উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা তিন দিনের ভারি বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পর এখন কিছুটা কমলেও লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চলগুলো এখনো প্লাবিত রয়েছে। পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার জানান, রোববার রাত ১২টার দিকে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ৫২ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপরে। সোমবার সকাল ৬টায় তা বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপরে এবং সকাল ৯টায় ৩ সেন্টিমিটার নিচে নেমে আসে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও ভারি বৃষ্টির কারণে পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার বহু চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, পুকুর ও রোপা আমন ক্ষেতসহ নানা কৃষিজমি।
বিশেষ করে হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান, সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, কালীগঞ্জের কাকিনা ও ভোটমারী, আদিতমারীর গোবর্ধন ও মহিষখোচা, এবং সদর উপজেলার কুলাঘাট, বড়বাড়ী ও মোগলহাট ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা এখনো পানিতে তলিয়ে আছে।
আদিতমারীর গোবর্ধন গ্রামের ফারুক আহমেদ বলেন, “রোববার বিকাল পর্যন্ত পানি তেমন ছিল না, কিন্তু সন্ধ্যার পর হঠাৎ পানি বাড়তে শুরু করে। এখন ঘরবাড়ি ডুবে গেছে, পরিবার নিয়ে নিরাপদ স্থানে যাচ্ছি।”
হাতীবান্ধার সিন্দুর্না গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, “তিস্তার পানি ঘরে ঢুকে গেছে, চোখের সামনে সব কিছু ডুবে যাচ্ছে।”
হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিয়াউর হক জিয়া বলেন, “উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিতে ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ পানিবন্দি।”
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিমাপক নূরুল সলাম বলেন, সোমবার রাত ১২টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপরে থাকলেও সকাল ৯টার দিকে তা নিচে নেমে আসে। তবে পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণ অব্যাহত থাকলে আবারও পানি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার।
তিনি বলেন, “নদীপাড়ের মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।”
লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, “তিস্তা তীরবর্তী এলাকা বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে। প্রশাসন সম্ভাব্য জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত আছে।”
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা তিন দিনের ভারি বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পর এখন কিছুটা কমলেও লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চলগুলো এখনো প্লাবিত রয়েছে। পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার জানান, রোববার রাত ১২টার দিকে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ৫২ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপরে। সোমবার সকাল ৬টায় তা বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপরে এবং সকাল ৯টায় ৩ সেন্টিমিটার নিচে নেমে আসে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও ভারি বৃষ্টির কারণে পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার বহু চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, পুকুর ও রোপা আমন ক্ষেতসহ নানা কৃষিজমি।
বিশেষ করে হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান, সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, কালীগঞ্জের কাকিনা ও ভোটমারী, আদিতমারীর গোবর্ধন ও মহিষখোচা, এবং সদর উপজেলার কুলাঘাট, বড়বাড়ী ও মোগলহাট ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা এখনো পানিতে তলিয়ে আছে।
আদিতমারীর গোবর্ধন গ্রামের ফারুক আহমেদ বলেন, “রোববার বিকাল পর্যন্ত পানি তেমন ছিল না, কিন্তু সন্ধ্যার পর হঠাৎ পানি বাড়তে শুরু করে। এখন ঘরবাড়ি ডুবে গেছে, পরিবার নিয়ে নিরাপদ স্থানে যাচ্ছি।”
হাতীবান্ধার সিন্দুর্না গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, “তিস্তার পানি ঘরে ঢুকে গেছে, চোখের সামনে সব কিছু ডুবে যাচ্ছে।”
হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিয়াউর হক জিয়া বলেন, “উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিতে ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ পানিবন্দি।”
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিমাপক নূরুল সলাম বলেন, সোমবার রাত ১২টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপরে থাকলেও সকাল ৯টার দিকে তা নিচে নেমে আসে। তবে পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণ অব্যাহত থাকলে আবারও পানি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার।
তিনি বলেন, “নদীপাড়ের মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।”
লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, “তিস্তা তীরবর্তী এলাকা বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে। প্রশাসন সম্ভাব্য জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত আছে।”