নরসিংদী : ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে ২নং ওয়ার্ডের শিক্ষাচত্বরের পূর্ব পাশের সড়ক -সংবাদ
নরসিংদী পৌর শহরের প্রাণ কেন্দ্রে ভিন্ন বাসা বাড়ির ময়লা আবর্জনা ফেলে দীর্ঘদিন ধরে জনসাধারণের চলাচলের সড়ককে ভাগাড়ে পরিণত করেছে। পৌর শহরের ২নং ওয়ার্ডের শিক্ষাচত্বরের পূর্ব পাশের সড়কটিতে ময়লা আবর্জনা ফেলে এ ভাগাড়ে পরিনিত করা হয়েছে। এইসব ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে জনজীবন হয়ে উঠেছি দুর্বিষহ। অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চায় পৌরবাসী।
জানা যায়, এই স্থানটিতে আশেপাশের বিভিন্ন বাসা বাড়ির সব ময়লা রাতের আঁধারে এনে এখানে ফেলা হয়। যার ফলে চলাচলরত সড়কটি এখন প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, পৌরসভার দায়িত্বহীনতার কারণে প্রতিদিনই রাতের আঁধারে ফেলা হয় টনের পর টন ময়লা। এতে বায়ুবাহিত রোগ, মশা-মাছিসহ জীবাণুর বিস্তার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
শাহ আলম নামে একজন এলাকাবাসী বলেন, এখানে ফেলা এই ময়লা আবর্জনা দুর্গন্ধে আমরা বাসায় থাকতে পারিনা ফলে দরজা জানালা বন্ধ করে রাখতে হয় সারাদিন রাত।
হোসেন মিয়া নামে অপর একজন এলাকাবাসী বলেন, ময়লার দুর্গন্ধে রাতে টেকা যায় না। আর এই গন্ধে বাচ্চা-বুড়ো সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এ ব্যাপারে পৌরসভা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
পৌর কর্তৃপক্ষের এই উদাসীনতার বেশ কিছুদিন আগে স্থানীয় এলাকাবাসী নিজেরা উদ্যোগী হয়ে তথ্য সংগ্রহ করে সেখানে একটি বাঁশের বেড়া নির্মাণ করে ময়লা ফেলা বন্ধ করেন। এরপর থেকে কিছুদিন যাবত সেখানে ময়লা ফেলা বন্ধ থাকায় কিছুটা স্বস্তি ফিরে পায় এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর এই স্বস্তির বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে আবারও ফেলা হচ্ছে ময়লা আবর্জনা। তবে আগের জায়গায় নয় বর্তমানে কিছুটা সরে এসে রায়পুরা সমিতির খালি জায়গার সেখানে ফেলা হচ্ছে।
সুমন নামে স্থানীয় এক যুবক বলেন, আমরাই নিজেদের পয়সায় ঘেরাটোপ দিছি। কিছু দিন ময়লা ফেলা বন্ধ থাকলেও ইদানিং আবারো শুরু হয়েছে ময়লা ফেলা। আমরা ভেবেছিলাম বাঁশ দিয়ে এই বেড়া দিলে হয়তো ময়লা ফেলা বন্ধ হবে চিরতরে। পৌরসভার নজরানীর অভাবেই এমনটাই হচ্ছে। আমরা চাই পৌরসভা যেন ভবিষ্যতে এই জায়গায় আর ময়লা না ফেলে।
নাগরিক সেবায় গাফিলতি আর দায়িত্বহীনতায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা দাবি করেছেন, পৌরসভা যেন টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নেয়, যাতে নরসিংদী শহর আবারও পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে ফিরে পায় তার পুরনো মর্যাদা।
আরশিনগর ও শিক্ষা চত্বরের মতো এমন ব্যস্ততম এলাকার সমস্যাগুলো যদি সমাধানে পৌর প্রশাসন উদ্যোগী না হয়, তবে নাগরিক দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
নরসিংদী : ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে ২নং ওয়ার্ডের শিক্ষাচত্বরের পূর্ব পাশের সড়ক -সংবাদ
রোববার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
নরসিংদী পৌর শহরের প্রাণ কেন্দ্রে ভিন্ন বাসা বাড়ির ময়লা আবর্জনা ফেলে দীর্ঘদিন ধরে জনসাধারণের চলাচলের সড়ককে ভাগাড়ে পরিণত করেছে। পৌর শহরের ২নং ওয়ার্ডের শিক্ষাচত্বরের পূর্ব পাশের সড়কটিতে ময়লা আবর্জনা ফেলে এ ভাগাড়ে পরিনিত করা হয়েছে। এইসব ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে জনজীবন হয়ে উঠেছি দুর্বিষহ। অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চায় পৌরবাসী।
জানা যায়, এই স্থানটিতে আশেপাশের বিভিন্ন বাসা বাড়ির সব ময়লা রাতের আঁধারে এনে এখানে ফেলা হয়। যার ফলে চলাচলরত সড়কটি এখন প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, পৌরসভার দায়িত্বহীনতার কারণে প্রতিদিনই রাতের আঁধারে ফেলা হয় টনের পর টন ময়লা। এতে বায়ুবাহিত রোগ, মশা-মাছিসহ জীবাণুর বিস্তার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
শাহ আলম নামে একজন এলাকাবাসী বলেন, এখানে ফেলা এই ময়লা আবর্জনা দুর্গন্ধে আমরা বাসায় থাকতে পারিনা ফলে দরজা জানালা বন্ধ করে রাখতে হয় সারাদিন রাত।
হোসেন মিয়া নামে অপর একজন এলাকাবাসী বলেন, ময়লার দুর্গন্ধে রাতে টেকা যায় না। আর এই গন্ধে বাচ্চা-বুড়ো সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এ ব্যাপারে পৌরসভা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
পৌর কর্তৃপক্ষের এই উদাসীনতার বেশ কিছুদিন আগে স্থানীয় এলাকাবাসী নিজেরা উদ্যোগী হয়ে তথ্য সংগ্রহ করে সেখানে একটি বাঁশের বেড়া নির্মাণ করে ময়লা ফেলা বন্ধ করেন। এরপর থেকে কিছুদিন যাবত সেখানে ময়লা ফেলা বন্ধ থাকায় কিছুটা স্বস্তি ফিরে পায় এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর এই স্বস্তির বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে আবারও ফেলা হচ্ছে ময়লা আবর্জনা। তবে আগের জায়গায় নয় বর্তমানে কিছুটা সরে এসে রায়পুরা সমিতির খালি জায়গার সেখানে ফেলা হচ্ছে।
সুমন নামে স্থানীয় এক যুবক বলেন, আমরাই নিজেদের পয়সায় ঘেরাটোপ দিছি। কিছু দিন ময়লা ফেলা বন্ধ থাকলেও ইদানিং আবারো শুরু হয়েছে ময়লা ফেলা। আমরা ভেবেছিলাম বাঁশ দিয়ে এই বেড়া দিলে হয়তো ময়লা ফেলা বন্ধ হবে চিরতরে। পৌরসভার নজরানীর অভাবেই এমনটাই হচ্ছে। আমরা চাই পৌরসভা যেন ভবিষ্যতে এই জায়গায় আর ময়লা না ফেলে।
নাগরিক সেবায় গাফিলতি আর দায়িত্বহীনতায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা দাবি করেছেন, পৌরসভা যেন টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নেয়, যাতে নরসিংদী শহর আবারও পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে ফিরে পায় তার পুরনো মর্যাদা।
আরশিনগর ও শিক্ষা চত্বরের মতো এমন ব্যস্ততম এলাকার সমস্যাগুলো যদি সমাধানে পৌর প্রশাসন উদ্যোগী না হয়, তবে নাগরিক দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।