দু’দিন হলো বাস চলাচল বন্ধ। শ্রমিকদের না খেয়ে থাকার উপক্রম।
রাউতার গ্রামের কৃষক দেলোয়ার হোসেন চার বিঘা বোরো ধান চাষ করেছিলেন। ফলন ভালো হয়েছে। সপ্তাহ খানেক পর ফসল ঘরে তুলবেন এমন আশা ছিল তার। কিন্তু সেতুর পাশের রাস্তায় পানি জমে ধান তলিয়ে গেছে। এতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় জানান, ফসল বাঁচাতে জালালপুর সেতুর সামনের রাস্তার সামান্য অংশ কেটে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পানির গতি তীব্রতার কারণে সেটি এখন অনেকটা ভেঙে গেছে। ঠিকাদার ও সওজ কর্তৃপক্ষকে সমস্যা সমাধানে বারবার তাগাদা দেওয়া হচ্ছে।
দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) উপ-প্রকৌশলী তাওহিদ-উর রহমান জানান, খবর পেয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সড়কটি পরিদর্শন করা হয়েছে। ঠিকাদারকে অস্থায়ী সেতু নির্মাণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন পানির স্রোত বেশি থাকায় কাজ শুরু করতে সময় লাগছে।