ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তারাগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে বিরুদ্ধে চরম অনিয়ম দূণীতির অভিযোগ উঠেছে। অবৈধ ভাবে মিটার সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও মিটার বিল দেওযা- নেওয়া, বিল কপি সংশোধনের নামে গ্রাহক হয়রানিসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম গুলোতে একাধিক খবর প্রকাশিত হয়েছে। অভিযোগ কারীরা ওই কর্মকার্তার চরম অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লেখিত অভিযোগ করার পরেও প্রতিকার পাচ্ছে না। ফলে তারা প্রশাসনের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছে। সরেজমিন গিয়ে খোঁজনিয়ে জানা গেছে, তারাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন কল কারখানায় গিয়ে অতিরিক্ত সময় বিদ্যুৎ সরবারহর নামে বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম মোসলেহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে অর্থ আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় তারাগঞ্জ উপজেলা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার ছাবেয়া অটো রাইস মিল লিমিটেডের ম্যানেজার ভুক্তভোগী মোরশেদুল ইসলাম ডালিম সাংবাদিকদের জানান, গত আগষ্ট মাসে ২৬,৮১,৩৪৭/-টাকা বিদ্যুৎ বিল আসে। ওই বিদ্যুৎ বিল কপিতে বিবিধ বিলসহ আরো অতিরিক্ত বিল প্রায় ৪,২৬,৮৬৭/-টাকা অবৈধ ভাবে দাবি করেন ওই তারাগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম মোসলেহ উদ্দিন। তার দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করলে, তিনি বিদ্যুৎ বিল কপি সংশোধনের নামে আমাকে নানা ভাবে হয়রানি করেন। আমি এঘটনায় গত ২৩সেপ্টেম্বর রংপুর জেলা প্রশাসক মহাদয়কে লেখিত অভিযোগ দিয়ে- বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ঢাকা। চেয়ারম্যান পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ড খিলক্ষেত ঢাকা। উপ-পরিচালক জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর রংপুর মহাদয়কে লেখিত অভিযোগ করছি। এছাড়াও এন.এন কোল্ডস্টোরেজ লিমিটেডের ম্যানেজার শরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, প্রতি মাসে নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করি আমরা। গত আগস্ট মাসে ১৮,৫৯,৯৯৭/-টাকা বিল আসে। বিল কপিতে বিবিদ বিল বাবদ অতিরিক্ত ৩,৪৬,১৮৬/-টাকা বিল কপিতে উল্লেখ করেন। তা দেখে আমি ডিজিএম ডিজিএম মোসলেহকে সংশোধনের কথা বলি। তিনি বিল কপি সংশোধন করার নামে আমাকে নানা ভাবে হয়রানি করে আমার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা দবি করেন। আমি তার দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করলে তিনি আমকে নানা ভাবে গালিগালাজ করে বলেন, তোমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটাব আমাকে চেনো এভাবে ধমক দিয়ে আমাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভিতি দেখায়। আমি এঘটনায় তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে অভিযোগ দিয়েছি। এছাডাও ওই কর্মকর্তা যোগদানের পর থেকে তারাগঞ্জ সাব-জোনাল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে চরম অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগের ঘটনায় এলাকাবাসী প্রশাসনের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের কাছে সরজমিন তদন্ত করে ওই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান। বিশিষ্ট উদ্যোক্তা ছাবেয়া অটো রাইস মিল লিমিটেডের মালিক নাজমুন নাহার সাংবাদিকদের জানান, আমার মিল প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত ১টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া নাই। অতচ নানা সময়ে নানা ভাবে বিদ্যুৎ অফিসকে সহযোগিতা করি আমি। ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম মোসলেহ উদ্দিন ইচ্ছাকৃত ভাবে আমার ম্যানেজার মোরশেদুল আলম ডালিমের সাথে বিবাদ সৃষ্টি করছে। এছাড়াও এন.এন. কোল্ড ষ্টোরেজ লিমিটেডের মালিক আনিছুর রহমান বলেন, আমার ক্লোল্ড ষ্টোরেজের বিল বাকি নাই। গত আগষ্ট মাসের বিদ্যুৎ বিল কপিতে একাধিক ভুল। কাজ করলে ভূল হতে পারে। ভুলটা বিদ্যুৎ অফিসের লোজন সংশোধন করে না দিলে ব্যাংক তো বিলটা জমা নিচ্ছে না। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন ইচ্ছাকৃত ভাবে আমার লোকদের সাথে চরম খারাপ আচরন করছে। এঘটনায় তারাগঞ্জ সাব জোনাল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম অভিযুক্ত মোসলেহ উদ্দিন বলেন, আমি অফিসের নিয়ম মেনে কাজ করি। এখানে সাংবাদিকদের কোনো করার নাই। তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবেল রানা বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের নানা অনিয়মের কথা একাধিক বার শুনেছি খোঁজ নিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তারাগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে বিরুদ্ধে চরম অনিয়ম দূণীতির অভিযোগ উঠেছে। অবৈধ ভাবে মিটার সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও মিটার বিল দেওযা- নেওয়া, বিল কপি সংশোধনের নামে গ্রাহক হয়রানিসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম গুলোতে একাধিক খবর প্রকাশিত হয়েছে। অভিযোগ কারীরা ওই কর্মকার্তার চরম অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লেখিত অভিযোগ করার পরেও প্রতিকার পাচ্ছে না। ফলে তারা প্রশাসনের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছে। সরেজমিন গিয়ে খোঁজনিয়ে জানা গেছে, তারাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন কল কারখানায় গিয়ে অতিরিক্ত সময় বিদ্যুৎ সরবারহর নামে বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম মোসলেহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে অর্থ আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় তারাগঞ্জ উপজেলা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার ছাবেয়া অটো রাইস মিল লিমিটেডের ম্যানেজার ভুক্তভোগী মোরশেদুল ইসলাম ডালিম সাংবাদিকদের জানান, গত আগষ্ট মাসে ২৬,৮১,৩৪৭/-টাকা বিদ্যুৎ বিল আসে। ওই বিদ্যুৎ বিল কপিতে বিবিধ বিলসহ আরো অতিরিক্ত বিল প্রায় ৪,২৬,৮৬৭/-টাকা অবৈধ ভাবে দাবি করেন ওই তারাগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম মোসলেহ উদ্দিন। তার দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করলে, তিনি বিদ্যুৎ বিল কপি সংশোধনের নামে আমাকে নানা ভাবে হয়রানি করেন। আমি এঘটনায় গত ২৩সেপ্টেম্বর রংপুর জেলা প্রশাসক মহাদয়কে লেখিত অভিযোগ দিয়ে- বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ঢাকা। চেয়ারম্যান পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ড খিলক্ষেত ঢাকা। উপ-পরিচালক জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর রংপুর মহাদয়কে লেখিত অভিযোগ করছি। এছাড়াও এন.এন কোল্ডস্টোরেজ লিমিটেডের ম্যানেজার শরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, প্রতি মাসে নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করি আমরা। গত আগস্ট মাসে ১৮,৫৯,৯৯৭/-টাকা বিল আসে। বিল কপিতে বিবিদ বিল বাবদ অতিরিক্ত ৩,৪৬,১৮৬/-টাকা বিল কপিতে উল্লেখ করেন। তা দেখে আমি ডিজিএম ডিজিএম মোসলেহকে সংশোধনের কথা বলি। তিনি বিল কপি সংশোধন করার নামে আমাকে নানা ভাবে হয়রানি করে আমার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা দবি করেন। আমি তার দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করলে তিনি আমকে নানা ভাবে গালিগালাজ করে বলেন, তোমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটাব আমাকে চেনো এভাবে ধমক দিয়ে আমাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভিতি দেখায়। আমি এঘটনায় তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে অভিযোগ দিয়েছি। এছাডাও ওই কর্মকর্তা যোগদানের পর থেকে তারাগঞ্জ সাব-জোনাল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে চরম অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগের ঘটনায় এলাকাবাসী প্রশাসনের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের কাছে সরজমিন তদন্ত করে ওই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান। বিশিষ্ট উদ্যোক্তা ছাবেয়া অটো রাইস মিল লিমিটেডের মালিক নাজমুন নাহার সাংবাদিকদের জানান, আমার মিল প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত ১টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া নাই। অতচ নানা সময়ে নানা ভাবে বিদ্যুৎ অফিসকে সহযোগিতা করি আমি। ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম মোসলেহ উদ্দিন ইচ্ছাকৃত ভাবে আমার ম্যানেজার মোরশেদুল আলম ডালিমের সাথে বিবাদ সৃষ্টি করছে। এছাড়াও এন.এন. কোল্ড ষ্টোরেজ লিমিটেডের মালিক আনিছুর রহমান বলেন, আমার ক্লোল্ড ষ্টোরেজের বিল বাকি নাই। গত আগষ্ট মাসের বিদ্যুৎ বিল কপিতে একাধিক ভুল। কাজ করলে ভূল হতে পারে। ভুলটা বিদ্যুৎ অফিসের লোজন সংশোধন করে না দিলে ব্যাংক তো বিলটা জমা নিচ্ছে না। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন ইচ্ছাকৃত ভাবে আমার লোকদের সাথে চরম খারাপ আচরন করছে। এঘটনায় তারাগঞ্জ সাব জোনাল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম অভিযুক্ত মোসলেহ উদ্দিন বলেন, আমি অফিসের নিয়ম মেনে কাজ করি। এখানে সাংবাদিকদের কোনো করার নাই। তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবেল রানা বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের নানা অনিয়মের কথা একাধিক বার শুনেছি খোঁজ নিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো।