ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
এ বছর নাটোরের লালপুরে অতি বৃষ্টির কারণে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না আগাম শীতকালীন সবজি। সবজি চাষে পিছিয়ে পড়েছে ও আর্থিকভাবে কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়েছে লালপুরের কৃষকরা। প্রতিবছর অক্টোবর মাসের শুরুতেই চাষিরা প্রচুর পরিমাণে শীতকালীন সবজি পাইকারী বাজারসহ বিভিন্ন হাটে-বাজারে নিয়ে আসতেন। অথচ এবার সবজির পাইকারী বাজারে সামান্য শিম ও বরবটি ছাড়া অন্য কোনো শীতকালীন সবজির দেখা মেলেনি। চাষিরা বলছেন, অতিবৃষ্টিতে বার বার সবজি খেত নষ্ট হয়েছে। এছাড়া চরাঞ্চলে বন্যার কারণে আগাম সবজি চাষ সম্ভব হয়নি। এদিকে শীতকালীন সবজি বাজারে না আসায় শাক-সবজির দাম আকাশ ছোয়া।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, এবছর ৮৫০ হেক্টর জমিতে শিম, বরবটি, বেগুন, লাউ, ফুল কপি, বাঁধা কপি, মুলা, টমেটো, পালং শাক, লালশাক ইত্যাদি শীতকালীন শাক-সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৭৫০ হেক্টর জমিতে শাক-সবজি আবাদ হয়েছে। অন্য বছর অক্টোবর মাসেই অনেক চাষি সবজি বাজারজাত করেছেন। অথচ এবছর শাক-সবজি বাজারজাত করা তো দূরের কথা অনেকে বৃষ্টির পানির কারণে সবজি চাষ শুরুই করতে পারেননি।
উপজেলার নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের কৃষি বিভাগের তথ্যমতে চলতি বছর জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাসের ৯ তারিখ পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে ৭৯ দিন। এতে ৬০ ইঞ্চি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। অথচ গত বছর এ সময়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৫৮ দিন। বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৫১.৬৬ ইঞ্চি।
বোয়ালিয়া পাড়া গ্রামের ইউনুস আলী সবজি চাষি, শ্রীরাম গাড়ি গ্রামের রবিউল ইসলামসহ অন্যরা বলেন, ‘আগাম সবজি চাষ তো দূরের কথা। বৃষ্টির কারণে সবজির আবাদ শুরুই করতে পারিনি। দুই দিন একটু রোদে জমি শুকালে পরে আবার বৃষ্টির পানিতে যা তা হয়ে যায়।’ তারা জানান, হাতে গোনা দু’চারজন চাষি শিম ও বরবটির আবাদ করেছেন।
রাধাকান্ত গ্রামের সুমন মিয়া বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে দেরিতে শিম চাষ করেছি। এখনও বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে শিম খেতে পানি জমে আছে।’
গত বৃহস্পতিবার উপজেলার সবচেয়ে বড় সবজির আড়ৎ আবেদ মোড়ে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে, অন্য বছরের মতো শীতকালীন সবজি এবছর অড়তে আসছে না। সামান্য কিছু শিম ও বরবটি আসছে। তারা জানান সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাত্র ২০-২৫ কেজি শিম ও ১০-১২ কেজি বরবটি কিনেছেন। আড়তে প্রতি কেজি শিম ১৩০ টাকা ও বরবটি ৮০-৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
এ বছর নাটোরের লালপুরে অতি বৃষ্টির কারণে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না আগাম শীতকালীন সবজি। সবজি চাষে পিছিয়ে পড়েছে ও আর্থিকভাবে কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়েছে লালপুরের কৃষকরা। প্রতিবছর অক্টোবর মাসের শুরুতেই চাষিরা প্রচুর পরিমাণে শীতকালীন সবজি পাইকারী বাজারসহ বিভিন্ন হাটে-বাজারে নিয়ে আসতেন। অথচ এবার সবজির পাইকারী বাজারে সামান্য শিম ও বরবটি ছাড়া অন্য কোনো শীতকালীন সবজির দেখা মেলেনি। চাষিরা বলছেন, অতিবৃষ্টিতে বার বার সবজি খেত নষ্ট হয়েছে। এছাড়া চরাঞ্চলে বন্যার কারণে আগাম সবজি চাষ সম্ভব হয়নি। এদিকে শীতকালীন সবজি বাজারে না আসায় শাক-সবজির দাম আকাশ ছোয়া।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, এবছর ৮৫০ হেক্টর জমিতে শিম, বরবটি, বেগুন, লাউ, ফুল কপি, বাঁধা কপি, মুলা, টমেটো, পালং শাক, লালশাক ইত্যাদি শীতকালীন শাক-সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৭৫০ হেক্টর জমিতে শাক-সবজি আবাদ হয়েছে। অন্য বছর অক্টোবর মাসেই অনেক চাষি সবজি বাজারজাত করেছেন। অথচ এবছর শাক-সবজি বাজারজাত করা তো দূরের কথা অনেকে বৃষ্টির পানির কারণে সবজি চাষ শুরুই করতে পারেননি।
উপজেলার নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের কৃষি বিভাগের তথ্যমতে চলতি বছর জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাসের ৯ তারিখ পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে ৭৯ দিন। এতে ৬০ ইঞ্চি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। অথচ গত বছর এ সময়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৫৮ দিন। বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৫১.৬৬ ইঞ্চি।
বোয়ালিয়া পাড়া গ্রামের ইউনুস আলী সবজি চাষি, শ্রীরাম গাড়ি গ্রামের রবিউল ইসলামসহ অন্যরা বলেন, ‘আগাম সবজি চাষ তো দূরের কথা। বৃষ্টির কারণে সবজির আবাদ শুরুই করতে পারিনি। দুই দিন একটু রোদে জমি শুকালে পরে আবার বৃষ্টির পানিতে যা তা হয়ে যায়।’ তারা জানান, হাতে গোনা দু’চারজন চাষি শিম ও বরবটির আবাদ করেছেন।
রাধাকান্ত গ্রামের সুমন মিয়া বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে দেরিতে শিম চাষ করেছি। এখনও বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে শিম খেতে পানি জমে আছে।’
গত বৃহস্পতিবার উপজেলার সবচেয়ে বড় সবজির আড়ৎ আবেদ মোড়ে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে, অন্য বছরের মতো শীতকালীন সবজি এবছর অড়তে আসছে না। সামান্য কিছু শিম ও বরবটি আসছে। তারা জানান সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাত্র ২০-২৫ কেজি শিম ও ১০-১২ কেজি বরবটি কিনেছেন। আড়তে প্রতি কেজি শিম ১৩০ টাকা ও বরবটি ৮০-৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।