ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চারাবাড়ী-তোরাবগঞ্জ সড়কের ধলেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত এসডিএস সেতুর অ্যাপ্রোচ অংশ ধসে পড়েছে। এতে করে টাঙ্গাইল শহরের সাথে পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) মধ্যরাতে সেতুর পশ্চিম পাশের অ্যাপ্রোচ সড়ক হঠাৎ ধসে পড়ে। যাতায়াত সম্পূর্নভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল থেকে সদর উপজেলার তিন ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ^াস দিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে যমুনার শাখা ধলেশ^রী নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে তীব্র স্রোত তৈরি হয়। এতে সেতুর পশ্চিম পাড়ের মাটি ধসে গিয়ে অ্যাপ্রোচ অংশ ভেঙে পড়ে। এছাড়া স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সারা বছর এই সেতুর আশেপাশে বালু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে। এর ফলে সেতুর নিচে মাটি দিন দিন সরে যায়। এসব কারণে প্রতি বছর বর্ষায় এই সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক ভেঙে যায়। সে সময় পানি উন্নয়ন বোর্ড, এলজিইডি কোনমতে মেরামত কাজ করে দেয়। শুষ্ক মৌসুমে ওই মেরামতের উপর ভর করেই যানবাহন যাতায়াত করে। কিন্তু এবার সেতুর পশ্চিম অংশের শেষ প্রান্তে অ্যাপ্রোচ অংশ পুরোপুরি ধসে পড়েছে।
জানা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা চারাবাড়ি-তোরাবগঞ্জ সড়কে ধলেশ্বরী নদীর উপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর বিগত ২০০৬ সালে ১৭০ দশমিক ৬৪২ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুটি নির্মাণ করেছিলেন। টাঙ্গাইল শহরের সাথে পশ্চিমাঞ্চলের কাতুলী, হুগড়া ও কাকুয়া তিনটি ইউনিয়নবাসীর সড়ক যোগাযোগের সেতু এটি। প্রতিদিন এই সেতু ও সড়ক দিয়ে হাজার হাজার মানুষ যানবাহন চলাচল করে থাকে। অ্যাপ্রোচের মাটি ধসের যাওয়ার পর থেকে ছোট-বড় যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় ভোগান্তিতে পড়া হাজার হাজার মানুষকে বিকল্প পথে চলাচল করতে হচ্ছে।
সিএনজি চালক সাজেদুল বলেন, সেতু বাক থাকায় সেতুর অ্যাপ্রোচের পাশে পানির চাপ পড়ে। যার ফলে বর্ষা আসলেই এই সেতুর অ্যাপ্রোচ বার বার ভেঙে যায়। শুষ্ক মৌসুমে নদীর গতিপথ পরিবর্তন না করলে প্রতিবছরে পানির চাপ সেতুর অ্যাপ্রোচে চাপ পড়ে। এখানে স্থায়ীভাবে বাধ দিতে হবে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপি প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. ফরহাদ ইকবাল, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর আহসান হাবীব মাসুদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় কেন্দ্রীয় বিএনপি প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, পশ্চিম টাঙ্গাইলের লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ লাগবের জন্য দ্রুত এই সেতুর কাজ করার জন্য কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছি। সেখানে দিয়ে দেখেছি ব্রিজের পশ্চিম পাশে শত শত মানুষ শহরে আসার জন্য সিএনজি, অটোরিক্সা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সেতু ভেঙে যাওয়ার কারণে আসতে পারছে না। তাদের যোগাযোগের জন্য দ্রুত বিকল্প হিসেবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে এমনটি কর্তৃপক্ষ আমাকে জানিয়েছে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীন মিয়া জানান, খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে সমন্বয় করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছি। যেহেতু ঘটনাস্থলের আশেপাশে অন্য কোন ব্রিজ অথবা বিকল্প পারাপারের ব্যবস্থা নেই। তাই বিষয়টি আমরা সকলের সমন্বয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চারাবাড়ী-তোরাবগঞ্জ সড়কের ধলেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত এসডিএস সেতুর অ্যাপ্রোচ অংশ ধসে পড়েছে। এতে করে টাঙ্গাইল শহরের সাথে পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) মধ্যরাতে সেতুর পশ্চিম পাশের অ্যাপ্রোচ সড়ক হঠাৎ ধসে পড়ে। যাতায়াত সম্পূর্নভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল থেকে সদর উপজেলার তিন ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ^াস দিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে যমুনার শাখা ধলেশ^রী নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে তীব্র স্রোত তৈরি হয়। এতে সেতুর পশ্চিম পাড়ের মাটি ধসে গিয়ে অ্যাপ্রোচ অংশ ভেঙে পড়ে। এছাড়া স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সারা বছর এই সেতুর আশেপাশে বালু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে। এর ফলে সেতুর নিচে মাটি দিন দিন সরে যায়। এসব কারণে প্রতি বছর বর্ষায় এই সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক ভেঙে যায়। সে সময় পানি উন্নয়ন বোর্ড, এলজিইডি কোনমতে মেরামত কাজ করে দেয়। শুষ্ক মৌসুমে ওই মেরামতের উপর ভর করেই যানবাহন যাতায়াত করে। কিন্তু এবার সেতুর পশ্চিম অংশের শেষ প্রান্তে অ্যাপ্রোচ অংশ পুরোপুরি ধসে পড়েছে।
জানা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা চারাবাড়ি-তোরাবগঞ্জ সড়কে ধলেশ্বরী নদীর উপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর বিগত ২০০৬ সালে ১৭০ দশমিক ৬৪২ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুটি নির্মাণ করেছিলেন। টাঙ্গাইল শহরের সাথে পশ্চিমাঞ্চলের কাতুলী, হুগড়া ও কাকুয়া তিনটি ইউনিয়নবাসীর সড়ক যোগাযোগের সেতু এটি। প্রতিদিন এই সেতু ও সড়ক দিয়ে হাজার হাজার মানুষ যানবাহন চলাচল করে থাকে। অ্যাপ্রোচের মাটি ধসের যাওয়ার পর থেকে ছোট-বড় যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় ভোগান্তিতে পড়া হাজার হাজার মানুষকে বিকল্প পথে চলাচল করতে হচ্ছে।
সিএনজি চালক সাজেদুল বলেন, সেতু বাক থাকায় সেতুর অ্যাপ্রোচের পাশে পানির চাপ পড়ে। যার ফলে বর্ষা আসলেই এই সেতুর অ্যাপ্রোচ বার বার ভেঙে যায়। শুষ্ক মৌসুমে নদীর গতিপথ পরিবর্তন না করলে প্রতিবছরে পানির চাপ সেতুর অ্যাপ্রোচে চাপ পড়ে। এখানে স্থায়ীভাবে বাধ দিতে হবে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপি প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. ফরহাদ ইকবাল, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর আহসান হাবীব মাসুদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় কেন্দ্রীয় বিএনপি প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, পশ্চিম টাঙ্গাইলের লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ লাগবের জন্য দ্রুত এই সেতুর কাজ করার জন্য কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছি। সেখানে দিয়ে দেখেছি ব্রিজের পশ্চিম পাশে শত শত মানুষ শহরে আসার জন্য সিএনজি, অটোরিক্সা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সেতু ভেঙে যাওয়ার কারণে আসতে পারছে না। তাদের যোগাযোগের জন্য দ্রুত বিকল্প হিসেবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে এমনটি কর্তৃপক্ষ আমাকে জানিয়েছে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীন মিয়া জানান, খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে সমন্বয় করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছি। যেহেতু ঘটনাস্থলের আশেপাশে অন্য কোন ব্রিজ অথবা বিকল্প পারাপারের ব্যবস্থা নেই। তাই বিষয়টি আমরা সকলের সমন্বয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি।