সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) : সিরাজদিখানে বেতন বৈষম্য দূরীকরণসহ ছয় দফা দাবিতে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে স্বাস্থ্য সহকারীদের বিক্ষোভ -সংবাদ
বেতন বৈষম্য দূরীকরণ, পদোন্নতিসহ ছয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। মঙ্গলবার,(২৪ জুন ২০২৫) সকাল ৮ থেকে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন সিরাজদিখানে কর্মরত সদস্যরা। দাবি আদায় না হলে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ইপিআইসহ স্বাস্থ্য সেবার সব কার্যক্রম বাস্তবায়ন বন্ধের ঘোষণা দেন তারা।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রদত্ত সব সেবা প্রান্তিক পর্যায়ে বাস্তবায়ন করলেও দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্য সহকারীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে সমাবেশে অভিযোগ করেন তারা।
অবস্থান কর্মসূচিতে উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারীরা অংশগ্রহণ করেন। এতে সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ মো. কাদেরে সভাপতিত্বে বক্তব্য প্রদান করেন সদস্য সচিব মো. মাহবুবার রহমান, মো. সোহরাব হোসেন, মো জহিরুল ইসলাম, সোহেল শেখ, আশিকা ফেরদৌস, সীমা দত্ত, নাছিমা আক্তার, মর্জিনা আক্তার, তানিয়া সুলতানা, হিমাংশু রায়, ঝর্না রানী মন্ডল, লিজা আক্তার, গাজী নজরুল ইসলাম, শাকিলা আক্তার, পারভীন আক্তারপ্রমুখ।
বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনস্থ দেশের বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আওতায় ২৬ হাজারের অধিক স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য পরিদর্শক কাজ করছেন। এই সংখ্যা সরকারি স্বাস্থ্য খাতে কর্মরত মোট জনবলের ৩১ শতাংশ।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর রোগ প্রতিরোধ যোদ্ধা হিসেবে স্বাস্থ্য সহকারীরা মাঠ পর্যায়ে আন্তব্যক্তি যোগাযোগের মাধ্যমে প্রতিটি ঘরে ঘরে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেন। স্কুল পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মায়েদের স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদান, পুষ্টি, পরিবেশ স্বাস্থ্য, ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা, ডায়রিয়া ও ডেংগু প্রতিরোধ, এলাকা ভিত্তিক জনগণের স্বাস্থ্য তথ্য সংগ্রহ ও হালনাগাদ করা, সংক্রামক, অসংক্রামক রোগ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিসহ স্বাস্থ্য সহকারীরা সপ্তাহে ৩ দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে থাকেন।
তারা আরও বলেন, স্বাস্থ্য সহকারীরা অপ্রতুল সুযোগ সুবিধা ও সীমিত জনবল নিয়েও উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
দীর্ঘ চার দশকের বেশি সময় ধরে তারা প্রথম সারির যোদ্ধা হিসাবে জনগণের স্বাস্থ্য সেবায় নিবেদিত থেকেছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আজ পর্যন্ত তাদের পদে কোন পরিবর্তন হয়নি। বেতন কাঠামোতে রয়েছে চরম বৈষম্য। তবুও তারা থেমে থাকেনি।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে যে সাফল্য এসেছে, তার পেছনে স্বাস্থ্য সহকারীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস, পোলিও নিয়ন্ত্রণ, বসন্ত নির্মূল এবং ১০টি মারাত্মক রোগের টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে তারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তাই স্বাস্থ্য সহকারীদের বাস্তবসম্মত দাবি মেনে নিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়েরর প্রতি আহ্বান জানিয়ে ৬ দফা দাবি জানান তারা।
সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) : সিরাজদিখানে বেতন বৈষম্য দূরীকরণসহ ছয় দফা দাবিতে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে স্বাস্থ্য সহকারীদের বিক্ষোভ -সংবাদ
মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
বেতন বৈষম্য দূরীকরণ, পদোন্নতিসহ ছয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। মঙ্গলবার,(২৪ জুন ২০২৫) সকাল ৮ থেকে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন সিরাজদিখানে কর্মরত সদস্যরা। দাবি আদায় না হলে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ইপিআইসহ স্বাস্থ্য সেবার সব কার্যক্রম বাস্তবায়ন বন্ধের ঘোষণা দেন তারা।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রদত্ত সব সেবা প্রান্তিক পর্যায়ে বাস্তবায়ন করলেও দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্য সহকারীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে সমাবেশে অভিযোগ করেন তারা।
অবস্থান কর্মসূচিতে উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারীরা অংশগ্রহণ করেন। এতে সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ মো. কাদেরে সভাপতিত্বে বক্তব্য প্রদান করেন সদস্য সচিব মো. মাহবুবার রহমান, মো. সোহরাব হোসেন, মো জহিরুল ইসলাম, সোহেল শেখ, আশিকা ফেরদৌস, সীমা দত্ত, নাছিমা আক্তার, মর্জিনা আক্তার, তানিয়া সুলতানা, হিমাংশু রায়, ঝর্না রানী মন্ডল, লিজা আক্তার, গাজী নজরুল ইসলাম, শাকিলা আক্তার, পারভীন আক্তারপ্রমুখ।
বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনস্থ দেশের বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আওতায় ২৬ হাজারের অধিক স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য পরিদর্শক কাজ করছেন। এই সংখ্যা সরকারি স্বাস্থ্য খাতে কর্মরত মোট জনবলের ৩১ শতাংশ।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর রোগ প্রতিরোধ যোদ্ধা হিসেবে স্বাস্থ্য সহকারীরা মাঠ পর্যায়ে আন্তব্যক্তি যোগাযোগের মাধ্যমে প্রতিটি ঘরে ঘরে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেন। স্কুল পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মায়েদের স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদান, পুষ্টি, পরিবেশ স্বাস্থ্য, ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা, ডায়রিয়া ও ডেংগু প্রতিরোধ, এলাকা ভিত্তিক জনগণের স্বাস্থ্য তথ্য সংগ্রহ ও হালনাগাদ করা, সংক্রামক, অসংক্রামক রোগ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিসহ স্বাস্থ্য সহকারীরা সপ্তাহে ৩ দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে থাকেন।
তারা আরও বলেন, স্বাস্থ্য সহকারীরা অপ্রতুল সুযোগ সুবিধা ও সীমিত জনবল নিয়েও উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
দীর্ঘ চার দশকের বেশি সময় ধরে তারা প্রথম সারির যোদ্ধা হিসাবে জনগণের স্বাস্থ্য সেবায় নিবেদিত থেকেছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আজ পর্যন্ত তাদের পদে কোন পরিবর্তন হয়নি। বেতন কাঠামোতে রয়েছে চরম বৈষম্য। তবুও তারা থেমে থাকেনি।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে যে সাফল্য এসেছে, তার পেছনে স্বাস্থ্য সহকারীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস, পোলিও নিয়ন্ত্রণ, বসন্ত নির্মূল এবং ১০টি মারাত্মক রোগের টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে তারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তাই স্বাস্থ্য সহকারীদের বাস্তবসম্মত দাবি মেনে নিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়েরর প্রতি আহ্বান জানিয়ে ৬ দফা দাবি জানান তারা।