বেতাগী (বরগুনা) : উপকূলজুড়ে হঠাৎ ঘনকুয়াশা। ছবিটি রোববার সকাল সাড়ে ৬ টায় বেতাগী সরকারি কলেজ এলাকা থেকে তোলা হয়েছে -সংবাদ
প্রকৃতিতে এখন আশ্বিন মাস। ষড়ঋতু বৈচিত্রে শরৎ বিদায় নেবার পালা। স্বাভাবিক তাপমাত্রা ও নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। ভোর শুরু হওয়ার সঙ্গে মেঘমুক্ত আকাশে সূর্যের ঝলমলে আলোয়।
কিন্তু রোববার, (১২ অক্টোবর ২০২৫) ভোরে ভিন্ন চিত্র দেখা গেল উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগীতে। কোথাও ঘনকুয়াশায় আবার কোথাও মাঝারি ধরণের কুয়াশায় ঢেকে ছিল প্রকৃতি। শীত ছাড়াই কুয়াশা দেখে অবাক উপকূলবাসী।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, রোববার বরগুনায় সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৬ টা ৩ মিনিটে। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। ভোরে সূর্যোদয়ের পর পরই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় প্রকৃতি। প্রায় এক ঘণ্টা পর প্রকৃতি আবার স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। দিনের বেলা সূর্যের রোদের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় দুপুরে ও সন্ধ্যার পরে গরম লাগে। শেষ রাত ও সকাল বেলা হালকা ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সহকারি উপ-পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল বলেন, ‘প্রায় এক ঘণ্টা ঘন কুয়াশায় ঢেকে ছিল প্রকৃতি। রবিবার ভোর ৬ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
স্থানীয়রা বলছেন, আশ্বিন মাস শেষ হবে ৪ দিন পড়ে। কুয়াশা শীতের আগাম জানান দিচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, এটি এক ধরণের দুর্যোগ। তবে এ তারতম্য মানুষের শরীরের জন্য মোটেই উপযোগী নয়।
বেতাগী পৌর শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৮৮ বছরের বৃদ্ধ পুলিন বিহারী ঢালী বলেন, আশ্বিন মাসে এমন ঘন কুয়াশা এর আগে চোখে পড়েনি তার।
এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেটে যায় কুয়াশা। ফিরে আসে সেই শরতের ঝলমলে সূর্যের আলোর ঝলকানি। গতকাল শনিবার বিকাল ও সন্ধ্যায় ভারি বর্ষণ হয়েছে। অথচ গতকাল শনিবার দুপুরেও গরম ছিল। গত দুইদিন যাবত হঠাৎ কুয়াশা। এতে শিশু ও বৃদ্ধদের ঠাণ্ডা জ্বর, বুকে ব্যাথা, ফুসফুসে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সৈয়্যদ আমারুল ইসলাম বলেন, সকালে কুয়াশা থাকলে শিশুদের ঠাণ্ডা না লাগে সেদিকে যত্ন নিতে হবে। আবার দুপুরের রোদের মধ্যে বেশিক্ষণ চলাচল করা যাবে না। শিশুদের খুবই যত্নে রাখতে হবে, যাতে গরমে ঘাম তাদের শরীরে বসে না যায়। এ ছাড়া শারীরিক অসুবিধা হলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বেতাগী (বরগুনা) : উপকূলজুড়ে হঠাৎ ঘনকুয়াশা। ছবিটি রোববার সকাল সাড়ে ৬ টায় বেতাগী সরকারি কলেজ এলাকা থেকে তোলা হয়েছে -সংবাদ
রোববার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
প্রকৃতিতে এখন আশ্বিন মাস। ষড়ঋতু বৈচিত্রে শরৎ বিদায় নেবার পালা। স্বাভাবিক তাপমাত্রা ও নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। ভোর শুরু হওয়ার সঙ্গে মেঘমুক্ত আকাশে সূর্যের ঝলমলে আলোয়।
কিন্তু রোববার, (১২ অক্টোবর ২০২৫) ভোরে ভিন্ন চিত্র দেখা গেল উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগীতে। কোথাও ঘনকুয়াশায় আবার কোথাও মাঝারি ধরণের কুয়াশায় ঢেকে ছিল প্রকৃতি। শীত ছাড়াই কুয়াশা দেখে অবাক উপকূলবাসী।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, রোববার বরগুনায় সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৬ টা ৩ মিনিটে। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। ভোরে সূর্যোদয়ের পর পরই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় প্রকৃতি। প্রায় এক ঘণ্টা পর প্রকৃতি আবার স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। দিনের বেলা সূর্যের রোদের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় দুপুরে ও সন্ধ্যার পরে গরম লাগে। শেষ রাত ও সকাল বেলা হালকা ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সহকারি উপ-পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল বলেন, ‘প্রায় এক ঘণ্টা ঘন কুয়াশায় ঢেকে ছিল প্রকৃতি। রবিবার ভোর ৬ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
স্থানীয়রা বলছেন, আশ্বিন মাস শেষ হবে ৪ দিন পড়ে। কুয়াশা শীতের আগাম জানান দিচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, এটি এক ধরণের দুর্যোগ। তবে এ তারতম্য মানুষের শরীরের জন্য মোটেই উপযোগী নয়।
বেতাগী পৌর শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৮৮ বছরের বৃদ্ধ পুলিন বিহারী ঢালী বলেন, আশ্বিন মাসে এমন ঘন কুয়াশা এর আগে চোখে পড়েনি তার।
এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেটে যায় কুয়াশা। ফিরে আসে সেই শরতের ঝলমলে সূর্যের আলোর ঝলকানি। গতকাল শনিবার বিকাল ও সন্ধ্যায় ভারি বর্ষণ হয়েছে। অথচ গতকাল শনিবার দুপুরেও গরম ছিল। গত দুইদিন যাবত হঠাৎ কুয়াশা। এতে শিশু ও বৃদ্ধদের ঠাণ্ডা জ্বর, বুকে ব্যাথা, ফুসফুসে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সৈয়্যদ আমারুল ইসলাম বলেন, সকালে কুয়াশা থাকলে শিশুদের ঠাণ্ডা না লাগে সেদিকে যত্ন নিতে হবে। আবার দুপুরের রোদের মধ্যে বেশিক্ষণ চলাচল করা যাবে না। শিশুদের খুবই যত্নে রাখতে হবে, যাতে গরমে ঘাম তাদের শরীরে বসে না যায়। এ ছাড়া শারীরিক অসুবিধা হলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।