সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) : মোল্লাকান্দি ও খাসমহল গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ -সংবাদ
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চৌরাস্তা বাজারে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোল্লাকান্দি ও খাসমহল গ্রামের মধ্যে টেটা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ভয়াবহ সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। পাশাপাশি বাজারের অন্তত ১০টি দোকান ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল সোমবার দুপুর ১টার দিকে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষে চারপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা জানান, মোল্লাকান্দি গ্রামের শাহীন বেপারী (৩২), পেশায় একজন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা গ্যারেজ মালিক, দীর্ঘ ছয় মাস ধরে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রাখেন। গতকাল সোমবার সিরাজদিখান পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এক কর্মকর্তা বিল আদায়ের জন্য তার গ্যারেজে গেলে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়।
সে সময় খাসমহল গ্রামের সুলতান সর্দার (৪০) বিল পরিশোধে কর্মকর্তাকে সমর্থন জানালে উত্তেজনা চরমে পৌঁছে। প্রথমে কথা কাটাকাটি, পরে তা রূপ নেয় হাতাহাতিতে। কিছুক্ষণের মধ্যেই দুই গ্রামের লোকজন লাঠিসোটা, ইট-পাটকেল এবং টেটা নিয়ে একে অপরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
সংঘর্ষের খবর ছড়িয়ে পড়লে বাজারের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিস্থিতি সামাল দিতে সময়মতো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী না পৌঁছানোয় সংঘর্ষ দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বেড়ে যায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও সিরাজদিখান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মোতায়েন হয়। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে এবং টহল জোরদার করা হয়েছে।
বালুচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন বলেন, একেবারে তুচ্ছ একটা বিষয় নিয়ে এমন ভয়াবহ সংঘর্ষ দুঃখজনক। আমরা দ্রুত পরিস্থিতি শান্ত করেছি।
সিরাজদিখান থানার ওসি শাহেদ আল মামুন জানান, প্রাথমিকভাবে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) : মোল্লাকান্দি ও খাসমহল গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ -সংবাদ
মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চৌরাস্তা বাজারে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোল্লাকান্দি ও খাসমহল গ্রামের মধ্যে টেটা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ভয়াবহ সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। পাশাপাশি বাজারের অন্তত ১০টি দোকান ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল সোমবার দুপুর ১টার দিকে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষে চারপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা জানান, মোল্লাকান্দি গ্রামের শাহীন বেপারী (৩২), পেশায় একজন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা গ্যারেজ মালিক, দীর্ঘ ছয় মাস ধরে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রাখেন। গতকাল সোমবার সিরাজদিখান পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এক কর্মকর্তা বিল আদায়ের জন্য তার গ্যারেজে গেলে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়।
সে সময় খাসমহল গ্রামের সুলতান সর্দার (৪০) বিল পরিশোধে কর্মকর্তাকে সমর্থন জানালে উত্তেজনা চরমে পৌঁছে। প্রথমে কথা কাটাকাটি, পরে তা রূপ নেয় হাতাহাতিতে। কিছুক্ষণের মধ্যেই দুই গ্রামের লোকজন লাঠিসোটা, ইট-পাটকেল এবং টেটা নিয়ে একে অপরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
সংঘর্ষের খবর ছড়িয়ে পড়লে বাজারের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিস্থিতি সামাল দিতে সময়মতো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী না পৌঁছানোয় সংঘর্ষ দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বেড়ে যায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও সিরাজদিখান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মোতায়েন হয়। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে এবং টহল জোরদার করা হয়েছে।
বালুচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন বলেন, একেবারে তুচ্ছ একটা বিষয় নিয়ে এমন ভয়াবহ সংঘর্ষ দুঃখজনক। আমরা দ্রুত পরিস্থিতি শান্ত করেছি।
সিরাজদিখান থানার ওসি শাহেদ আল মামুন জানান, প্রাথমিকভাবে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।