সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলা পোস্ট অফিসে প্রয়োজনীয় জনবল ও কক্ষ না থাকায় কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকাবাসী। এছাড়াও পোস্ট অফিসে ব্যাংক নোট কাউন্টার মেশিন নষ্ট এবং ফ্র্যাংকিং মেশিনে কালি না থাকায় সেবা প্রত্যাশীরা পোস্ট অফিসে সেবা নিতে এসে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন কেন্দ্রের অভ্যন্তরে অবস্থিত এ পোস্ট অফিসের অধীনে মিজমিজি ও কাঁচপুর শাখা পোস্ট অফিস রয়েছে। কাজের পরিধি বৃদ্ধির সাথে জনবল ও কক্ষ বৃদ্ধি না পাওয়ায় সেবা প্রত্যাশীদের ভোগান্তি দিন দিন বেড়েই চলেছে বলে অভিযোগ সেবা প্রত্যাশীদের।
জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন কেন্দ্রের অভ্যন্তরে অবস্থিত সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলা পোস্ট অফিস। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক পোস্ট অফিসের অফিস কক্ষ ও পোস্ট মাস্টারের আবাসিক সুবিধা দেয়ার নিয়ম রয়েছে। সে অনুযায়ী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক দেয়া একটি দোতলা ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলা পোস্ট অফিসের কার্যক্রম চলছে। এ পোস্ট অফিসে নিয়মিত দেশিয় ও আন্তর্জাতিক ডাক দ্রব্যাদি গ্রহণ, বিলিকরণ, রেজিষ্ট্রেশন সেবা, ভ্যালু পেয়েবল (ভিপি) সেবা, বীমা সেবা, পার্সেল সেবা, বুক পোস্ট (বুক প্যাকেট ও প্যাটার্ণ প্যাকেট), রেজিস্টার্ড চিঠিপত্র ও পার্সেল, মানি অর্ডার সেবা, এক্সপ্রেস সেবা (জিইপি ও ইএমএস), সঞ্চয়পত্র বিক্রয় সেবা ও ই-পোস্টসহ সব ধরনের সেবা প্রদান করা হয়। এসব সেবা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকার কয়েক লক্ষ এলাকাবাসী এবং সহস্রাধীক প্রতিষ্ঠান গ্রহণ করে থাকে। সিদ্ধিরগঞ্জ ছাড়াও মিজমিজি এলাকায় ও কাঁচপুর এলাকায় একটি করে শাখা সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলা পোস্ট অফিসের অধীনে চালু রয়েছে। বর্তমানে পূর্বের তুলনায় সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় জনবসতি ও কারখানা বৃদ্ধি পাওয়ায় কাজের পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই তুলনায় পোস্ট অফিসে জনবল বৃদ্ধি পায় নাই। বর্তমানে এ পোস্ট অফিসে ৬ জনের কাজ ৩ জনে করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ২ জন অপারেটর ও ১ জন পোস্টম্যান পদ শূন্য রয়েছে। তাছাড়া দিন দিন কাজের পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেবা প্রতাশীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আদান-প্রদান বৃদ্ধি পাচ্ছে যা পোস্ট অফিসের কক্ষে জায়াগা হচ্ছে না। গাদাগাদি করে টেবিলের উপর ও বাথরুমের পাশে রাখা যা মূল্যবান কাগজপত্র নষ্ট হওয়ার আশংকা রয়েছে।
এসমব মূল্যবান কাগজপত্র নষ্ট হলে সরকারের পাশাপাশি সেবাপ্রত্যাশীরাও ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে জানান পোস্ট মাস্টার আবুল কালাম আজাদ। পোস্ট অফিসের পাশের সাথে পূর্বপাশে দুইটি কক্ষ খালি রয়েছে। কর্তৃপক্ষ উক্ত দুইটি কক্ষ পোস্ট অফিসের অধীনে বরাদ্দ করলে মূল্যবান কাগজপত্র রাখা যেত। পোস্ট মাস্টার জানান, একজন পোস্টম্যান দিয়ে কাজ চালিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছে। তার উপর এই একজন পোস্টম্যানকে সপ্তাহে ২ দিন সানারপাড় পোস্ট অফিসের পোস্টম্যান হিসাবে কাজ করতে হচ্ছে। এসময় অত্র এলাকার চিঠিপত্র ও পার্সেল ডেলিভারী বন্ধ থাকে। এতে সেবা প্রত্যাশীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করে। সময়মত ডেলিভারী না পেয়ে অনেকে পোস্ট অফিস থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে অন্য মাধ্যমে সেবা নেয়ার আগ্রহ দেখাচ্ছে। এছাড়াও পোস্ট অফিসের ব্যাংক নোট গণনার মেশিন নষ্ট ও ফ্র্যাংকিং মেশিনে কালি না থাকায় ভোগান্তি হচ্ছে। এদিকে বিউবো কর্তৃপক্ষ পোস্ট মাস্টারের থাকার জন্য আবাসিক সুবিধা দেয়ার কথা থাকলেও এখনো তাকে বাসা বরাদ্দ দেয়া হয়নি। অন্যত্র বাসা নিয়ে থাকায় ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে স্কুলে আনা ও নেয়ার সমস্যায় রয়েছে। পোস্ট অফিসের সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি তার আবাসিক সমস্যা সমাধান করতে উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানান পোস্ট মাস্টার আবুল কালাম আজাদ।
সিদ্ধিরগঞ্জ ২১০ মে.ও. এসটিপিএস, বিউবো এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, আগের পোস্ট মাস্টার চলে যাওয়ায় ওই বাসার গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছ। এসব সমস্যা সমাধান করে পোস্ট মাস্টারকে বাসা বরাদ্দ দেয়া হবে তিনি জানান।
সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলা পোস্ট অফিসে প্রয়োজনীয় জনবল ও কক্ষ না থাকায় কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকাবাসী। এছাড়াও পোস্ট অফিসে ব্যাংক নোট কাউন্টার মেশিন নষ্ট এবং ফ্র্যাংকিং মেশিনে কালি না থাকায় সেবা প্রত্যাশীরা পোস্ট অফিসে সেবা নিতে এসে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন কেন্দ্রের অভ্যন্তরে অবস্থিত এ পোস্ট অফিসের অধীনে মিজমিজি ও কাঁচপুর শাখা পোস্ট অফিস রয়েছে। কাজের পরিধি বৃদ্ধির সাথে জনবল ও কক্ষ বৃদ্ধি না পাওয়ায় সেবা প্রত্যাশীদের ভোগান্তি দিন দিন বেড়েই চলেছে বলে অভিযোগ সেবা প্রত্যাশীদের।
জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন কেন্দ্রের অভ্যন্তরে অবস্থিত সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলা পোস্ট অফিস। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক পোস্ট অফিসের অফিস কক্ষ ও পোস্ট মাস্টারের আবাসিক সুবিধা দেয়ার নিয়ম রয়েছে। সে অনুযায়ী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক দেয়া একটি দোতলা ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলা পোস্ট অফিসের কার্যক্রম চলছে। এ পোস্ট অফিসে নিয়মিত দেশিয় ও আন্তর্জাতিক ডাক দ্রব্যাদি গ্রহণ, বিলিকরণ, রেজিষ্ট্রেশন সেবা, ভ্যালু পেয়েবল (ভিপি) সেবা, বীমা সেবা, পার্সেল সেবা, বুক পোস্ট (বুক প্যাকেট ও প্যাটার্ণ প্যাকেট), রেজিস্টার্ড চিঠিপত্র ও পার্সেল, মানি অর্ডার সেবা, এক্সপ্রেস সেবা (জিইপি ও ইএমএস), সঞ্চয়পত্র বিক্রয় সেবা ও ই-পোস্টসহ সব ধরনের সেবা প্রদান করা হয়। এসব সেবা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকার কয়েক লক্ষ এলাকাবাসী এবং সহস্রাধীক প্রতিষ্ঠান গ্রহণ করে থাকে। সিদ্ধিরগঞ্জ ছাড়াও মিজমিজি এলাকায় ও কাঁচপুর এলাকায় একটি করে শাখা সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলা পোস্ট অফিসের অধীনে চালু রয়েছে। বর্তমানে পূর্বের তুলনায় সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় জনবসতি ও কারখানা বৃদ্ধি পাওয়ায় কাজের পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই তুলনায় পোস্ট অফিসে জনবল বৃদ্ধি পায় নাই। বর্তমানে এ পোস্ট অফিসে ৬ জনের কাজ ৩ জনে করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ২ জন অপারেটর ও ১ জন পোস্টম্যান পদ শূন্য রয়েছে। তাছাড়া দিন দিন কাজের পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেবা প্রতাশীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আদান-প্রদান বৃদ্ধি পাচ্ছে যা পোস্ট অফিসের কক্ষে জায়াগা হচ্ছে না। গাদাগাদি করে টেবিলের উপর ও বাথরুমের পাশে রাখা যা মূল্যবান কাগজপত্র নষ্ট হওয়ার আশংকা রয়েছে।
এসমব মূল্যবান কাগজপত্র নষ্ট হলে সরকারের পাশাপাশি সেবাপ্রত্যাশীরাও ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে জানান পোস্ট মাস্টার আবুল কালাম আজাদ। পোস্ট অফিসের পাশের সাথে পূর্বপাশে দুইটি কক্ষ খালি রয়েছে। কর্তৃপক্ষ উক্ত দুইটি কক্ষ পোস্ট অফিসের অধীনে বরাদ্দ করলে মূল্যবান কাগজপত্র রাখা যেত। পোস্ট মাস্টার জানান, একজন পোস্টম্যান দিয়ে কাজ চালিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছে। তার উপর এই একজন পোস্টম্যানকে সপ্তাহে ২ দিন সানারপাড় পোস্ট অফিসের পোস্টম্যান হিসাবে কাজ করতে হচ্ছে। এসময় অত্র এলাকার চিঠিপত্র ও পার্সেল ডেলিভারী বন্ধ থাকে। এতে সেবা প্রত্যাশীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করে। সময়মত ডেলিভারী না পেয়ে অনেকে পোস্ট অফিস থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে অন্য মাধ্যমে সেবা নেয়ার আগ্রহ দেখাচ্ছে। এছাড়াও পোস্ট অফিসের ব্যাংক নোট গণনার মেশিন নষ্ট ও ফ্র্যাংকিং মেশিনে কালি না থাকায় ভোগান্তি হচ্ছে। এদিকে বিউবো কর্তৃপক্ষ পোস্ট মাস্টারের থাকার জন্য আবাসিক সুবিধা দেয়ার কথা থাকলেও এখনো তাকে বাসা বরাদ্দ দেয়া হয়নি। অন্যত্র বাসা নিয়ে থাকায় ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে স্কুলে আনা ও নেয়ার সমস্যায় রয়েছে। পোস্ট অফিসের সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি তার আবাসিক সমস্যা সমাধান করতে উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানান পোস্ট মাস্টার আবুল কালাম আজাদ।
সিদ্ধিরগঞ্জ ২১০ মে.ও. এসটিপিএস, বিউবো এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, আগের পোস্ট মাস্টার চলে যাওয়ায় ওই বাসার গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছ। এসব সমস্যা সমাধান করে পোস্ট মাস্টারকে বাসা বরাদ্দ দেয়া হবে তিনি জানান।