কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত শাহজাদপুর রবীন্দ্র কাচারি বাড়ির অডিটোরিয়াম ও অফিস কক্ষে হামলা, ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় কাচারি বাড়ির ৮ জন কর্মচারীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার,(২৪ জুন ২০২৫) প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক এ কে এম সাইফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান প্রত্যাহার করা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার আলোকে কাচারি বাড়ির কাস্টডিয়ান হাবিবুর রহমানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তিনি জানান হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনা তদন্তে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত ৩ সদস্যের কমিটি এবং জেলা প্রশাসক কর্তৃক গঠিত ৩ সদস্যের অপর কমিটি ইতোমধ্যেই তাদের তদন্ত প্রতিবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর জমা দিয়েছেন। তবে তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তা প্রকাশ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এদিকে মঙ্গলবার রবীন্দ্র কাচারি বাড়ি ঘুরে কাস্টডিয়ানের অফিস তালাবদ্ধ দেখা যায়। তার মোবাইলে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি। নাম প্রকাশ না করা শর্তে কাচারি বাড়ির একাধিক কর্মচারী জানান, কাস্টডিয়ান হাবিবুর রহমান কোথায় আছেন তারা জানেন না।
এদিকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পুলিশ ও যৌথ বাহিনী অদ্যাবধি ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পৌর এলাকার রূপপুর মহল্লার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে আবু শামীম (৬০), রূপপুর নতুনপাড়া মহলার শাহ আলমের দুই ছেলে রিমন হোসেন (২৫) ও সজীব হোসেন (২২), পাঠানপাড়া মহল্লার শুকুর মাহমুদের ছেলে আশিকুর রহমান আরমান (২১), একই মহল্লার আব্দুল জব্বারের ছেলে তানভীর হাসান অর্ক (২২), চুনিয়াখালিপাড়া মহল্লার আল মাহমুদের ছেলে জুবায়ের হোসেন (২৪), রূপপুর মহল্লার আলহাজ হায়দার আলীর ছেলে আব্দুস সালাম (২০) ও দ্বারিয়াপুর মহলার মৃত হেলাল আকন্দের ছেলে সাইদুর রহমান রত্ন (১৯)। এদিকে মঙ্গলবার থানার অফিসার ইনচার্জ আছলাম আলী জানান, মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনায় কাচারিবাড়ির কাস্টডিয়ান হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ ৪০ থেকে ৫০ জন অজ্ঞাতকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আসামিদের শনাক্ত করে এ পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।
অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। দূরদূরান্ত থেকে আগত দর্শনার্থীরা আগের মতই কাচারি বাড়ি পরিদর্শন করছেন। তিনি বলেন, ভাঙচুরের ঘটনার পর কাচারিবাড়ির নিরাপত্তার স্বার্থে ৫ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছেন। উল্লেখ্য, গত ৮ জুন এক দর্শনার্থীকে মারধরের ঘটনার জের ধরে গত ১০ জুন উশৃঙ্খল জনতা কাছারি বাড়িতে হামলা চালিয়ে অডিটোরিয়াম ও অফিস কক্ষের জানালা দরজা ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত শাহজাদপুর রবীন্দ্র কাচারি বাড়ির অডিটোরিয়াম ও অফিস কক্ষে হামলা, ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় কাচারি বাড়ির ৮ জন কর্মচারীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার,(২৪ জুন ২০২৫) প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক এ কে এম সাইফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান প্রত্যাহার করা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার আলোকে কাচারি বাড়ির কাস্টডিয়ান হাবিবুর রহমানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তিনি জানান হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনা তদন্তে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত ৩ সদস্যের কমিটি এবং জেলা প্রশাসক কর্তৃক গঠিত ৩ সদস্যের অপর কমিটি ইতোমধ্যেই তাদের তদন্ত প্রতিবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর জমা দিয়েছেন। তবে তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তা প্রকাশ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এদিকে মঙ্গলবার রবীন্দ্র কাচারি বাড়ি ঘুরে কাস্টডিয়ানের অফিস তালাবদ্ধ দেখা যায়। তার মোবাইলে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি। নাম প্রকাশ না করা শর্তে কাচারি বাড়ির একাধিক কর্মচারী জানান, কাস্টডিয়ান হাবিবুর রহমান কোথায় আছেন তারা জানেন না।
এদিকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পুলিশ ও যৌথ বাহিনী অদ্যাবধি ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পৌর এলাকার রূপপুর মহল্লার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে আবু শামীম (৬০), রূপপুর নতুনপাড়া মহলার শাহ আলমের দুই ছেলে রিমন হোসেন (২৫) ও সজীব হোসেন (২২), পাঠানপাড়া মহল্লার শুকুর মাহমুদের ছেলে আশিকুর রহমান আরমান (২১), একই মহল্লার আব্দুল জব্বারের ছেলে তানভীর হাসান অর্ক (২২), চুনিয়াখালিপাড়া মহল্লার আল মাহমুদের ছেলে জুবায়ের হোসেন (২৪), রূপপুর মহল্লার আলহাজ হায়দার আলীর ছেলে আব্দুস সালাম (২০) ও দ্বারিয়াপুর মহলার মৃত হেলাল আকন্দের ছেলে সাইদুর রহমান রত্ন (১৯)। এদিকে মঙ্গলবার থানার অফিসার ইনচার্জ আছলাম আলী জানান, মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনায় কাচারিবাড়ির কাস্টডিয়ান হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ ৪০ থেকে ৫০ জন অজ্ঞাতকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আসামিদের শনাক্ত করে এ পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।
অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। দূরদূরান্ত থেকে আগত দর্শনার্থীরা আগের মতই কাচারি বাড়ি পরিদর্শন করছেন। তিনি বলেন, ভাঙচুরের ঘটনার পর কাচারিবাড়ির নিরাপত্তার স্বার্থে ৫ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছেন। উল্লেখ্য, গত ৮ জুন এক দর্শনার্থীকে মারধরের ঘটনার জের ধরে গত ১০ জুন উশৃঙ্খল জনতা কাছারি বাড়িতে হামলা চালিয়ে অডিটোরিয়াম ও অফিস কক্ষের জানালা দরজা ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।