ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসভায় বেড়েছে বেওয়ারিশ কুকুর। আতঙ্কে রয়েছে সাধারণ মানুষ। বেওয়ারিশ কুকুরগুলো সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দল বেঁধে পৌরশহরের বিভিন্ন গলিতে ঘোরাফেরা করলেও পৌর কর্তৃপক্ষের নজরে পড়ছে না।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, রাস্তার ব্যস্ততম মোড় নাজিরপুর চৌরাস্তা মধ্যবাজার, কালিবাড়ী মোড়, মধ্যবাজারের তেরীবাজার নদীর ঘাট, আলিয়া মাদ্রাসা, সুসং ডিগ্রি কলেজ মোড়, ধানমহলসহ অলিগলিতে ২৫-৩০টি কুকুর একসঙ্গে হয়ে রাস্তার মধ্যে শুয়ে থাকে। ছোট ছোট বাচ্চা ও পথযাত্রীদের একা পেয়ে ঘেউ ঘেউ করে দল বেঁধে আক্রমণ চালায়। তাছাড়া বিরিশিরি বাসস্ট্যান্ড, উৎরাইল বাজার, কাচারি মোড়, প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ, উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসব বেওয়ারিশ কুকুরের অবাধ বিরচণ রয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে অনেক সময় বিদ্যুৎ না থাকার কারণে কুকুর আতঙ্কে ভুগছে পৌরবাসী। স্বপন হাজং, দুনিয়া মামুন, মোশাররফ হোসেন, সিয়াম, সুবল দে, ফাতেমা খাতুন, ৩নং ওয়ার্ড বাসিন্দা জুলহাস উদ্দিন তালুকদারসহ অসংখ্য পৌরবাসী জানান, কুকুরের উৎপাতে সন্তানরা বিদ্যালয়ে যেতে ভয় পাচ্ছে। বাধ্য হয়ে অভিভাবকগণ তাদের সন্তানদের রিকশাযোগে বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছেন। অনেক সময় গভীর রাতে এদের ঘেউ ঘেউ শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। শনিবার, (১১ অক্টোবর ২০২৫) সকালে এই প্রতিবেদক কালীবাড়ি মধ্যবাজার চোরাস্তা মোড়ে সুমন মিষ্টান্নভা-ার থেকে রুটি কিনে যাওয়ার সময় পিছনদিক থেকে ২টি কুকুর এসে থাবা দিয়ে রুটির ব্যাগ নিয়ে যায়। পথচারী মামুন, রফিকুল ও মাদ্রাসার ৪/৫ জন শিক্ষার্থী জানান তারাও রুটি কিনে নিয়ে যাওয়ার পথে এইভাবে কুকুরের আক্রমনের শিকার হয়েছে।
স্থানীয় অভিভাবগণও তাদের বাচ্চাদেরকে একা একা বিদ্যালয়ে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। বাচ্চাদের হাতে ব্যাগ দেখলে কুকুর মনে করে এর ভেতরে খাবার আছে। স্থানীয় স্বচেতন অভিভাবক মোশারফ হোসেন ও ফারুক মিয়া সহ অনেকেই জানান, পৌর শহরে বেওয়ারিশ কুকুরের ওৎপাৎ অনেক বেড়ে গেছে। হোটেলের সামনে, হাসপাতাল মোড়ে এরা দল বেঁধে শুয়ে থাকে। তাই পৌরবাসীর চলাফেরায় সর্বদায় আতঙ্কে থাকতে হয়। এ ব্যপারে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের জনৈক কর্মকর্তা অভিজিৎ দত্ত সংবাদকে বলেন, কুকুর নিধণ প্রক্রিয়া সরকারিভাবে বন্ধ থাকায় কিছু করা যাচ্ছে না। তবে মানুষসহ বহু ছাগল ও গাভীকে কামড়ানো অবস্থায় হাসপাতালে প্রতিনিয়ত নিয়ে আসছে।
এ ব্যপারে সচেতনভাবে চলাফেরা করার জন্য পৌরবাসীকে অনুরোধ করছি।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসভায় বেড়েছে বেওয়ারিশ কুকুর। আতঙ্কে রয়েছে সাধারণ মানুষ। বেওয়ারিশ কুকুরগুলো সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দল বেঁধে পৌরশহরের বিভিন্ন গলিতে ঘোরাফেরা করলেও পৌর কর্তৃপক্ষের নজরে পড়ছে না।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, রাস্তার ব্যস্ততম মোড় নাজিরপুর চৌরাস্তা মধ্যবাজার, কালিবাড়ী মোড়, মধ্যবাজারের তেরীবাজার নদীর ঘাট, আলিয়া মাদ্রাসা, সুসং ডিগ্রি কলেজ মোড়, ধানমহলসহ অলিগলিতে ২৫-৩০টি কুকুর একসঙ্গে হয়ে রাস্তার মধ্যে শুয়ে থাকে। ছোট ছোট বাচ্চা ও পথযাত্রীদের একা পেয়ে ঘেউ ঘেউ করে দল বেঁধে আক্রমণ চালায়। তাছাড়া বিরিশিরি বাসস্ট্যান্ড, উৎরাইল বাজার, কাচারি মোড়, প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ, উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসব বেওয়ারিশ কুকুরের অবাধ বিরচণ রয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে অনেক সময় বিদ্যুৎ না থাকার কারণে কুকুর আতঙ্কে ভুগছে পৌরবাসী। স্বপন হাজং, দুনিয়া মামুন, মোশাররফ হোসেন, সিয়াম, সুবল দে, ফাতেমা খাতুন, ৩নং ওয়ার্ড বাসিন্দা জুলহাস উদ্দিন তালুকদারসহ অসংখ্য পৌরবাসী জানান, কুকুরের উৎপাতে সন্তানরা বিদ্যালয়ে যেতে ভয় পাচ্ছে। বাধ্য হয়ে অভিভাবকগণ তাদের সন্তানদের রিকশাযোগে বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছেন। অনেক সময় গভীর রাতে এদের ঘেউ ঘেউ শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। শনিবার, (১১ অক্টোবর ২০২৫) সকালে এই প্রতিবেদক কালীবাড়ি মধ্যবাজার চোরাস্তা মোড়ে সুমন মিষ্টান্নভা-ার থেকে রুটি কিনে যাওয়ার সময় পিছনদিক থেকে ২টি কুকুর এসে থাবা দিয়ে রুটির ব্যাগ নিয়ে যায়। পথচারী মামুন, রফিকুল ও মাদ্রাসার ৪/৫ জন শিক্ষার্থী জানান তারাও রুটি কিনে নিয়ে যাওয়ার পথে এইভাবে কুকুরের আক্রমনের শিকার হয়েছে।
স্থানীয় অভিভাবগণও তাদের বাচ্চাদেরকে একা একা বিদ্যালয়ে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। বাচ্চাদের হাতে ব্যাগ দেখলে কুকুর মনে করে এর ভেতরে খাবার আছে। স্থানীয় স্বচেতন অভিভাবক মোশারফ হোসেন ও ফারুক মিয়া সহ অনেকেই জানান, পৌর শহরে বেওয়ারিশ কুকুরের ওৎপাৎ অনেক বেড়ে গেছে। হোটেলের সামনে, হাসপাতাল মোড়ে এরা দল বেঁধে শুয়ে থাকে। তাই পৌরবাসীর চলাফেরায় সর্বদায় আতঙ্কে থাকতে হয়। এ ব্যপারে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের জনৈক কর্মকর্তা অভিজিৎ দত্ত সংবাদকে বলেন, কুকুর নিধণ প্রক্রিয়া সরকারিভাবে বন্ধ থাকায় কিছু করা যাচ্ছে না। তবে মানুষসহ বহু ছাগল ও গাভীকে কামড়ানো অবস্থায় হাসপাতালে প্রতিনিয়ত নিয়ে আসছে।
এ ব্যপারে সচেতনভাবে চলাফেরা করার জন্য পৌরবাসীকে অনুরোধ করছি।