কক্সবাজার : মহেশখালীতে ভ্রমণপিপাসু পর্যটক ও ধর্মপালনকারী পূজারীদের দুর্ভোগ যেন শেষ হচ্ছে না -সংবাদ
মহেশখালীতে ভ্রমণপিপাসু পর্যটক ও ধর্মপালনকারী পূজারীদের দুর্ভোগ যেন শেষ হচ্ছে না। আবারও কক্সবাজার থেকে সরাসরি মহেশখালী আদিনাথ জেটিঘাটে যাত্রীবাহী ট্রলার চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে প্রভাবশালী ইজারাদার চক্র। এতে একদিকে দর্শনার্থীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে, অন্যদিকে সরকারের বড় অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে আদিনাথ জেটিঘাট। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) কক্সবাজার জেটিঘাট তদারকি করলেও স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র ৬ নম্বর জেটিঘাটে প্রভাব খাটিয়ে কক্সবাজার থেকে আদিনাথ জেটিঘাটে সরাসরি ট্রলার চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, অতীতে কক্সবাজার ৬ নম্বর ঘাট থেকে মহেশখালীর আদিনাথ ঘাটে যাত্রীবাহী ট্রলার ও স্পিডবোট চলাচল করত। তবে হঠাৎ গতকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে এ রুটে যাত্রীবাহী ট্রলার চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে কক্সবাজার-গোরকঘাটা রুটে ট্রলার চলাচল অব্যাহত থাকলেও আদিনাথ মন্দিরগামী দর্শনার্থীদের ঘুরপথে যেতে হচ্ছে। এতে তাদের সময় ও অর্থদুটোই অপচয় হচ্ছে। সূত্র আরও জানায়, কক্সবাজার ৬ নম্বর ঘাট থেকে আদিনাথ ঘাটে যাওয়া যাত্রীদের থেকে কোনো টোল নেওয়া হয় না। কিন্তু মহেশখালী ঘাটে প্রতিজন যাত্রীর কাছ থেকে ২০ টাকা করে টোল আদায় করা হয়। সেই টাকা হাতছাড়া না করতেই ইজারাদাররা সরাসরি আদিনাথ ঘাটে ট্রলার চলাচল বন্ধের পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, সরকারের অনুমোদিত গেজেট থাকা সত্ত্বেও প্রভাবশালী ইজারাদাররা দ্বৈত টোল আদায়ের চেষ্টা করছে। এতে শুধু পর্যটকরা ভোগান্তিতে পড়ছেন না, বরং স্থানীয় ধর্মীয় কার্যক্রমও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র সহকারী পরিচালক ওয়াকিল আহমেদ বলেন, পর্যটক ও পূজারীদের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করা আমাদের অগ্রাধিকার। কক্সবাজার থেকে আদিনাথ জেটিঘাটে সরাসরি যাতায়াত বন্ধের বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি। দ্রুত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হেদায়েত উল্যাহ বলেন, যারা এ ধরনের অনিয়ম করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। এদিকে স্থানীয় ধর্মপালনকারী ও আগত পর্যটকরা অভিযোগ করে বলেন, ইজারাদারদের চাঁদাবাজি ও অনিয়মের কারণে তারা প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এর ফলে ধর্মীয় অনুষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারা দ্রুত এই চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
কক্সবাজার : মহেশখালীতে ভ্রমণপিপাসু পর্যটক ও ধর্মপালনকারী পূজারীদের দুর্ভোগ যেন শেষ হচ্ছে না -সংবাদ
রোববার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
মহেশখালীতে ভ্রমণপিপাসু পর্যটক ও ধর্মপালনকারী পূজারীদের দুর্ভোগ যেন শেষ হচ্ছে না। আবারও কক্সবাজার থেকে সরাসরি মহেশখালী আদিনাথ জেটিঘাটে যাত্রীবাহী ট্রলার চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে প্রভাবশালী ইজারাদার চক্র। এতে একদিকে দর্শনার্থীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে, অন্যদিকে সরকারের বড় অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে আদিনাথ জেটিঘাট। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) কক্সবাজার জেটিঘাট তদারকি করলেও স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র ৬ নম্বর জেটিঘাটে প্রভাব খাটিয়ে কক্সবাজার থেকে আদিনাথ জেটিঘাটে সরাসরি ট্রলার চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, অতীতে কক্সবাজার ৬ নম্বর ঘাট থেকে মহেশখালীর আদিনাথ ঘাটে যাত্রীবাহী ট্রলার ও স্পিডবোট চলাচল করত। তবে হঠাৎ গতকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে এ রুটে যাত্রীবাহী ট্রলার চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে কক্সবাজার-গোরকঘাটা রুটে ট্রলার চলাচল অব্যাহত থাকলেও আদিনাথ মন্দিরগামী দর্শনার্থীদের ঘুরপথে যেতে হচ্ছে। এতে তাদের সময় ও অর্থদুটোই অপচয় হচ্ছে। সূত্র আরও জানায়, কক্সবাজার ৬ নম্বর ঘাট থেকে আদিনাথ ঘাটে যাওয়া যাত্রীদের থেকে কোনো টোল নেওয়া হয় না। কিন্তু মহেশখালী ঘাটে প্রতিজন যাত্রীর কাছ থেকে ২০ টাকা করে টোল আদায় করা হয়। সেই টাকা হাতছাড়া না করতেই ইজারাদাররা সরাসরি আদিনাথ ঘাটে ট্রলার চলাচল বন্ধের পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, সরকারের অনুমোদিত গেজেট থাকা সত্ত্বেও প্রভাবশালী ইজারাদাররা দ্বৈত টোল আদায়ের চেষ্টা করছে। এতে শুধু পর্যটকরা ভোগান্তিতে পড়ছেন না, বরং স্থানীয় ধর্মীয় কার্যক্রমও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র সহকারী পরিচালক ওয়াকিল আহমেদ বলেন, পর্যটক ও পূজারীদের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করা আমাদের অগ্রাধিকার। কক্সবাজার থেকে আদিনাথ জেটিঘাটে সরাসরি যাতায়াত বন্ধের বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি। দ্রুত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হেদায়েত উল্যাহ বলেন, যারা এ ধরনের অনিয়ম করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। এদিকে স্থানীয় ধর্মপালনকারী ও আগত পর্যটকরা অভিযোগ করে বলেন, ইজারাদারদের চাঁদাবাজি ও অনিয়মের কারণে তারা প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এর ফলে ধর্মীয় অনুষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারা দ্রুত এই চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।