alt

কুড়িগ্রামে পানিবন্দি ৩ হাজার মানুষ, নদীতে ১৬ বাড়ি ও ৪ মসজিদ

জেলা বার্তা পরিবেশক, কুড়িগ্রাম : বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫

কুড়িগ্রাম : জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গায় পানিতে ডুবে গেছে ফসলি জমি -সংবাদ

অতি বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা পানির তোড়ে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নে একদিনেই বিলিন হয়েছে ১৬টি বসত বাড়িসহ ৪টি মসজিদ। হু-হু কওে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তী ৪টি গ্রামে পানি প্রবেশ করায় ৭ শতাধিক পরিবারের প্রায় ৩ হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পরেছে। এদিকে তীব্র স্রোতের কবলে প্রায় ৫ একর ফসলি জমিন নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। ছাড়াও ভাঙনের মুখে রয়েছে স্থানীয় জাতের আগাম পাকা ধান ক্ষেত।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত তিনদিন ধরে উজানে ভারি ও অতি ভারি বৃষ্টিপাতের প্রভাব এবং তিস্তা ব্যারেজের কপাট খুলে দেয়ায় তীব্র স্রোতের তোড়ে হু-হু করে তিস্তা নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। আকষ্মিক ভাবে একসাথে পানি প্রবাহের ফলে জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখাঁ, চর নাখেন্দা, সরিষা বাড়ি ও গতিয়া সামের মাঝের চরে বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পাশাপাশি গতিয়া সামের মাঝের চরগ্রামে শুরু হয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। গত তিন দিনে এই গ্রামের প্রায় ৫ একর ফসলি জমিন নদীগর্ভে চলে গেছে। হুমকীতে রয়েছে দুইশতাধিক বাড়ি ও শতশত বিঘা ফসলী জমিন।

মাঝের চরগ্রামের খোরশেদ আলী জানান, হঠাৎ কওে মাঝরাতে পানি বৃদ্ধির ফলে লোকজন আতংকিত হয়ে পরেন। নদী তীরবর্তী বাড়িগুলো রক্ষায় লোকজন বাড়ি থেকে বের হয়ে ভাঙন কবলিতদেও উদ্ধারে নেমে পরেন। তবে চারদিকে পানি প্লাবিত হওয়ায় ভাঙনকৃত বাড়ি ঘর রাখা খুব কষ্ট কর হচ্ছে। ফলে যেখানে অপেক্ষাকৃত উঁচু জমি পাওয়া যাচ্ছে, সেখানেই ঘরবাড়ি রাখছে মানুষ। এছাড়াও যাদেও সামর্থ রয়েছে তারা নৌকা ভাড়া করে গ্রাম ছেড়ে অন্য গ্রামে চলে যাচ্ছে।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রান্না চড়িয়েছেন মাঝেরচর গ্রামের আছরুদ্দির স্ত্রী রোজিনা। চাল পরিস্কার কওে হাঁড়িতে বসিয়ে লাউ শাক রান্নার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি জানালেন, রাত তিনটা থেকে পানি বাড়ছে। রান্নাবান্না করতে পারি নাই। ভর দুপুরে রান্না বসাইছি। এখন আমাদের চতুর্দিকে কষ্ট। পানির কষ্ট। খাবারের কষ্ট। গ্রামে কোন আশ্রয় কেন্দ্র নাই। ফলে কোথাও যাবার জায়গা নাই।

পাশেই চার/পাঁচটি বাড়ির পরেই সাবিনাদেও বাড়ি। তাদের শোবার ঘওে পানি প্রবেশ করেছে। দুসন্তান আর মাকে নিয়ে বিছানায় অবস্থান নিয়েছেন তারা। সাবিনা জানান, রাত থেকে পানি বাড়ার ফলে ঘরের ভিতর পানি ঢুকেছে। ফলে রান্নার কষ্ট হচ্ছে। গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগী, বাচ্চাদের নিয়ে খুব বিপদে আছি।

এই গ্রামের ওসমানের ছেলে সহিজল জানান, বুধবার,(০৮ অক্টোবর ২০২৫) থেকে বন্যার মধ্যে অবস্থান করছি। বন্যার পানিতে সব ডুবে গেছে। মানুষের দুর্গতি শুরু হয়েছে। চেয়ারম্যান-মেম্বার কোন খোঁজ খবর নিচ্ছে না।

রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার শহিদুল ইসলাম জানান, এই ইউনিয়নের ৪টি গ্রামের প্রায় ৭শতাধিক পরিবার পানি বন্দী হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। একদিকে পানি বৃদ্ধিও ফলে বন্যা, অপরদিকে ভাঙনের ফলে ১৬টি বাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে। এতে পরিবারগুলো অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। তিনি জানান, খিতাবখা গ্রামে ২শ’, চর নাখেন্দা গ্রামে ২শ’ সরিষা বাড়িতে ৫০ এবং চর গতিয়াসাম মাঝের চরে ২৫০টি বাড়ি সহ প্রায় ৭ শতাধিক বাড়ি পানিবন্দী হয়ে পরেছে। এছাড়াও একদিনে মাঝের চরে ভেঙেছে ১৬টি বাড়ি। বাড়িগুলি হচ্ছে, ওসমানের ছেলে সহিজল, সালমানের ছেলে সালাম, হায়দার মুন্সির ছেলে মোস্তাক, তাসলিমের ছেলে বোরহান, নুরুলের ছেলে মোকাদ্দেশ ও কুদ্দুছ, ভুট্টুর ছেলে খোরশেদ, হামিদারের ছেলে অহিজল, শুটকোর ছেলে জয়নাল তেলি, মহুবরের ছেলে জহুরুল, জহুরুলের ছেলে তাইজুল, হাবিলের ছেলে আলমগীর, আনছার তেলির ছেলে অবিরুদ্দি সহ আরও ৩টি পরিবার।

এ ব্যাপারে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল ইমরান জানান, সম্প্রতি তিস্তায় পানি প্রবাহ বৃদ্ধিও ফলে চর এলাকার বসতিগুলো পানি প্রবেশ করছে। সেখানে আমাদেও পর্যাপ্ত নৌকার প্রস্তুতি রয়েছে। এছাড়াও ৮শতাধিক ত্রাণের প্যাকেট মজুদ রয়েছে। যে কোন সময় পরিস্থিতির অবনতি হলে আমরা সহায়তা করতে পারবো। আমরা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি এবং ভাঙনের বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করছি।

ছবি

ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭শ’ জন হাসপাতালে, ৩ জনের মৃত্যু

ছবি

সুন্দরগঞ্জে টিকাদানকারী জনবল সংকট, গবাদিপশু নিয়ে শঙ্কা

ছবি

জোর করে পদত্যাগ করানো শিক্ষকদের বেতন-ভাতা চালুর নির্দেশ মন্ত্রণালয়ের

ছবি

জোয়ারে খুলনায় উচ্চ বেড়িবাঁধে ভাঙন, আতঙ্কে স্থানীয়রা

‘প্রত্যেক মামলায় নাম থাকবে’— সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিককে বিএনপি নেতার হুমকি

ছবি

সিলেট-আখাউড়া রেলপথ: ১৭৯ কিলোমিটারে ১৩টি ‘ডেড স্টপ’

ছবি

ধামরাইয়ে উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৫ জন গ্রেপ্তার

ছবি

যশোরে পৌনে আট লাখ শিশুকে টাইফয়েড টিকা দানের লক্ষ্যমাত্রা

ছবি

টেকনাফে ১৭০ রোহিঙ্গা আটক, ক্যাম্প মাঝিদের হাতে হস্তান্তর

ছবি

জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে মহেশপুরে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

ছবি

টাঙ্গাইলে চারাবাড়ী এসডিএস সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক ধসে যানবাহন চলাচল বন্ধ

ছবি

শ্রীনগরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতি আনুমানিক ১০ লাখ টাকা

ছবি

নড়াইলে পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু

ছবি

মানিকগঞ্জে এনজিও কর্মীর মরদেহ উদ্ধার

ছবি

মাগুরায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ গ্রামগঞ্জে ছড়াচ্ছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব

ছবি

প্রকাশ্যে চলছে শোলমারী নদী দখলের মহোৎসব

ছবি

শরণখোলায় মা ইলিশ রক্ষায় মোবাইল কোর্টের অভিযানে

ছবি

সরাইলে তিতাস নদীতে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

ছবি

সড়ক দুর্ঘটনায় হেফাজত নেতার মৃত্যু, কর্মীদের সড়ক অবরোধ

ছবি

ঝালকাঠিতে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালিত

ছবি

‘সরকার যে টিকা দিচ্ছে তা নিরাপদ’

ছবি

লৌহজংয়ে সরকারি খাসজমি উদ্ধার

ছবি

রামু বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী কল্প জাহাজ ভাসা উৎসব সম্পন্ন

ছবি

যশোরে পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু

ছবি

কিডনি বিকলে জীবনযুদ্ধে নাইমুল

ছবি

১৬ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী ১৫ জন

ছবি

পার্বতীপুর মধ্যপাড়া রেঞ্জ বন বিভাগের ১১০০ একর বনভূমি দখল

ছবি

নবাবগঞ্জে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত

ছবি

টঙ্গীবাড়ীতে রাস্তা সংস্কারের দাবীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

ছবি

পাঁচবিবিতে গ্রাম পুলিশদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা

ছবি

গঙ্গাচড়ায় ঘূর্ণিঝড়ের চারদিনেও ফেরেনি বিদ্যুৎ

ছবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে কৃষকের মাঝে শীতকালীন সবজি বীজ-সার বিতরণ

ছবি

ঝিনাইগাতীতে কৃষিনীতি বাস্তবায়নের জন্য অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত

ছবি

বৃদ্ধা নীলিমার দুঃখ ঘুচলো না

ছবি

খানাখন্দে ভরা ঢাকা-পাথরঘাটা মহাসড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

ছবি

হাইমচরে সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যু, হাসপাতালে উত্তেজনা

tab

কুড়িগ্রামে পানিবন্দি ৩ হাজার মানুষ, নদীতে ১৬ বাড়ি ও ৪ মসজিদ

জেলা বার্তা পরিবেশক, কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রাম : জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গায় পানিতে ডুবে গেছে ফসলি জমি -সংবাদ

বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫

অতি বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা পানির তোড়ে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নে একদিনেই বিলিন হয়েছে ১৬টি বসত বাড়িসহ ৪টি মসজিদ। হু-হু কওে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তী ৪টি গ্রামে পানি প্রবেশ করায় ৭ শতাধিক পরিবারের প্রায় ৩ হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পরেছে। এদিকে তীব্র স্রোতের কবলে প্রায় ৫ একর ফসলি জমিন নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। ছাড়াও ভাঙনের মুখে রয়েছে স্থানীয় জাতের আগাম পাকা ধান ক্ষেত।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত তিনদিন ধরে উজানে ভারি ও অতি ভারি বৃষ্টিপাতের প্রভাব এবং তিস্তা ব্যারেজের কপাট খুলে দেয়ায় তীব্র স্রোতের তোড়ে হু-হু করে তিস্তা নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। আকষ্মিক ভাবে একসাথে পানি প্রবাহের ফলে জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখাঁ, চর নাখেন্দা, সরিষা বাড়ি ও গতিয়া সামের মাঝের চরে বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পাশাপাশি গতিয়া সামের মাঝের চরগ্রামে শুরু হয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। গত তিন দিনে এই গ্রামের প্রায় ৫ একর ফসলি জমিন নদীগর্ভে চলে গেছে। হুমকীতে রয়েছে দুইশতাধিক বাড়ি ও শতশত বিঘা ফসলী জমিন।

মাঝের চরগ্রামের খোরশেদ আলী জানান, হঠাৎ কওে মাঝরাতে পানি বৃদ্ধির ফলে লোকজন আতংকিত হয়ে পরেন। নদী তীরবর্তী বাড়িগুলো রক্ষায় লোকজন বাড়ি থেকে বের হয়ে ভাঙন কবলিতদেও উদ্ধারে নেমে পরেন। তবে চারদিকে পানি প্লাবিত হওয়ায় ভাঙনকৃত বাড়ি ঘর রাখা খুব কষ্ট কর হচ্ছে। ফলে যেখানে অপেক্ষাকৃত উঁচু জমি পাওয়া যাচ্ছে, সেখানেই ঘরবাড়ি রাখছে মানুষ। এছাড়াও যাদেও সামর্থ রয়েছে তারা নৌকা ভাড়া করে গ্রাম ছেড়ে অন্য গ্রামে চলে যাচ্ছে।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রান্না চড়িয়েছেন মাঝেরচর গ্রামের আছরুদ্দির স্ত্রী রোজিনা। চাল পরিস্কার কওে হাঁড়িতে বসিয়ে লাউ শাক রান্নার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি জানালেন, রাত তিনটা থেকে পানি বাড়ছে। রান্নাবান্না করতে পারি নাই। ভর দুপুরে রান্না বসাইছি। এখন আমাদের চতুর্দিকে কষ্ট। পানির কষ্ট। খাবারের কষ্ট। গ্রামে কোন আশ্রয় কেন্দ্র নাই। ফলে কোথাও যাবার জায়গা নাই।

পাশেই চার/পাঁচটি বাড়ির পরেই সাবিনাদেও বাড়ি। তাদের শোবার ঘওে পানি প্রবেশ করেছে। দুসন্তান আর মাকে নিয়ে বিছানায় অবস্থান নিয়েছেন তারা। সাবিনা জানান, রাত থেকে পানি বাড়ার ফলে ঘরের ভিতর পানি ঢুকেছে। ফলে রান্নার কষ্ট হচ্ছে। গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগী, বাচ্চাদের নিয়ে খুব বিপদে আছি।

এই গ্রামের ওসমানের ছেলে সহিজল জানান, বুধবার,(০৮ অক্টোবর ২০২৫) থেকে বন্যার মধ্যে অবস্থান করছি। বন্যার পানিতে সব ডুবে গেছে। মানুষের দুর্গতি শুরু হয়েছে। চেয়ারম্যান-মেম্বার কোন খোঁজ খবর নিচ্ছে না।

রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার শহিদুল ইসলাম জানান, এই ইউনিয়নের ৪টি গ্রামের প্রায় ৭শতাধিক পরিবার পানি বন্দী হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। একদিকে পানি বৃদ্ধিও ফলে বন্যা, অপরদিকে ভাঙনের ফলে ১৬টি বাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে। এতে পরিবারগুলো অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। তিনি জানান, খিতাবখা গ্রামে ২শ’, চর নাখেন্দা গ্রামে ২শ’ সরিষা বাড়িতে ৫০ এবং চর গতিয়াসাম মাঝের চরে ২৫০টি বাড়ি সহ প্রায় ৭ শতাধিক বাড়ি পানিবন্দী হয়ে পরেছে। এছাড়াও একদিনে মাঝের চরে ভেঙেছে ১৬টি বাড়ি। বাড়িগুলি হচ্ছে, ওসমানের ছেলে সহিজল, সালমানের ছেলে সালাম, হায়দার মুন্সির ছেলে মোস্তাক, তাসলিমের ছেলে বোরহান, নুরুলের ছেলে মোকাদ্দেশ ও কুদ্দুছ, ভুট্টুর ছেলে খোরশেদ, হামিদারের ছেলে অহিজল, শুটকোর ছেলে জয়নাল তেলি, মহুবরের ছেলে জহুরুল, জহুরুলের ছেলে তাইজুল, হাবিলের ছেলে আলমগীর, আনছার তেলির ছেলে অবিরুদ্দি সহ আরও ৩টি পরিবার।

এ ব্যাপারে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল ইমরান জানান, সম্প্রতি তিস্তায় পানি প্রবাহ বৃদ্ধিও ফলে চর এলাকার বসতিগুলো পানি প্রবেশ করছে। সেখানে আমাদেও পর্যাপ্ত নৌকার প্রস্তুতি রয়েছে। এছাড়াও ৮শতাধিক ত্রাণের প্যাকেট মজুদ রয়েছে। যে কোন সময় পরিস্থিতির অবনতি হলে আমরা সহায়তা করতে পারবো। আমরা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি এবং ভাঙনের বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করছি।

back to top