ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীকে শরৎ উৎসব আয়োজনের জন্য দেয়া অনুমতি ‘স্থগিত’ করার দুদিন পর তা ‘বাতিল’ করার কথা জানানো হলো। শনিবার,(১১ অক্টোবর ২০২৫) চারুকলা অনুষদ অফিসে ডিনের সভাপতিত্বে অন্য অংশীজনের সঙ্গে আলোচনায় সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীকে অনুমতি না দেয়ার সিদ্ধান্ত হয় বলে ডিন আজহারুল ইসলাম জানান। এর আগে গতকাল শুক্রবার ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ দাবি করে ‘অনেকের কাছ থেকে আপত্তি আসার’ অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বকুলতলায় ‘শরৎ উৎসব’ আয়োজনের অনুমতি বাতিল করে দিয়েছে চারুকলা অনুষদ। যদিও তখন অনুষদ ডিনের দাবি, ‘উৎসবটি বাতিল নয়, স্থগিত করা হয়েছে।’
সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী অনেক তথ্য গোপন রেখে শরৎ উৎসব আয়োজনের অনুমতির আবেদন করে দাবি করে চারুকলার ডিন আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে তাদের বিতর্কিত কর্মকা- পর্যালোচনা সাপেক্ষে শরৎ উৎসব ১৪৩২-এর অনুমতি বাতিল করা হয়।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন নিজেরাই ‘শরৎ উৎসব’ আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানান চারুকলার ডিন।
তিনি বলেন, ‘সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ১৬ অক্টোবর বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে চারুকলা অনুষদের তত্ত্বাবধানে অনুষদের বকুলতলায় শরৎ উৎসব ১৪৩২ অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ, নৃত্যকলা বিভাগ ও ডাকসুর সহযোগিতায় এই আয়োজন হবে।’
সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর অনুষ্ঠানের আয়োজককে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ‘কালচারাল ফ্যাসিস্ট’ দাবি করে চারুকলার ডিন বলেন, ‘আয়োজক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদের দোসর চিহ্নিত করা পোস্টার চারুকলা অনুষদের গেটে প্রতিস্থাপন করা হয় এবং তাদের অনেক নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের ছবিসহ তথ্য চারুকলা কর্তৃপক্ষের নিকট আসে।’ তাছাড়া গত বৃহস্পতিবার ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী লেখক, সাংবাদিক ও শিল্পীসমাজ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে বলেও জানান আজহারুল ইসলাম।
তিনি জানান, ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টির ফলে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে অনুষ্ঠানটি তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত করা হয়। এবার তা বাতিলের সিদ্ধান্ত হলো।
শনিবার চারুকলা অনুষদের ওই সভায় সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইটও উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হতাশা প্রকাশ করে মানজার চৌধুরী বলেন, ‘চারুকলা অনুষদ আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যে আমরা তথ্য গোপন করেছি।
আবেদনপত্রে যা যা দিতে হয়, তা-ই আমরা দিয়েছি। সেভাবেই আমাদেরকে ভেন্যু বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। ‘এবার বরাদ্দ বাতিল করা কেন, তা বোধগম্য নয়। এখন আর আমাদের কি-বা বলার আছে, হতাশ হওয়া ছাড়া’।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীকে শরৎ উৎসব আয়োজনের জন্য দেয়া অনুমতি ‘স্থগিত’ করার দুদিন পর তা ‘বাতিল’ করার কথা জানানো হলো। শনিবার,(১১ অক্টোবর ২০২৫) চারুকলা অনুষদ অফিসে ডিনের সভাপতিত্বে অন্য অংশীজনের সঙ্গে আলোচনায় সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীকে অনুমতি না দেয়ার সিদ্ধান্ত হয় বলে ডিন আজহারুল ইসলাম জানান। এর আগে গতকাল শুক্রবার ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ দাবি করে ‘অনেকের কাছ থেকে আপত্তি আসার’ অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বকুলতলায় ‘শরৎ উৎসব’ আয়োজনের অনুমতি বাতিল করে দিয়েছে চারুকলা অনুষদ। যদিও তখন অনুষদ ডিনের দাবি, ‘উৎসবটি বাতিল নয়, স্থগিত করা হয়েছে।’
সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী অনেক তথ্য গোপন রেখে শরৎ উৎসব আয়োজনের অনুমতির আবেদন করে দাবি করে চারুকলার ডিন আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে তাদের বিতর্কিত কর্মকা- পর্যালোচনা সাপেক্ষে শরৎ উৎসব ১৪৩২-এর অনুমতি বাতিল করা হয়।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন নিজেরাই ‘শরৎ উৎসব’ আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানান চারুকলার ডিন।
তিনি বলেন, ‘সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ১৬ অক্টোবর বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে চারুকলা অনুষদের তত্ত্বাবধানে অনুষদের বকুলতলায় শরৎ উৎসব ১৪৩২ অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ, নৃত্যকলা বিভাগ ও ডাকসুর সহযোগিতায় এই আয়োজন হবে।’
সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর অনুষ্ঠানের আয়োজককে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ‘কালচারাল ফ্যাসিস্ট’ দাবি করে চারুকলার ডিন বলেন, ‘আয়োজক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদের দোসর চিহ্নিত করা পোস্টার চারুকলা অনুষদের গেটে প্রতিস্থাপন করা হয় এবং তাদের অনেক নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের ছবিসহ তথ্য চারুকলা কর্তৃপক্ষের নিকট আসে।’ তাছাড়া গত বৃহস্পতিবার ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী লেখক, সাংবাদিক ও শিল্পীসমাজ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে বলেও জানান আজহারুল ইসলাম।
তিনি জানান, ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টির ফলে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে অনুষ্ঠানটি তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত করা হয়। এবার তা বাতিলের সিদ্ধান্ত হলো।
শনিবার চারুকলা অনুষদের ওই সভায় সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইটও উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হতাশা প্রকাশ করে মানজার চৌধুরী বলেন, ‘চারুকলা অনুষদ আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যে আমরা তথ্য গোপন করেছি।
আবেদনপত্রে যা যা দিতে হয়, তা-ই আমরা দিয়েছি। সেভাবেই আমাদেরকে ভেন্যু বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। ‘এবার বরাদ্দ বাতিল করা কেন, তা বোধগম্য নয়। এখন আর আমাদের কি-বা বলার আছে, হতাশ হওয়া ছাড়া’।