alt

বারবাকিয়া সংরক্ষিত বনে বালু লুটের মহোৎসব

প্রতিনিধি, চকরিয়া (কক্সবাজার) : শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

চকরিয়া (কক্সবাজার) : বারবাকিয়া সংরক্ষিত বনাঞ্চলেরছড়াখাল থেকে বালু লুটের পর ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে -সংবাদ

চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টইটং, শিলখালী ও বারবাকিয়া সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাহাড়ি জনপদের প্রবাহিত ছড়াখাল থেকে বালু লুটের মহোৎসব চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় কতিপয় দখলবাজ বালুখেকো চক্রের সদস্যরা বনাঞ্চল ও পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের সকল নিয়ম-নীতিকে তোয়াক্কা না করে সংরক্ষিত বনভূমির এক কিলোমিটারের ভেতর থেকে স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন।

সরকারি নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে জেলা প্রশাসন থেকে ইজারা নিয়ে বালু মহাল চালু হয়েছে। কিন্তু ইজারা এলাকার সীমানা অমান্য করে বনবিভাগের অভ্যন্তরে বসানো হচ্ছে শ্যালো মেশিন ও মোটরপাম্প। রাতের অন্ধকারে চলে বালু উত্তোলনের কারবার। আর দিনের আলোয় পাহাড়ের অংশবিশেষ ধসে পড়ে নামছে ছড়ায়।

সরজমিনে দেখা গেছে, বনবিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জের অধীন টইটং ইউনিয়নের বটতলী ও সোনাইছড়ি ঢালারমুখ জুমপাড়া এলাকায় অসংখ্য সেলো মেশিন বসানো হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা শফিউল আলম সওদাগর, যুবলীগ নেতা নবু মেম্বার, জমিরসহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা বালু উত্তোলনে জড়িত বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, তারা কখনো আওয়ামী লীগ পরিচয়ে, কখনো বিএনপি-জামায়াত পরিচয়ে বালু উত্তোলন কারবারে প্রশাসনের অনুকম্পা নেন।

এছাড়া হাবিবপাড়া ও মালঘারা এলাকায় অন্তত ১৪টি সেলো মেশিন দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ হোছনের ছেলে রেজাউল করিম, মৃত দানু মিয়ার ছেলে আবদুল মজিদ, হাজী আবদুর রহমানের ছেলে আজিজুল হক ও হামিদুল হকসহ অনেকে প্রকাশ্যে বালু উত্তোলনে যুক্ত।

স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধি বলেন, আমরা বাঁধা দিলে তারা বলে ইউএনও থেকে লাইসেন্স নিয়েছে বলে হুংকার দেন। কিন্তু বাস্তবে কিছুই নেই।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১লা বৈশাখ থেকে এক বছরের জন্য ৩৫ লাখ ৭০ হাজার টাকায় টইটংয়ের সোনাইছড়ি বালু মহালের ইজারা নিয়েছেন পেকুয়ার আনোয়ারুল কাদের লিটন। তার দাবি, উপজেলা প্রশাসনের উপস্থিতিতেই ৭ একর জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু বনবিভাগ বলছে, তাদের আপত্তি সত্ত্বেও জেলা প্রশাসন ইজারা দিয়েছে সংরক্ষিত জায়গার কাছাকাছি। এখন ইজারার আড়ালে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা বনভূমির ভেতরে প্রবেশ করে বালু তুলছেন।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের পেকুয়ার বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান বলেন, ইজারার সীমার বাইরে গিয়ে বালু উত্তোলন স্পষ্টতই অবৈধ। এব্যাপারে স্থানীয় বনবিট কর্মকর্তাকে বালু উত্তোলনে জড়িতদের শনাক্ত করতে বলা হয়েছে। শিগগিরই সেখানে অভিযান চালানো হবে। জনবল সংকটের কারণে তাদের ঠেকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ব্যাপকহারে বালু উত্তোলনে ছড়ার বেড়িবাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। বহু মানুষের বসতঘর ভেঙে তলিয়ে গেছে। চলাচলের রাস্তা ভারি ট্রাকের চাপ সামলাতে না পেরে ধসে পড়ছে। ফলে সাধারণ মানুষকে এখন হাঁটাপথেই চলাচল করতে হচ্ছে।

স্থানীয়দের ক্ষোভ, বালু ব্যবসায়ীরা শুধু পাহাড়ি ছড়াই নয়, তাদের জীবনও গিলে খাচ্ছে। প্রশাসন সব জেনেও চুপ।

জানা গেছে, ইতোমধ্যে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মঈনুল হোসেন চৌধুরী ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে উত্তোলিত বালু সরানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু দুই মাস পেরোলেও সেই নির্দেশ মানা হয়নি। বরং রাতের পর রাত অব্যাহত থেকেছে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে লুটেরা চক্র।

স্থানীয় পরিবেশ সচেতন মহল বলছেন, পেকুয়ার সংরক্ষিত বনের ভেতর পাহাড়ি ছড়াগুলোতে এভাবে বালু উত্তোলন চলতে থাকলে জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। পাহাড় ধসে পড়া ও নদী-ছড়া ভাঙন নতুন করে দুর্যোগ ডেকে আনবে।

অভিযোগ উঠেছে, বালু উত্তোলন কাগজে-কলমে বৈধ ইজারা থাকলেও বাস্তবে তা পরিণত হয়েছে প্রভাবশালীদের অবৈধ ব্যবসায়। পাহাড় কেটে ছরায় ফেলা হচ্ছে বালু, তাতে ভাঙছে বেড়িবাঁধ, হারাচ্ছে ঘরবাড়ি। স্থানীয়দের অভিযোগ, বনবিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তারা অনেকে এ কাজে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।

ছবি

বান্দরবানে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সকাল-সন্ধ্যা হরতাল স্থগিত

ছবি

ডিসেম্বরের মধ্যে তিন টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে ছেড়ে দেয়া হবে: নৌ-সচিব

ছবি

কটিয়াদী উপজেলাবাসীর শান্তির ফেরিওয়ালা প্রশাসনের মানবিক নেতৃত্ব

ছবি

যশোর-মাগুরা সড়কের খাজুরায় কাভার্ডভ্যান চাপায় কৃষক নিহত

ছবি

চুয়াডাঙ্গায় রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণকাজে ভোগান্তি, মানববন্ধন বিক্ষোভ

ছবি

২৪ দিন ওসি শূণ্য যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানায়, তদন্ত ওসি নেই ৭ বছর

ছবি

ঝিনাইদহে রেললাইন, মেডিকেল কলেজ ও নদী সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন

ছবি

জেটিঘাটে ইজারাদার চক্রের বাধা ভোগান্তিতে পর্যটক ও পূজারীরা

ছবি

পানি নিষ্কাশন পথে প্রতিবন্ধকতা উঠতি আমন ফসল ক্ষতির মুখে

ছবি

দুমকিতে মা-ইলিশ শিকারের দায়ে দুই জেলেকে সশ্রম কারাদন্ড

ছবি

বাগেরহাট ইয়াবা, গাজা উদ্ধার গ্রেপ্তার ২

ছবি

গোবিন্দগঞ্জের মহিমাগঞ্জে ড্রাম ট্রাকের অবাধ চলাচলে পাকা রাস্তা ধ্বংসের অভিযোগ

ছবি

ভ্রমণপিপাসুদের পছন্দের প্রথম সারিতে লৌহজং উপজেলা

ছবি

ডাকাতির চেষ্টাকালে গণপিটুনিতে নিহত ১

ছবি

দুমকিতে পড়াশুনার পাশাপাশি সমন্বিত সবজি চাষে মাইনুলের সাফল্য

ছবি

গঙ্গাচড়ায় বিয়ে না করে সংসার করার অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

ছবি

বেগমগঞ্জে ট্রাক চাপায় বাসের সুপারভাইজার নিহত, গ্রেপ্তার ১

ছবি

অনলাইন জুয়ার ছোবলে সর্বশান্ত হচ্ছে বিভিন্ন পেশার মানুষ

ছবি

বেতাগীতে ভোরের ঘনকুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা

ছবি

বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

ছবি

আনোয়ারায় সাজ্জাদকে হত্যা, গ্রেপ্তার ২

ছবি

দশমিনায় গ্রামীন সড়কের বেহাল দশা, দুর্ভোগ

ছবি

নরসিংদী শহরের প্রাণ কেন্দ্রে ময়লার ভাগাড়, দুর্বিষহ জনজীবন

ছবি

বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস উদযাপন পরিবেশ হত্যাকারীর বিচার নিশ্চিতের দাবি

ছবি

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণের ৪৮ কোটি টাকা পাননি কৃষকেরা

ছবি

বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বিজিবি সদস্য গুরুতর আহত

ছবি

তারাগঞ্জ সাব জোনাল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে নানা অনিয়ম

ছবি

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ১৫ বার্মিজ গরু জব্দ

বেগমগঞ্জে গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলা, আহত ৮

ছবি

রায়গঞ্জে নারী গ্রাম পুলিশের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

পাঁচবিবিতে আইন শৃংখলা উন্নয়নে মতবিনিময় সভা

ছবি

জয়পুরহাটে ভিডব্লিউবি সুবিধাভোগীর তালিকায় স্বাবলম্বীরা

ছবি

বিরামপুরে খেতে বিষ স্প্রের অভিযোগ, ৪ বিঘা জমির ধান নষ্ট

ছবি

ঝড়ে লন্ডভন্ড ঘরবাড়ি ৭ দিন ধরে খোলা আকাশের নিচে প্রতিবন্ধী লালমিয়া

ছবি

ময়মনসিংহে বাস চলাচল বন্ধ, চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা

নরসিংদীতে সিসা তৈরির কারখানায় আগুন, ৭ শ্রমিক দগ্ধ

tab

বারবাকিয়া সংরক্ষিত বনে বালু লুটের মহোৎসব

প্রতিনিধি, চকরিয়া (কক্সবাজার)

চকরিয়া (কক্সবাজার) : বারবাকিয়া সংরক্ষিত বনাঞ্চলেরছড়াখাল থেকে বালু লুটের পর ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে -সংবাদ

শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টইটং, শিলখালী ও বারবাকিয়া সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাহাড়ি জনপদের প্রবাহিত ছড়াখাল থেকে বালু লুটের মহোৎসব চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় কতিপয় দখলবাজ বালুখেকো চক্রের সদস্যরা বনাঞ্চল ও পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের সকল নিয়ম-নীতিকে তোয়াক্কা না করে সংরক্ষিত বনভূমির এক কিলোমিটারের ভেতর থেকে স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন।

সরকারি নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে জেলা প্রশাসন থেকে ইজারা নিয়ে বালু মহাল চালু হয়েছে। কিন্তু ইজারা এলাকার সীমানা অমান্য করে বনবিভাগের অভ্যন্তরে বসানো হচ্ছে শ্যালো মেশিন ও মোটরপাম্প। রাতের অন্ধকারে চলে বালু উত্তোলনের কারবার। আর দিনের আলোয় পাহাড়ের অংশবিশেষ ধসে পড়ে নামছে ছড়ায়।

সরজমিনে দেখা গেছে, বনবিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জের অধীন টইটং ইউনিয়নের বটতলী ও সোনাইছড়ি ঢালারমুখ জুমপাড়া এলাকায় অসংখ্য সেলো মেশিন বসানো হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা শফিউল আলম সওদাগর, যুবলীগ নেতা নবু মেম্বার, জমিরসহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা বালু উত্তোলনে জড়িত বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, তারা কখনো আওয়ামী লীগ পরিচয়ে, কখনো বিএনপি-জামায়াত পরিচয়ে বালু উত্তোলন কারবারে প্রশাসনের অনুকম্পা নেন।

এছাড়া হাবিবপাড়া ও মালঘারা এলাকায় অন্তত ১৪টি সেলো মেশিন দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ হোছনের ছেলে রেজাউল করিম, মৃত দানু মিয়ার ছেলে আবদুল মজিদ, হাজী আবদুর রহমানের ছেলে আজিজুল হক ও হামিদুল হকসহ অনেকে প্রকাশ্যে বালু উত্তোলনে যুক্ত।

স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধি বলেন, আমরা বাঁধা দিলে তারা বলে ইউএনও থেকে লাইসেন্স নিয়েছে বলে হুংকার দেন। কিন্তু বাস্তবে কিছুই নেই।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১লা বৈশাখ থেকে এক বছরের জন্য ৩৫ লাখ ৭০ হাজার টাকায় টইটংয়ের সোনাইছড়ি বালু মহালের ইজারা নিয়েছেন পেকুয়ার আনোয়ারুল কাদের লিটন। তার দাবি, উপজেলা প্রশাসনের উপস্থিতিতেই ৭ একর জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু বনবিভাগ বলছে, তাদের আপত্তি সত্ত্বেও জেলা প্রশাসন ইজারা দিয়েছে সংরক্ষিত জায়গার কাছাকাছি। এখন ইজারার আড়ালে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা বনভূমির ভেতরে প্রবেশ করে বালু তুলছেন।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের পেকুয়ার বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান বলেন, ইজারার সীমার বাইরে গিয়ে বালু উত্তোলন স্পষ্টতই অবৈধ। এব্যাপারে স্থানীয় বনবিট কর্মকর্তাকে বালু উত্তোলনে জড়িতদের শনাক্ত করতে বলা হয়েছে। শিগগিরই সেখানে অভিযান চালানো হবে। জনবল সংকটের কারণে তাদের ঠেকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ব্যাপকহারে বালু উত্তোলনে ছড়ার বেড়িবাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। বহু মানুষের বসতঘর ভেঙে তলিয়ে গেছে। চলাচলের রাস্তা ভারি ট্রাকের চাপ সামলাতে না পেরে ধসে পড়ছে। ফলে সাধারণ মানুষকে এখন হাঁটাপথেই চলাচল করতে হচ্ছে।

স্থানীয়দের ক্ষোভ, বালু ব্যবসায়ীরা শুধু পাহাড়ি ছড়াই নয়, তাদের জীবনও গিলে খাচ্ছে। প্রশাসন সব জেনেও চুপ।

জানা গেছে, ইতোমধ্যে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মঈনুল হোসেন চৌধুরী ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে উত্তোলিত বালু সরানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু দুই মাস পেরোলেও সেই নির্দেশ মানা হয়নি। বরং রাতের পর রাত অব্যাহত থেকেছে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে লুটেরা চক্র।

স্থানীয় পরিবেশ সচেতন মহল বলছেন, পেকুয়ার সংরক্ষিত বনের ভেতর পাহাড়ি ছড়াগুলোতে এভাবে বালু উত্তোলন চলতে থাকলে জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। পাহাড় ধসে পড়া ও নদী-ছড়া ভাঙন নতুন করে দুর্যোগ ডেকে আনবে।

অভিযোগ উঠেছে, বালু উত্তোলন কাগজে-কলমে বৈধ ইজারা থাকলেও বাস্তবে তা পরিণত হয়েছে প্রভাবশালীদের অবৈধ ব্যবসায়। পাহাড় কেটে ছরায় ফেলা হচ্ছে বালু, তাতে ভাঙছে বেড়িবাঁধ, হারাচ্ছে ঘরবাড়ি। স্থানীয়দের অভিযোগ, বনবিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তারা অনেকে এ কাজে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।

back to top