ডিমলা (নীলফামারী) : অবৈধ পাথর উত্তোলন করছে শ্রমিকরা -সংবাদ
নীলফামারীর ডিমলায় মোবাইল কোর্টের জব্দের পাথর হরিলুটের দুই সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও মামলা করা হয়নি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। প্রশাসনিক ভাবে এ পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছেন এলাকাবাসী। এ ছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর আইন প্রয়োগ না করায় আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে তিস্তা নদী হতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারী চক্রটি। তিস্তা নদী হতে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে জেলা প্রশাসকসহ সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেও সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা।
জানা গেছে, নীলফামারীর ডিমলার তিস্তা নদী হতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করে আসছে একটি সক্রিয় পাথর উত্তোলনকারী চক্র। উত্তোলনকৃত পাথরগুলি বিক্রি করার উদ্দেশ্যে তিস্তা বিধৌত সংলগ্ন গয়াবাড়ি, পূর্ব ছাতনাই, টেপা খড়িবাড়ি ইউনিয়নের পাকা রাস্তা ও বাজার সংলগ্ন এলাকায় স্তুপ করে রাখে। এ সংক্রান্তে দৈনিক সংবাদে একাধিক সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরই টনক নড়ে উপজেলা প্রশাসনের। শুরু হয় তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধে অভিযান। অভিযানের ধারাবাহিকতায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর গয়াবাড়ি ও টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের তিস্তা হতে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলনের একাধিক পয়েন্টে অভিযান চালায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)।
ঐদিনই সন্ধ্যায় গয়াবাড়ি ইউনিয়নের শুটি বাড়ি বাজারে পূর্ব দিকে পাকা রাস্তা সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জনৈক জাহাঙ্গীর আলম নামের ব্যক্তির অবৈধ পাথর মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জব্দ করা হয়। জব্দকৃত পাথরগুলি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান মাসুদ এর জিম্মায় রাখা হয়।
সরকারি আইন অমান্য করে জাহাঙ্গীর আলমসহ তার সহযোগী ৫ জন মিলে জব্দকৃত পাথরগুলো ঐ রাতে ২ টার দিকে ৪টি ট্রাক্টর যোগে অধিকাংশ পাথর লুট করে নিয়ে যায়। প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান লুটতরাজের ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে গিয়ে পাথর রক্ষায় ব্যর্থ হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউ,এন,ও কে জানালে তিনি ডিমলা থানার এস আই আবুল কালামকে সেই রাতই ঘটনা স্থানে পাঠালে পাথর লুট কারীরা পুলিশ অফিসারের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। পাথর লুটের ঘটনাটি প্রায় ২ সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার মামলা দ্বায়ের করা হয়নি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে অভিযান পরিচালনা করা হলেও যথাযথ আইন প্রয়োগ না করায় অবৈধ পাথর উত্তোলন কোনক্রমেই বন্ধ হচ্ছে না। অভিযানের পর এ অবৈধ কার্যক্রম দুই এক দিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় মহা উৎসবের সাথে তিস্তা হতে পাথর উত্তোলন শুরু হয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর জব্দকৃত জিম্মায় রাখা পাথর লুটতরাজের ঘটনা ঘটলেও লুট কারীদের বিরুদ্ধে কোন মামলা বা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারী সঙ্ঘবদ্ধ চক্রটি বেপরোয়া হয়ে আবারো তিস্তা নদী হতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন শুরু করেছে। অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের যথাযথ ও কঠোর আইন প্রয়োগে অনিহা ও উদাসীনতাকে লোক দেখানো ও দায়সারা অভিযান আখ্যা দিয়ে ক্ষোভ ও ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন এলাকার সচেতন মহল।
তিস্তাপাড় এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় সাংবাদিক মো,বেলাল হোসেন জানান, কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারী চক্রটি আবারো তিস্তা নদী হতে পাথর উত্তোলন শুরু করেছে। গত শনিবার তিনি নিজের চোখে ৪০-৫০ টি ইঞ্জিন চালিত সেফের নৌকা দিয়ে তিস্তা নদী হতে পাথর উত্তোলন করতে দেখেছেন।
লুট হয়ে যাওয়া পাথর উদ্ধারসহ ঘটনায় জড়িত দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি সচেতন মহলের। তিস্তা নদী হতে অবৈধ পাথর উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধে সরকারের নির্দেশিত আইন কঠোর ভাবে প্রয়োগ না হওয়ায় যেমনি ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে তেমনি বিক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা।
গতকাল রোববার তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, তিস্তায় ইঞ্জিন চালিত নৌকায় লোহার তৈরি যন্ত্র দিয়ে নদীর তলদেশে গভীর গর্ত করে পাথর উত্তোলন করী প্রভাবশালী চক্রেটি সক্রিয় হয়ে পুনরায় তিস্তা ব্যারেজের আশপাশ, তিস্তা বাজার, তেলির বাজার, চরখড়িবাড়ি, বাইশপুকুর, কালিগঞ্জ, ভেন্ডাবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় পাথর উত্তোলন মহাসমারহে আবারো শুরু করেছে ।
সম্প্রতি তিস্তা হতে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে কঠোর অবস্থান নীতি গ্রহণ করে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি পয়েন্টে পাথর ও অবৈধ পাথর উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত উপকরণ ও যন্ত্রাংশ জব্দ কর হলেও নদীতে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলনের সময় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ১৩ টি নৌকা বিনষ্ট করা হলেও সেগুলি নদী থেকে তুলে মেরামত করে আবারো অবৈধ পাথর উত্তোলনের কাজে ব্যবহার করছেন তারা।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিস্তা নদী হতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও বাজার জাত করণের বিরুদ্ধে কঠোর ও দৃঢ? অবস্থান নিয়ে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করার অঙ্গীকারের কথা ব্যক্ত করা হলেও বাস্তবের তার প্রতিফলন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
তিস্তা হতে পাথর উত্তোলনকারী চক্রের নেতা ও পাথর ব্যবসায়ী গয়াবাড়ি গ্রামের মৃত মোশাররফ হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর খান ( ৪০) ও জুয়েল খান (৪৫), মৃত আকবরের ছেলে রজব আলী (৩৫)এবং মৃত মোকাদ্দেছ (মোকা) আলীর ছেলে মো,জাফর আলী ( ৩৩) ও আব্দুর রহমান (৪৭) ৪টি ট্রাক্টরে করে অধিকাংশ পাথর লুট করে নিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার মামলা করা হয়নি।
এ ব্যাপারে গয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মাসুদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমি ঘটনার রাত আড়াই ঘটিকার সময় আমার চৌকিদার মশিয়ার রহমানের মোবাইল ফোনে ঘটনায় বিষয় জানতে পেরে ঘটনার স্থলে গিয়ে পাথর লুট করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তৎক্ষণিক আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করলেও লুটকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়নি যার ফলে চক্রটি বেপরোয়া হয়ে আবারো তিস্তা নদী হাতে পাথর উত্তোলন শুরু করেছে।
ঘটনার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরানুজ্জামান,গত ৩০ সেপ্টেম্বর মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জব্দকৃত পাথর লুটের সত্যতা স্বীকার করলেও ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অজ্ঞাত কারণে আইন প্রয়োগে বা মামলা দ্বায়ের করতে অনিহা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
ডিমলা (নীলফামারী) : অবৈধ পাথর উত্তোলন করছে শ্রমিকরা -সংবাদ
সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
নীলফামারীর ডিমলায় মোবাইল কোর্টের জব্দের পাথর হরিলুটের দুই সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও মামলা করা হয়নি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। প্রশাসনিক ভাবে এ পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছেন এলাকাবাসী। এ ছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর আইন প্রয়োগ না করায় আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে তিস্তা নদী হতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারী চক্রটি। তিস্তা নদী হতে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে জেলা প্রশাসকসহ সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেও সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা।
জানা গেছে, নীলফামারীর ডিমলার তিস্তা নদী হতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করে আসছে একটি সক্রিয় পাথর উত্তোলনকারী চক্র। উত্তোলনকৃত পাথরগুলি বিক্রি করার উদ্দেশ্যে তিস্তা বিধৌত সংলগ্ন গয়াবাড়ি, পূর্ব ছাতনাই, টেপা খড়িবাড়ি ইউনিয়নের পাকা রাস্তা ও বাজার সংলগ্ন এলাকায় স্তুপ করে রাখে। এ সংক্রান্তে দৈনিক সংবাদে একাধিক সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরই টনক নড়ে উপজেলা প্রশাসনের। শুরু হয় তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধে অভিযান। অভিযানের ধারাবাহিকতায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর গয়াবাড়ি ও টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের তিস্তা হতে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলনের একাধিক পয়েন্টে অভিযান চালায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)।
ঐদিনই সন্ধ্যায় গয়াবাড়ি ইউনিয়নের শুটি বাড়ি বাজারে পূর্ব দিকে পাকা রাস্তা সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জনৈক জাহাঙ্গীর আলম নামের ব্যক্তির অবৈধ পাথর মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জব্দ করা হয়। জব্দকৃত পাথরগুলি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান মাসুদ এর জিম্মায় রাখা হয়।
সরকারি আইন অমান্য করে জাহাঙ্গীর আলমসহ তার সহযোগী ৫ জন মিলে জব্দকৃত পাথরগুলো ঐ রাতে ২ টার দিকে ৪টি ট্রাক্টর যোগে অধিকাংশ পাথর লুট করে নিয়ে যায়। প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান লুটতরাজের ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে গিয়ে পাথর রক্ষায় ব্যর্থ হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউ,এন,ও কে জানালে তিনি ডিমলা থানার এস আই আবুল কালামকে সেই রাতই ঘটনা স্থানে পাঠালে পাথর লুট কারীরা পুলিশ অফিসারের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। পাথর লুটের ঘটনাটি প্রায় ২ সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার মামলা দ্বায়ের করা হয়নি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে অভিযান পরিচালনা করা হলেও যথাযথ আইন প্রয়োগ না করায় অবৈধ পাথর উত্তোলন কোনক্রমেই বন্ধ হচ্ছে না। অভিযানের পর এ অবৈধ কার্যক্রম দুই এক দিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় মহা উৎসবের সাথে তিস্তা হতে পাথর উত্তোলন শুরু হয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর জব্দকৃত জিম্মায় রাখা পাথর লুটতরাজের ঘটনা ঘটলেও লুট কারীদের বিরুদ্ধে কোন মামলা বা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারী সঙ্ঘবদ্ধ চক্রটি বেপরোয়া হয়ে আবারো তিস্তা নদী হতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন শুরু করেছে। অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের যথাযথ ও কঠোর আইন প্রয়োগে অনিহা ও উদাসীনতাকে লোক দেখানো ও দায়সারা অভিযান আখ্যা দিয়ে ক্ষোভ ও ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন এলাকার সচেতন মহল।
তিস্তাপাড় এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় সাংবাদিক মো,বেলাল হোসেন জানান, কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারী চক্রটি আবারো তিস্তা নদী হতে পাথর উত্তোলন শুরু করেছে। গত শনিবার তিনি নিজের চোখে ৪০-৫০ টি ইঞ্জিন চালিত সেফের নৌকা দিয়ে তিস্তা নদী হতে পাথর উত্তোলন করতে দেখেছেন।
লুট হয়ে যাওয়া পাথর উদ্ধারসহ ঘটনায় জড়িত দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি সচেতন মহলের। তিস্তা নদী হতে অবৈধ পাথর উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধে সরকারের নির্দেশিত আইন কঠোর ভাবে প্রয়োগ না হওয়ায় যেমনি ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে তেমনি বিক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা।
গতকাল রোববার তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, তিস্তায় ইঞ্জিন চালিত নৌকায় লোহার তৈরি যন্ত্র দিয়ে নদীর তলদেশে গভীর গর্ত করে পাথর উত্তোলন করী প্রভাবশালী চক্রেটি সক্রিয় হয়ে পুনরায় তিস্তা ব্যারেজের আশপাশ, তিস্তা বাজার, তেলির বাজার, চরখড়িবাড়ি, বাইশপুকুর, কালিগঞ্জ, ভেন্ডাবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় পাথর উত্তোলন মহাসমারহে আবারো শুরু করেছে ।
সম্প্রতি তিস্তা হতে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে কঠোর অবস্থান নীতি গ্রহণ করে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি পয়েন্টে পাথর ও অবৈধ পাথর উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত উপকরণ ও যন্ত্রাংশ জব্দ কর হলেও নদীতে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলনের সময় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ১৩ টি নৌকা বিনষ্ট করা হলেও সেগুলি নদী থেকে তুলে মেরামত করে আবারো অবৈধ পাথর উত্তোলনের কাজে ব্যবহার করছেন তারা।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিস্তা নদী হতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও বাজার জাত করণের বিরুদ্ধে কঠোর ও দৃঢ? অবস্থান নিয়ে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করার অঙ্গীকারের কথা ব্যক্ত করা হলেও বাস্তবের তার প্রতিফলন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
তিস্তা হতে পাথর উত্তোলনকারী চক্রের নেতা ও পাথর ব্যবসায়ী গয়াবাড়ি গ্রামের মৃত মোশাররফ হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর খান ( ৪০) ও জুয়েল খান (৪৫), মৃত আকবরের ছেলে রজব আলী (৩৫)এবং মৃত মোকাদ্দেছ (মোকা) আলীর ছেলে মো,জাফর আলী ( ৩৩) ও আব্দুর রহমান (৪৭) ৪টি ট্রাক্টরে করে অধিকাংশ পাথর লুট করে নিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার মামলা করা হয়নি।
এ ব্যাপারে গয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মাসুদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমি ঘটনার রাত আড়াই ঘটিকার সময় আমার চৌকিদার মশিয়ার রহমানের মোবাইল ফোনে ঘটনায় বিষয় জানতে পেরে ঘটনার স্থলে গিয়ে পাথর লুট করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তৎক্ষণিক আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করলেও লুটকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়নি যার ফলে চক্রটি বেপরোয়া হয়ে আবারো তিস্তা নদী হাতে পাথর উত্তোলন শুরু করেছে।
ঘটনার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরানুজ্জামান,গত ৩০ সেপ্টেম্বর মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জব্দকৃত পাথর লুটের সত্যতা স্বীকার করলেও ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অজ্ঞাত কারণে আইন প্রয়োগে বা মামলা দ্বায়ের করতে অনিহা পরিলক্ষিত হচ্ছে।