জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার ৪নং আওনা ইউনিয়নে ৯নং ওয়ার্ডের কুমারপাড়া গ্রামের ১২ বছরের কিশোরীকে কয়েকদিন পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে তিন বন্ধু।
এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে ধর্ষিতার পরিবারকে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে এবং ধর্ষণকারীদের সহায়তা করার অপরাধে গতকাল সোমবার সাবেক ইউপি সদস্যসহ তিনজনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।
মামলা দায়েরের পর আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
আটককৃতদের মধ্যে উপজেলার ৪নং আওনা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কুমারপাড়া গ্রামের মৃত ইদ্রিস তালুকদারের ছেলে লিটন তালুকদার (৫৫) সাবেক ইউপি সদস্য। এছাড়া অন্যরা হলো তার দুই সহযোগী একই গ্রামের মো. সুরুজ্জামানের ছেলে মো. সেলিম (২৩) ও তারা মিয়ার ছেলে কবির মিয়া (২৮)।
মামলা সূত্রে জানায়, কুমারপাড়া গ্রামের জনৈক কিশোরীকে একই গ্রামের মৃত দুলালের বখাটে ছেলে মো. শাহিন গত ১৪ জুন দুপুরে ফুসলিয়ে তার ঘরে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। একইভাবে পরপর চারদিন মেয়েটিকে ধর্ষণ করলে একপর্যায়ে তার বন্ধু আলাউদ্দিনের ছেলে মো. পারভেজ জেনে ফেলে। পরে এ ঘটনা সবাইকে বলে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ১৭ জুন বিকেলে ওই মেয়েকে পারভেজও জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ বিষয়টিও জেনে ফেলে তাদের অপর বন্ধু একই গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে মো. লাভলু। ১৯ জুন দুপুরে অসহায় মেয়েটিকে তার বাড়িতে একা পেয়ে ৬ষ্ঠ বার ধর্ষণের চেষ্টা চালায় লাভলু। ওইদিন ধৈর্যের বাধ ভেঙে যাওয়া মেয়েটির ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে লাভলু পালিয়ে যায়।
ধর্ষিতা কিশোরীর মা ফরিদা বেগম অভিযোগ করেন, ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। গত রবিবার রাতে আপোস-মীমাংসার কথা বলে লিটন তালুকদারের নেতৃত্বে বৈঠক বসিয়ে এ ঘটনা গোপন রাখতে চাপ প্রয়োগ করা হয় আমাদেরকে। পরে তারাকান্দি সেনাক্যাম্পে আমরা খবর দিলে রাত ১১টার দিকে ক্যাপ্টেন অর্ণব কবির পাপনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে যৌথবাহিনী তিনজনকে আটক করে।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান বলেন, ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আটককৃত তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান।
মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার ৪নং আওনা ইউনিয়নে ৯নং ওয়ার্ডের কুমারপাড়া গ্রামের ১২ বছরের কিশোরীকে কয়েকদিন পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে তিন বন্ধু।
এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে ধর্ষিতার পরিবারকে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে এবং ধর্ষণকারীদের সহায়তা করার অপরাধে গতকাল সোমবার সাবেক ইউপি সদস্যসহ তিনজনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।
মামলা দায়েরের পর আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
আটককৃতদের মধ্যে উপজেলার ৪নং আওনা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কুমারপাড়া গ্রামের মৃত ইদ্রিস তালুকদারের ছেলে লিটন তালুকদার (৫৫) সাবেক ইউপি সদস্য। এছাড়া অন্যরা হলো তার দুই সহযোগী একই গ্রামের মো. সুরুজ্জামানের ছেলে মো. সেলিম (২৩) ও তারা মিয়ার ছেলে কবির মিয়া (২৮)।
মামলা সূত্রে জানায়, কুমারপাড়া গ্রামের জনৈক কিশোরীকে একই গ্রামের মৃত দুলালের বখাটে ছেলে মো. শাহিন গত ১৪ জুন দুপুরে ফুসলিয়ে তার ঘরে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। একইভাবে পরপর চারদিন মেয়েটিকে ধর্ষণ করলে একপর্যায়ে তার বন্ধু আলাউদ্দিনের ছেলে মো. পারভেজ জেনে ফেলে। পরে এ ঘটনা সবাইকে বলে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ১৭ জুন বিকেলে ওই মেয়েকে পারভেজও জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ বিষয়টিও জেনে ফেলে তাদের অপর বন্ধু একই গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে মো. লাভলু। ১৯ জুন দুপুরে অসহায় মেয়েটিকে তার বাড়িতে একা পেয়ে ৬ষ্ঠ বার ধর্ষণের চেষ্টা চালায় লাভলু। ওইদিন ধৈর্যের বাধ ভেঙে যাওয়া মেয়েটির ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে লাভলু পালিয়ে যায়।
ধর্ষিতা কিশোরীর মা ফরিদা বেগম অভিযোগ করেন, ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। গত রবিবার রাতে আপোস-মীমাংসার কথা বলে লিটন তালুকদারের নেতৃত্বে বৈঠক বসিয়ে এ ঘটনা গোপন রাখতে চাপ প্রয়োগ করা হয় আমাদেরকে। পরে তারাকান্দি সেনাক্যাম্পে আমরা খবর দিলে রাত ১১টার দিকে ক্যাপ্টেন অর্ণব কবির পাপনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে যৌথবাহিনী তিনজনকে আটক করে।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান বলেন, ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আটককৃত তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান।