চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নে ভয়াবহ এক ট্র্যাজেডি, বিষাক্ত স্পিরিট পানে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরও তিনজন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।
নিহতরা সবাই নিম্নআয়ের পেশাজীবী কেউ ভ্যানচালক, কেউ মিল শ্রমিক, আবার কেউ মাছ ব্যবসায়ী। পরিবারের রুজি-রোজগারের একমাত্র ভরসা ছিলেন তারা। হঠাৎ করেই বিষাক্ত পানীয় তাদের জীবন কেড়ে নিয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজার এলাকায় একদল শ্রমজীবী মানুষ একত্র হয়ে স্পিরিট পান করেন। এরপর থেকেই তাদের মধ্যে বমি, মাথাব্যথা ও দৃষ্টিহীনতার উপসর্গ দেখা দেয়। তিন দিনের ব্যবধানে একে একে ছয়জনের মৃত্যু হয়। সর্বশেষ গতকাল রোববার সন্ধ্যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হলে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। এবং সাধারণ মানুষের ভিতর বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়।
নিহতরা হলেন- নফরকান্তি গ্রামের ভ্যানচালক খেদের আলী (৩৮), খেজুরা গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সেলিম (৩৯), পিরোজখালি গ্রামের ভ্যানচালক লালটু ওরফে রিপু (৩৮), শংকরচন্দ্র গ্রামের শ্রমিক মোহাম্মদ শহীদ (৪৫), ডিঙ্গেদহ গ্রামের মিল শ্রমিক মোহাম্মদ সামির (৫৫) এবং এশিয়া বিস্কুট ফ্যাক্টরি পাড়ার শ্রমিক সরদার লালটু (৫২)।
এছাড়া একই এলাকার দিনমজুর আলিম উদ্দিনসহ আরও দুইজন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, ডিঙ্গেদহ বাজারে দীর্ঘদিন ধরেই গোপনে দেশি মদ ও স্পিরিট বিক্রি চলছিল। প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় এসব বিষাক্ত পানীয়ই এখন মৃত্যুর ফাদে পরিণত হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল আল নাসের বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অ্যালকোহলিক পয়জনিংয়েই তাদের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তে পুলিশি তদন্ত চলছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আফরিনা ইসলাম জানান, গতকাল রোববার বিকালে পরিবারের সদস্যরা লালটু মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। জানা যায়, তিনি দুই দিন আগে স্পিরিট পান করেছিলেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হলেও সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তিনি মারা যান।
স্থানীয়দের মতে, এটি কোনো একক দুর্ঘটনা নয় বরং দীর্ঘদিনের অবহেলা ও প্রশাসনিক তদারকির অভাবের ভয়াবহ পরিণতি। গ্রামীণ জীবনের প্রান্তিক মানুষগুলো এক বোতল নেশায় হারিয়ে ফেলল তাদের পুরো জীবন। তবে এক একটি জীবন নয় ৬টি জীবন। আরো মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে আছে তিনজন।
সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নে ভয়াবহ এক ট্র্যাজেডি, বিষাক্ত স্পিরিট পানে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরও তিনজন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।
নিহতরা সবাই নিম্নআয়ের পেশাজীবী কেউ ভ্যানচালক, কেউ মিল শ্রমিক, আবার কেউ মাছ ব্যবসায়ী। পরিবারের রুজি-রোজগারের একমাত্র ভরসা ছিলেন তারা। হঠাৎ করেই বিষাক্ত পানীয় তাদের জীবন কেড়ে নিয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজার এলাকায় একদল শ্রমজীবী মানুষ একত্র হয়ে স্পিরিট পান করেন। এরপর থেকেই তাদের মধ্যে বমি, মাথাব্যথা ও দৃষ্টিহীনতার উপসর্গ দেখা দেয়। তিন দিনের ব্যবধানে একে একে ছয়জনের মৃত্যু হয়। সর্বশেষ গতকাল রোববার সন্ধ্যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হলে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। এবং সাধারণ মানুষের ভিতর বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়।
নিহতরা হলেন- নফরকান্তি গ্রামের ভ্যানচালক খেদের আলী (৩৮), খেজুরা গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সেলিম (৩৯), পিরোজখালি গ্রামের ভ্যানচালক লালটু ওরফে রিপু (৩৮), শংকরচন্দ্র গ্রামের শ্রমিক মোহাম্মদ শহীদ (৪৫), ডিঙ্গেদহ গ্রামের মিল শ্রমিক মোহাম্মদ সামির (৫৫) এবং এশিয়া বিস্কুট ফ্যাক্টরি পাড়ার শ্রমিক সরদার লালটু (৫২)।
এছাড়া একই এলাকার দিনমজুর আলিম উদ্দিনসহ আরও দুইজন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, ডিঙ্গেদহ বাজারে দীর্ঘদিন ধরেই গোপনে দেশি মদ ও স্পিরিট বিক্রি চলছিল। প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় এসব বিষাক্ত পানীয়ই এখন মৃত্যুর ফাদে পরিণত হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল আল নাসের বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অ্যালকোহলিক পয়জনিংয়েই তাদের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তে পুলিশি তদন্ত চলছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আফরিনা ইসলাম জানান, গতকাল রোববার বিকালে পরিবারের সদস্যরা লালটু মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। জানা যায়, তিনি দুই দিন আগে স্পিরিট পান করেছিলেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হলেও সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তিনি মারা যান।
স্থানীয়দের মতে, এটি কোনো একক দুর্ঘটনা নয় বরং দীর্ঘদিনের অবহেলা ও প্রশাসনিক তদারকির অভাবের ভয়াবহ পরিণতি। গ্রামীণ জীবনের প্রান্তিক মানুষগুলো এক বোতল নেশায় হারিয়ে ফেলল তাদের পুরো জীবন। তবে এক একটি জীবন নয় ৬টি জীবন। আরো মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে আছে তিনজন।