গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) : কর্দোমাক্ত সড়কে যান চলাচলে অযোগ্য -সংবাদ
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এসডি খান সড়ক। তবে সড়কটির, ৩ কিলোমিটার অংশ জুড়ে গর্ত ও খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন ও মানুষের চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। স্থানীয় ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, মহাসড়কের গজারিয়া অংশের মেঘনা সেতুর পূর্বপ্রান্ত জামালদী বাসস্ট্যান্ড থেকে হোসেন্দী বাজার হয়ে সড়কটি উপজেলা সদর পর্যন্ত বিস্তৃত। সড়কটির জামালদী বাসস্ট্যান্ড থেকে হোসেন্দী বাজার পর্যন্ত অংশের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ওই সড়ক পাড়ি দিতে গিয়ে উপজেলারব ৩’টি ইউনিয়নের হাজার হাজার বাসিন্দা, যানবাহনের চালক-যাত্রী ও পথচারীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির সময়ে দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। সম্প্রতি সড়কটিতে ছোট-বড় কয়েকটি দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ফলে ওই সড়ক ব্যবহারকারী ও স্থানীয় মানুষের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে উৎকণ্ঠা ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এসডিখান সড়ক সংলগ্ন এলাকায় গড়ে ওঠা কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পণ্য-মালামাল পরিবহনের কাজে ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়। এতে এ সড়কে যানজট সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগের শিকার হন স্থানীয় লোকজন। দিনের বেলায় এসডিখান সড়কে স্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর পণ্যবাহী ভারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্বের দাবী জানিয়ে আসছেন স্থানীয়রা।
এছাড়া ওই সড়কের জামালদী ও লস্করদী এলাকায় দুটি সেতু নির্মাণ কাজের মধ্যে একটির কাজ গত ৩ বছরেও সম্পন্ন না হওয়ায় ওই সড়ক ব্যবহারকারীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। উল্লেখ্য, সড়কটির লস্করদী এলাকায় তৈয়ব শাহ-এর বাড়ির সংলগ্ন খালের ওপর প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫ মিটার দৈর্ঘ্য ও পৌনে ১০ মিটার প্রস্থের সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি ৩ বছরেও।
কার্যাদেশ প্রাপ্তির ১৮ মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার কথা থাকলেও ৩ বছরে সেতুর দুই পাশের ব্যাজ ও দুটি পিলারের আংশিক নির্মান ছাড়া কাজের দৃশ্যমান কোন অংশ নির্মাণ হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের জুন মাসে সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ পায় সানটেক এমকে(জেভি) নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। বিধি মোতাবেক পরবর্তী ১৮ মাস সময়ের মধ্যে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে সেতুটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা । অথচ নির্ধারিত সময় শেষে অতিরিক্ত ২১ মাস সময় অতিবাহিত হলেও সেতুর কাজের ৬০ শতাংশও সম্পন্ন হয়নি।
গজারিয়া উপজেলা প্রকৌশলী সামিউল আরেফিন জানান, নির্ধারিত সময়ে সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় কয়েক দফা সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে, ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওই কর্মকর্তা। তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি প্রকৌশলী মাসুম দাবি করেন,আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে মূল সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে। জানা যায়, নির্মাণ কাজ শুরুর ৩ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও নির্মাণ কাজ ঝুলে থাকায় ওই সড়ক ব্যবহারকারী যানবাহনের চালক, যাত্রী ও পথচারীরা দুর্ভোগ ও বিরম্বনার শিকার হচ্ছেন।
সম্প্রতি সরজমিন সেতু নির্মাণ স্থলে গিয়ে স্থানীয় ভুক্তভোগী ও যানবাহনের কয়েকজন যাত্রী ও চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, নির্মাণাধীন সেতুর উত্তর পাশ ঘেঁষে ঝঁকিপূর্ন নরবড়ে ডাইভারশন (বিকল্প পত) পাড়ি দিয়ে জীবন ও সম্পদের ঝুঁকি নিয়ে তাদেরকে চলাচল করতে হচ্ছে।
জামালী- হোসেন্দী বাজার (এসডি খান) সড়কের বিভিন্ন অংশে খানা-খন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ চলাচলের বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্র জানান, সড়কটির জন্য গত সপ্তাহে আড়াই কোটি টাকা এলজিইডি থেকে বরাদ্ধ পাওয়া গেছে। সড়কের সামুদা কেমিক্যাল কারখানা সংলগ্ন অংশে ২৮০ মিটার অংশ সিসি ঢালাই করা আছে , বরাদ্দ পাওয়া আড়াইকোটি টাকার টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলে চলতি বছর আরসিসি ঢালাই অংশের সাথে আরো ৮ শ ৬০ মিটার সড়ক আরসিসি ঢালাইয়ে নির্মাণ করা সম্ভব হবে।
স্হানীয় ভুক্তভোগী জনসাধারণ সড়কটি মেরামত ও সংস্কারের দাবিতে গত আগষ্ট মাসে কয়েক দফা মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করেছিল।
গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) : কর্দোমাক্ত সড়কে যান চলাচলে অযোগ্য -সংবাদ
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এসডি খান সড়ক। তবে সড়কটির, ৩ কিলোমিটার অংশ জুড়ে গর্ত ও খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন ও মানুষের চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। স্থানীয় ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, মহাসড়কের গজারিয়া অংশের মেঘনা সেতুর পূর্বপ্রান্ত জামালদী বাসস্ট্যান্ড থেকে হোসেন্দী বাজার হয়ে সড়কটি উপজেলা সদর পর্যন্ত বিস্তৃত। সড়কটির জামালদী বাসস্ট্যান্ড থেকে হোসেন্দী বাজার পর্যন্ত অংশের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ওই সড়ক পাড়ি দিতে গিয়ে উপজেলারব ৩’টি ইউনিয়নের হাজার হাজার বাসিন্দা, যানবাহনের চালক-যাত্রী ও পথচারীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির সময়ে দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। সম্প্রতি সড়কটিতে ছোট-বড় কয়েকটি দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ফলে ওই সড়ক ব্যবহারকারী ও স্থানীয় মানুষের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে উৎকণ্ঠা ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এসডিখান সড়ক সংলগ্ন এলাকায় গড়ে ওঠা কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পণ্য-মালামাল পরিবহনের কাজে ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়। এতে এ সড়কে যানজট সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগের শিকার হন স্থানীয় লোকজন। দিনের বেলায় এসডিখান সড়কে স্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর পণ্যবাহী ভারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্বের দাবী জানিয়ে আসছেন স্থানীয়রা।
এছাড়া ওই সড়কের জামালদী ও লস্করদী এলাকায় দুটি সেতু নির্মাণ কাজের মধ্যে একটির কাজ গত ৩ বছরেও সম্পন্ন না হওয়ায় ওই সড়ক ব্যবহারকারীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। উল্লেখ্য, সড়কটির লস্করদী এলাকায় তৈয়ব শাহ-এর বাড়ির সংলগ্ন খালের ওপর প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫ মিটার দৈর্ঘ্য ও পৌনে ১০ মিটার প্রস্থের সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি ৩ বছরেও।
কার্যাদেশ প্রাপ্তির ১৮ মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার কথা থাকলেও ৩ বছরে সেতুর দুই পাশের ব্যাজ ও দুটি পিলারের আংশিক নির্মান ছাড়া কাজের দৃশ্যমান কোন অংশ নির্মাণ হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের জুন মাসে সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ পায় সানটেক এমকে(জেভি) নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। বিধি মোতাবেক পরবর্তী ১৮ মাস সময়ের মধ্যে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে সেতুটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা । অথচ নির্ধারিত সময় শেষে অতিরিক্ত ২১ মাস সময় অতিবাহিত হলেও সেতুর কাজের ৬০ শতাংশও সম্পন্ন হয়নি।
গজারিয়া উপজেলা প্রকৌশলী সামিউল আরেফিন জানান, নির্ধারিত সময়ে সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় কয়েক দফা সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে, ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওই কর্মকর্তা। তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি প্রকৌশলী মাসুম দাবি করেন,আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে মূল সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে। জানা যায়, নির্মাণ কাজ শুরুর ৩ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও নির্মাণ কাজ ঝুলে থাকায় ওই সড়ক ব্যবহারকারী যানবাহনের চালক, যাত্রী ও পথচারীরা দুর্ভোগ ও বিরম্বনার শিকার হচ্ছেন।
সম্প্রতি সরজমিন সেতু নির্মাণ স্থলে গিয়ে স্থানীয় ভুক্তভোগী ও যানবাহনের কয়েকজন যাত্রী ও চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, নির্মাণাধীন সেতুর উত্তর পাশ ঘেঁষে ঝঁকিপূর্ন নরবড়ে ডাইভারশন (বিকল্প পত) পাড়ি দিয়ে জীবন ও সম্পদের ঝুঁকি নিয়ে তাদেরকে চলাচল করতে হচ্ছে।
জামালী- হোসেন্দী বাজার (এসডি খান) সড়কের বিভিন্ন অংশে খানা-খন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ চলাচলের বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্র জানান, সড়কটির জন্য গত সপ্তাহে আড়াই কোটি টাকা এলজিইডি থেকে বরাদ্ধ পাওয়া গেছে। সড়কের সামুদা কেমিক্যাল কারখানা সংলগ্ন অংশে ২৮০ মিটার অংশ সিসি ঢালাই করা আছে , বরাদ্দ পাওয়া আড়াইকোটি টাকার টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলে চলতি বছর আরসিসি ঢালাই অংশের সাথে আরো ৮ শ ৬০ মিটার সড়ক আরসিসি ঢালাইয়ে নির্মাণ করা সম্ভব হবে।
স্হানীয় ভুক্তভোগী জনসাধারণ সড়কটি মেরামত ও সংস্কারের দাবিতে গত আগষ্ট মাসে কয়েক দফা মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করেছিল।