alt

শেরপুরে হাতে তৈরি হস্তশিল্পে বদলে যাচ্ছে নারীদের জীবন

প্রতিনিধি, শেরপুর (বগুড়া) : শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার শতশত নারী আজ সাবলম্বী হয়েছেন ছন ও তালপাতা দিয়ে তৈরি বিভিন্ন নান্দনিক পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে। উপজেলার প্রায় ৩৫টি গ্রামের ৮ থেকে ১০ হাজার নারী এখন নিয়মিতভাবে ছন ও তালপাতা দিয়ে ঝুড়ি, বাটি, ডালা, কড়াই, ট্রেসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ও শৌখিন নানা ধরনের পণ্য তৈরি করছেন। পারিবারিক কাজের পাশাপাশি এই কাজ করে তারা শুধু অভাব দূরই করছেন না, বরং হয়ে উঠছেন আত্মনির্ভরশীল নারী।

নারীদের নিপুণ হাতে তৈরি এসব ছন ও তালপাতার পণ্য ইতোমধ্যেই দেশের সীমানা ছাড়িয়ে ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিভিন্ন উন্নত দেশে রপ্তানি হচ্ছে। বিদেশে এসব পণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে, যার ফলে দেশে আসছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। এতে নারীরা যেমন আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন, তেমনি দেশের অর্থনীতিতেও যোগ হচ্ছে নতুন গতি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৬ সালে উপজেলার হাপুনিয়া, বনমরিচা, মহিপুরসহ কয়েকটি গ্রামে প্রথম এই ডালা তৈরির কাজ শুরু হয় ‘ঢাকা হ্যান্ডিক্রাফ্টস’-এর সহায়তায়। ধীরে ধীরে এর প্রসারতা বাড়তে বাড়তে এখন উপজেলার গাড়ীদহ, শাহবন্দেগী, কুসুম্বি, খানপুর, বিশালপুরসহ ১০টি ইউনিয়নের প্রায় ৩৫টি গ্রামে বিস্তৃত হয়েছে এই হস্তশিল্প। বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, নারীরা কেউ সারিবদ্ধভাবে বসে, আবার কেউ দলবদ্ধভাবে এই পণ্য তৈরি করছেন। এসব পণ্য বিদেশে রপ্তানির জন্য স্থানীয় কিছু এজেন্ট সমিতির মাধ্যমে বা ব্যক্তিগতভাবে এসব পণ্য সংগ্রহ করেন। খানপুর গ্রামের কোহিনুর খাতুন, সালমা খাতুন, হাপুনিয়া গ্রামের জান্নাতি খাতুন, কুলসুম ও কেল্লা গ্রামের তারা ভানু ও রেবা খাতুন জানান, পারিবারিক কাজের ফাঁকে সপ্তাহে ৮ থেকে ১০টি ডালা তৈরি করেন তারা। এতে সপ্তাহে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা আয় হয়। যারা নিয়মিত কাজ করেন, তাদের আয় আরও বেশি। হাপুনিয়া গ্রামের ডালা ব্যবসায়ী ইনছান আলম বলেন, দিন দিন ডালার চাহিদা বাড়ছে। এলাকায় এখন ডালা ব্যবসায়ীর সংখ্যাও বাড়ছে। আশা করা যায়, আগামী দুই-এক বছরের মধ্যে শেরপুর উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামেই এই ডালা তৈরির কাজ শুরু হবে। এই শিল্পই নারীদের আরও সাবলম্বী করে তুলবে।

ছবি

বান্দরবানে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সকাল-সন্ধ্যা হরতাল স্থগিত

ছবি

ডিসেম্বরের মধ্যে তিন টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে ছেড়ে দেয়া হবে: নৌ-সচিব

ছবি

কটিয়াদী উপজেলাবাসীর শান্তির ফেরিওয়ালা প্রশাসনের মানবিক নেতৃত্ব

ছবি

যশোর-মাগুরা সড়কের খাজুরায় কাভার্ডভ্যান চাপায় কৃষক নিহত

ছবি

চুয়াডাঙ্গায় রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণকাজে ভোগান্তি, মানববন্ধন বিক্ষোভ

ছবি

২৪ দিন ওসি শূণ্য যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানায়, তদন্ত ওসি নেই ৭ বছর

ছবি

ঝিনাইদহে রেললাইন, মেডিকেল কলেজ ও নদী সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন

ছবি

জেটিঘাটে ইজারাদার চক্রের বাধা ভোগান্তিতে পর্যটক ও পূজারীরা

ছবি

পানি নিষ্কাশন পথে প্রতিবন্ধকতা উঠতি আমন ফসল ক্ষতির মুখে

ছবি

দুমকিতে মা-ইলিশ শিকারের দায়ে দুই জেলেকে সশ্রম কারাদন্ড

ছবি

বাগেরহাট ইয়াবা, গাজা উদ্ধার গ্রেপ্তার ২

ছবি

গোবিন্দগঞ্জের মহিমাগঞ্জে ড্রাম ট্রাকের অবাধ চলাচলে পাকা রাস্তা ধ্বংসের অভিযোগ

ছবি

ভ্রমণপিপাসুদের পছন্দের প্রথম সারিতে লৌহজং উপজেলা

ছবি

ডাকাতির চেষ্টাকালে গণপিটুনিতে নিহত ১

ছবি

দুমকিতে পড়াশুনার পাশাপাশি সমন্বিত সবজি চাষে মাইনুলের সাফল্য

ছবি

গঙ্গাচড়ায় বিয়ে না করে সংসার করার অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

ছবি

বেগমগঞ্জে ট্রাক চাপায় বাসের সুপারভাইজার নিহত, গ্রেপ্তার ১

ছবি

অনলাইন জুয়ার ছোবলে সর্বশান্ত হচ্ছে বিভিন্ন পেশার মানুষ

ছবি

বেতাগীতে ভোরের ঘনকুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা

ছবি

বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

ছবি

আনোয়ারায় সাজ্জাদকে হত্যা, গ্রেপ্তার ২

ছবি

দশমিনায় গ্রামীন সড়কের বেহাল দশা, দুর্ভোগ

ছবি

নরসিংদী শহরের প্রাণ কেন্দ্রে ময়লার ভাগাড়, দুর্বিষহ জনজীবন

ছবি

বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস উদযাপন পরিবেশ হত্যাকারীর বিচার নিশ্চিতের দাবি

ছবি

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণের ৪৮ কোটি টাকা পাননি কৃষকেরা

ছবি

বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বিজিবি সদস্য গুরুতর আহত

ছবি

তারাগঞ্জ সাব জোনাল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে নানা অনিয়ম

ছবি

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ১৫ বার্মিজ গরু জব্দ

বেগমগঞ্জে গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলা, আহত ৮

ছবি

রায়গঞ্জে নারী গ্রাম পুলিশের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

পাঁচবিবিতে আইন শৃংখলা উন্নয়নে মতবিনিময় সভা

ছবি

জয়পুরহাটে ভিডব্লিউবি সুবিধাভোগীর তালিকায় স্বাবলম্বীরা

ছবি

বিরামপুরে খেতে বিষ স্প্রের অভিযোগ, ৪ বিঘা জমির ধান নষ্ট

ছবি

ঝড়ে লন্ডভন্ড ঘরবাড়ি ৭ দিন ধরে খোলা আকাশের নিচে প্রতিবন্ধী লালমিয়া

ছবি

ময়মনসিংহে বাস চলাচল বন্ধ, চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা

নরসিংদীতে সিসা তৈরির কারখানায় আগুন, ৭ শ্রমিক দগ্ধ

tab

শেরপুরে হাতে তৈরি হস্তশিল্পে বদলে যাচ্ছে নারীদের জীবন

প্রতিনিধি, শেরপুর (বগুড়া)

শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার শতশত নারী আজ সাবলম্বী হয়েছেন ছন ও তালপাতা দিয়ে তৈরি বিভিন্ন নান্দনিক পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে। উপজেলার প্রায় ৩৫টি গ্রামের ৮ থেকে ১০ হাজার নারী এখন নিয়মিতভাবে ছন ও তালপাতা দিয়ে ঝুড়ি, বাটি, ডালা, কড়াই, ট্রেসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ও শৌখিন নানা ধরনের পণ্য তৈরি করছেন। পারিবারিক কাজের পাশাপাশি এই কাজ করে তারা শুধু অভাব দূরই করছেন না, বরং হয়ে উঠছেন আত্মনির্ভরশীল নারী।

নারীদের নিপুণ হাতে তৈরি এসব ছন ও তালপাতার পণ্য ইতোমধ্যেই দেশের সীমানা ছাড়িয়ে ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিভিন্ন উন্নত দেশে রপ্তানি হচ্ছে। বিদেশে এসব পণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে, যার ফলে দেশে আসছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। এতে নারীরা যেমন আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন, তেমনি দেশের অর্থনীতিতেও যোগ হচ্ছে নতুন গতি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৬ সালে উপজেলার হাপুনিয়া, বনমরিচা, মহিপুরসহ কয়েকটি গ্রামে প্রথম এই ডালা তৈরির কাজ শুরু হয় ‘ঢাকা হ্যান্ডিক্রাফ্টস’-এর সহায়তায়। ধীরে ধীরে এর প্রসারতা বাড়তে বাড়তে এখন উপজেলার গাড়ীদহ, শাহবন্দেগী, কুসুম্বি, খানপুর, বিশালপুরসহ ১০টি ইউনিয়নের প্রায় ৩৫টি গ্রামে বিস্তৃত হয়েছে এই হস্তশিল্প। বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, নারীরা কেউ সারিবদ্ধভাবে বসে, আবার কেউ দলবদ্ধভাবে এই পণ্য তৈরি করছেন। এসব পণ্য বিদেশে রপ্তানির জন্য স্থানীয় কিছু এজেন্ট সমিতির মাধ্যমে বা ব্যক্তিগতভাবে এসব পণ্য সংগ্রহ করেন। খানপুর গ্রামের কোহিনুর খাতুন, সালমা খাতুন, হাপুনিয়া গ্রামের জান্নাতি খাতুন, কুলসুম ও কেল্লা গ্রামের তারা ভানু ও রেবা খাতুন জানান, পারিবারিক কাজের ফাঁকে সপ্তাহে ৮ থেকে ১০টি ডালা তৈরি করেন তারা। এতে সপ্তাহে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা আয় হয়। যারা নিয়মিত কাজ করেন, তাদের আয় আরও বেশি। হাপুনিয়া গ্রামের ডালা ব্যবসায়ী ইনছান আলম বলেন, দিন দিন ডালার চাহিদা বাড়ছে। এলাকায় এখন ডালা ব্যবসায়ীর সংখ্যাও বাড়ছে। আশা করা যায়, আগামী দুই-এক বছরের মধ্যে শেরপুর উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামেই এই ডালা তৈরির কাজ শুরু হবে। এই শিল্পই নারীদের আরও সাবলম্বী করে তুলবে।

back to top