পীরগঞ্জ (রংপুর) : ধান কাটছেন কৃষক -সংবাদ
রংপুরের পীরগঞ্জে আগাম জাতের আমন ধান চাষ করে লাভবান হচ্ছেন চাষীরা। ইতোমধ্যেই এ ধান কর্তনে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা। ফলনও আশানুরুপ হয়েছে। ধান ও কাড়ির দুটোরই ভাল দাম পাওয়ায় আগাম জাতের আমন ধান চাষে সাড়া পড়েছে কৃষকের মাঝে ।
উপজেলার উজিরপুরের এনামুল হক, বড় আলমপুরের মজিবর রহমান, শালপাড়ার ফারুক বলেন এবারে পীরগঞ্জের বিভিন্ন মাঠে আগাম জাতের ধান চাষ হয়েছে । ইতিমধ্যেই ওই ধান কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে। যে সব কৃষক এ ধান আবাদ করেছে তারা ধানের ফলন, দাম ও কাড়ি সব কিছুরেই ভাল মুল্য পাচ্ছে। আমরা আগামীতে ওই জাতের ধান চাষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
পীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি রোপা আমন মৌসুমে পীরগঞ্জে ২৫ হাজার ৫ শত ৩৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষ হয়েছে । তন্মধ্যে ৬ হাজার ২শত ২৫ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের ব্রি ৭১, ব্রি ৭৫, বিনা ১৭, বিনা ৭, ব্রি ৮৭ এবং হাইব্রিড সহ ২০ জাতের আমন ধানের চাষ হয়েছে।
জয়পুর গ্রামের মেহেদুল মিয়া, তসের মিয়া, মিঠিপুর গ্রামের আমজাদ হোসেন, হোসেনপুর গ্রামের তাহের মিয়ার জানান বৃষ্টির পানির অপেক্ষায় না থেকে শুরুতেই সেচের মাধ্যমে এই ধানের চাষ করেন। এতে আগাম ধান উৎপাদনের কারণে ধান কর্তনের সময় শ্রমিকের সংকট হয়না। খড় (কাড়ি)গো-খাদ্য হিসেবে প্রচুর চাহিদা থাকায় আশানুরুপ দাম পাওয়া যায় । ফলে ধান চাষ ও কাটামাড়াই এর খরচ খড় থেকে উঠে আসার পরও লাভ হয় । ধান কর্তনের পর উক্ত জমিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে তেলজাতীয় ফসলের চাষও করা সম্ভব। এ ফসল উঠানোর পর পুরো দমে বোরো চাষ হয় ওই জমিতে। ফলে বর্তমানে কৃষকদের মাঝে আগাম জাতের এ ধান চাষের ব্যাপক চাহিদা বাড়ছে। আগাম আমন ধান চাষী ফতেপুরের মোস্তফা জামান জানান, আগাম আমন চাষ করে তুলনামুলকভাবে ধানের চেয়ে কাড়ির দাম বেশী হওয়ায় এ ধান চাষ করে লাভবান হয়েছি ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন আহম্মেদ বলেন, আগাম ধান চাষের শুরু থেকেই অনুকুল আবহাওয়ার কারনে এ ধান উৎপাদনে কৃষকের খরচ কম হয়েছে। এ ছাড়া কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের সকল উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদেও মাঝে বীজ সার প্রণোদনাসহ বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দিয়ে চাষিদেরকে আমন ধান চাষে উদ্বুদ্ধ করেছেন।
যে কারণে চলতি আমন মওশুমে ৬ হাজার ২শত ২৫ হেক্টর জমিতে এ ধান চাষ করেছে কৃষকেরা। ধানের ফলনও ভাল হয়েছে শুরু হয়েছে কাটামাড়াই। আগামীতে এ ধান চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে।
পীরগঞ্জ (রংপুর) : ধান কাটছেন কৃষক -সংবাদ
সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
রংপুরের পীরগঞ্জে আগাম জাতের আমন ধান চাষ করে লাভবান হচ্ছেন চাষীরা। ইতোমধ্যেই এ ধান কর্তনে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা। ফলনও আশানুরুপ হয়েছে। ধান ও কাড়ির দুটোরই ভাল দাম পাওয়ায় আগাম জাতের আমন ধান চাষে সাড়া পড়েছে কৃষকের মাঝে ।
উপজেলার উজিরপুরের এনামুল হক, বড় আলমপুরের মজিবর রহমান, শালপাড়ার ফারুক বলেন এবারে পীরগঞ্জের বিভিন্ন মাঠে আগাম জাতের ধান চাষ হয়েছে । ইতিমধ্যেই ওই ধান কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে। যে সব কৃষক এ ধান আবাদ করেছে তারা ধানের ফলন, দাম ও কাড়ি সব কিছুরেই ভাল মুল্য পাচ্ছে। আমরা আগামীতে ওই জাতের ধান চাষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
পীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি রোপা আমন মৌসুমে পীরগঞ্জে ২৫ হাজার ৫ শত ৩৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষ হয়েছে । তন্মধ্যে ৬ হাজার ২শত ২৫ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের ব্রি ৭১, ব্রি ৭৫, বিনা ১৭, বিনা ৭, ব্রি ৮৭ এবং হাইব্রিড সহ ২০ জাতের আমন ধানের চাষ হয়েছে।
জয়পুর গ্রামের মেহেদুল মিয়া, তসের মিয়া, মিঠিপুর গ্রামের আমজাদ হোসেন, হোসেনপুর গ্রামের তাহের মিয়ার জানান বৃষ্টির পানির অপেক্ষায় না থেকে শুরুতেই সেচের মাধ্যমে এই ধানের চাষ করেন। এতে আগাম ধান উৎপাদনের কারণে ধান কর্তনের সময় শ্রমিকের সংকট হয়না। খড় (কাড়ি)গো-খাদ্য হিসেবে প্রচুর চাহিদা থাকায় আশানুরুপ দাম পাওয়া যায় । ফলে ধান চাষ ও কাটামাড়াই এর খরচ খড় থেকে উঠে আসার পরও লাভ হয় । ধান কর্তনের পর উক্ত জমিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে তেলজাতীয় ফসলের চাষও করা সম্ভব। এ ফসল উঠানোর পর পুরো দমে বোরো চাষ হয় ওই জমিতে। ফলে বর্তমানে কৃষকদের মাঝে আগাম জাতের এ ধান চাষের ব্যাপক চাহিদা বাড়ছে। আগাম আমন ধান চাষী ফতেপুরের মোস্তফা জামান জানান, আগাম আমন চাষ করে তুলনামুলকভাবে ধানের চেয়ে কাড়ির দাম বেশী হওয়ায় এ ধান চাষ করে লাভবান হয়েছি ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন আহম্মেদ বলেন, আগাম ধান চাষের শুরু থেকেই অনুকুল আবহাওয়ার কারনে এ ধান উৎপাদনে কৃষকের খরচ কম হয়েছে। এ ছাড়া কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের সকল উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদেও মাঝে বীজ সার প্রণোদনাসহ বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দিয়ে চাষিদেরকে আমন ধান চাষে উদ্বুদ্ধ করেছেন।
যে কারণে চলতি আমন মওশুমে ৬ হাজার ২শত ২৫ হেক্টর জমিতে এ ধান চাষ করেছে কৃষকেরা। ধানের ফলনও ভাল হয়েছে শুরু হয়েছে কাটামাড়াই। আগামীতে এ ধান চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে।