ডিমলায় তিস্তার ভাঙন
নীলফামারীর ডিমলার তিস্তার ভাঙন রোধের জরুরি কাজে ব্যবহারের জন্য সরবরাহকৃত পাউবোর খোয়া যাওয়া জিওব্যাগ বিক্রির উদ্দেশ্যে পাচার করে নিয়ে যাওয়ার সময় জনতার হাতে আটককে কেন্দ্র করে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি ৩ দিনের প্রবল বর্ষণে ও উজানের ভারত থেকে ধেয়ে আসা পানির তোড়ে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। উজানের ভারত থেকে ধেয়ে আসা পানির স্রোতের কারণে পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়সিহেশ্বর বাঁধসহ অনেক এলাকায় ভাঙনের সৃষ্টির হয়ে ঝুঁকিতে পড়ে গোটা নীলফামারী জেলাসহ উত্তরাঞ্চল। উপজেলা প্রশাসন ও ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন দলের নেতারা ভাঙন রোধ ও বন্যা মোকাবিলায় টানা দিনরাত নিরলস অক্লান্ত পরিশ্রম করে বন্যায় জিওব্যাগ ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ভাঙন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরানুজ্জামানের সক্রিয় প্রচেষ্টায় ও নির্দেশে ডালিয়া পাউবোর কর্মকর্তারা পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের একাধিক স্থানে ভাঙন রোধে প্রায় দুই হাজার জিওব্যাগ সরবরাহ করেন। জিওব্যাগগুলো সরবরাহ করা হয় বালু ভর্তি করে তা ভাঙন রোধের জন্য পিচিং কাজে ব্যাবহার করার জন্য। ভাঙন রোধে জরুরি কাজের সরবরাহকৃত জিওব্যাগের মধ্যে প্রায় এক হাজার বস্তা খোয়া গিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় । পাউবো কর্তৃপক্ষ খোয়া যাওয়া জিওব্যাগের মধ্যে ১১০টি জিওব্যাগ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে মর্মে সংশ্লিষ্ট কাজের দায়িত্বে নিয়োজিত এস.ও মো. হাসেম আলী জানান। বাকিগুলো উদ্ধারে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বলেও তিনি জানান।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় খোয়া যাওয়ার মধ্যে ৩১০ টি জিওব্যাগ ডিমলা সদর থেকে আাটক করে জনতা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, আটক জিওব্যাগগুলো ডালিয়া পাউবোর খোয়া যাওয়া সরকারী সম্পদ। জিওব্যাগগুলো পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও ওই ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেশ্বর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে মো. মনির হোসেন (৩৫) অসৎ উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে বিক্রির জন্য জলঢাকা উপজেলায় ভ্যানগাড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। জনতার হাতে আটক জিওব্যাগগুলো গতকাল শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাতেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরানুজ্জামানের নির্দেশে ডিমলা সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আবু তালেবের হেফাজতে রাখা হয়েছে। আটক জিওব্যাগগুলো নিজ হেফাজতে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর ইউনিয়ন পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আবু তালেব।
এ ব্যাপারে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সালামত ফকির জানান, পূর্ব ছাতনাইয়ের ঝাড়সিংহেশ্বরে সম্প্রতি বন্যায় ভাঙন রোধের জরুরি কাজ করার সময় ব্যবহৃত বেশ কিছু জিওব্যাগ খোয়া যায় সেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আটক হওয়া জিওব্যাগ সেগুলো কিনা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, আমাদের দপ্তরের সরবরাহকৃত জিওব্যাগগুলো ওজনে বেশি ও ব্যবহারে পূর্বে সেগুলোতে সবুজ কালির কলমে নাম্বার মার্কিং করা থাকে। আমাদের দপ্তর ছাড়াও বাইরে থেকে ঠিকাদাররা জিওব্যাগ কাজের জন্য কিনে নিতেও পারেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিনি বলেন, আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য জরুরি কজের ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে এসেছি ।
অভিযুক্ত মনির হোসেন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে জানান, ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের পরামর্শে সম্প্রতি তিস্তার ভাঙন রোধে জরুরি কজে ব্যবহারের জন্য আমি জলঢাকা থেকে জনৈক ঠিকাদারের নিকট থেকে জিওব্যাগগুলো কিনে নিয়েছি। কাজে না লাগায় সেগুলো গতকাল শুক্রবার ফেরত দেয়ার জন্য জলঢাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ঐ জিওব্যাগগুলোর বহনকৃত ভ্যান ডিমলা উপজেলা সদরে পৌঁছলে লোকজন সেখান থেকে অবৈধভাবে আটক করেছে ।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরানুজ্জামান জানান, তিস্তার ভাঙন রোধের কাজে ব্যবহৃত জিওব্যাগ লোকজন কর্তৃক আটকের বিষয়টি শুনেছি। আটক জিওব্যাগগুলো সদর ইউপি চেয়ানম্যানের হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে মালিকানার সঠিক কাগজপত্র যাচাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
ডিমলায় তিস্তার ভাঙন
শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
নীলফামারীর ডিমলার তিস্তার ভাঙন রোধের জরুরি কাজে ব্যবহারের জন্য সরবরাহকৃত পাউবোর খোয়া যাওয়া জিওব্যাগ বিক্রির উদ্দেশ্যে পাচার করে নিয়ে যাওয়ার সময় জনতার হাতে আটককে কেন্দ্র করে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি ৩ দিনের প্রবল বর্ষণে ও উজানের ভারত থেকে ধেয়ে আসা পানির তোড়ে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। উজানের ভারত থেকে ধেয়ে আসা পানির স্রোতের কারণে পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়সিহেশ্বর বাঁধসহ অনেক এলাকায় ভাঙনের সৃষ্টির হয়ে ঝুঁকিতে পড়ে গোটা নীলফামারী জেলাসহ উত্তরাঞ্চল। উপজেলা প্রশাসন ও ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন দলের নেতারা ভাঙন রোধ ও বন্যা মোকাবিলায় টানা দিনরাত নিরলস অক্লান্ত পরিশ্রম করে বন্যায় জিওব্যাগ ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ভাঙন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরানুজ্জামানের সক্রিয় প্রচেষ্টায় ও নির্দেশে ডালিয়া পাউবোর কর্মকর্তারা পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের একাধিক স্থানে ভাঙন রোধে প্রায় দুই হাজার জিওব্যাগ সরবরাহ করেন। জিওব্যাগগুলো সরবরাহ করা হয় বালু ভর্তি করে তা ভাঙন রোধের জন্য পিচিং কাজে ব্যাবহার করার জন্য। ভাঙন রোধে জরুরি কাজের সরবরাহকৃত জিওব্যাগের মধ্যে প্রায় এক হাজার বস্তা খোয়া গিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় । পাউবো কর্তৃপক্ষ খোয়া যাওয়া জিওব্যাগের মধ্যে ১১০টি জিওব্যাগ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে মর্মে সংশ্লিষ্ট কাজের দায়িত্বে নিয়োজিত এস.ও মো. হাসেম আলী জানান। বাকিগুলো উদ্ধারে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বলেও তিনি জানান।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় খোয়া যাওয়ার মধ্যে ৩১০ টি জিওব্যাগ ডিমলা সদর থেকে আাটক করে জনতা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, আটক জিওব্যাগগুলো ডালিয়া পাউবোর খোয়া যাওয়া সরকারী সম্পদ। জিওব্যাগগুলো পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও ওই ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেশ্বর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে মো. মনির হোসেন (৩৫) অসৎ উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে বিক্রির জন্য জলঢাকা উপজেলায় ভ্যানগাড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। জনতার হাতে আটক জিওব্যাগগুলো গতকাল শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাতেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরানুজ্জামানের নির্দেশে ডিমলা সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আবু তালেবের হেফাজতে রাখা হয়েছে। আটক জিওব্যাগগুলো নিজ হেফাজতে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর ইউনিয়ন পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আবু তালেব।
এ ব্যাপারে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সালামত ফকির জানান, পূর্ব ছাতনাইয়ের ঝাড়সিংহেশ্বরে সম্প্রতি বন্যায় ভাঙন রোধের জরুরি কাজ করার সময় ব্যবহৃত বেশ কিছু জিওব্যাগ খোয়া যায় সেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আটক হওয়া জিওব্যাগ সেগুলো কিনা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, আমাদের দপ্তরের সরবরাহকৃত জিওব্যাগগুলো ওজনে বেশি ও ব্যবহারে পূর্বে সেগুলোতে সবুজ কালির কলমে নাম্বার মার্কিং করা থাকে। আমাদের দপ্তর ছাড়াও বাইরে থেকে ঠিকাদাররা জিওব্যাগ কাজের জন্য কিনে নিতেও পারেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিনি বলেন, আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য জরুরি কজের ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে এসেছি ।
অভিযুক্ত মনির হোসেন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে জানান, ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের পরামর্শে সম্প্রতি তিস্তার ভাঙন রোধে জরুরি কজে ব্যবহারের জন্য আমি জলঢাকা থেকে জনৈক ঠিকাদারের নিকট থেকে জিওব্যাগগুলো কিনে নিয়েছি। কাজে না লাগায় সেগুলো গতকাল শুক্রবার ফেরত দেয়ার জন্য জলঢাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ঐ জিওব্যাগগুলোর বহনকৃত ভ্যান ডিমলা উপজেলা সদরে পৌঁছলে লোকজন সেখান থেকে অবৈধভাবে আটক করেছে ।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরানুজ্জামান জানান, তিস্তার ভাঙন রোধের কাজে ব্যবহৃত জিওব্যাগ লোকজন কর্তৃক আটকের বিষয়টি শুনেছি। আটক জিওব্যাগগুলো সদর ইউপি চেয়ানম্যানের হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে মালিকানার সঠিক কাগজপত্র যাচাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।