ঢাকা-আরিচা-পাটুরিয়া মহাসড়কে দুর্ঘটনা এখন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে। গত তিন মাসে এই রুটে সড়ক দুর্ঘটনার কারণে হাইওয়ে পুলিশ প্রসিকিউশন মামলা করেছে সর্বমোট ৮৭২টি এবং জড়িমানা আদায় করেছে ৩২ লক্ষ টাকা একই সাথে নিয়মিত মামলা করেছে ১২টি। গত তিন মাসে এই মহাসড়কে চলাচলরত বিভিন্ন ধরনের পরিবহনের খোজ-খবর নিয়ে জানা গেছে নানান চাঞ্চল্যকর তথ্য। মাত্র ৬৪টি গাড়ির রুট পারমিট নিয়ে চালানো হচ্ছে ২৯৪টি। একই রুটে চলাচলরত কিছু বাসের নেই রুট পারমিট ও ফিটনেস। মাত্র ৭৫ কিলোমিটারের রাস্তায় রুট পারমিট ও ফিটনেস বিহীন পাচশতাধিক বাস চলছে। রুট পারমিট ও ফিটনেসবিহীন বাসই দুর্ঘটনার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে একাধিকসূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা গেছে, মহাসড়কের আরিচা-পাটুরিয়া ও মানিকগঞ্জ এলাকার মধ্যেই গত তিন মাসে বিভিন্ন বাস দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে। যাতে প্রাণ গেছে কমপক্ষে ৮ জনের এবং আহত হয়েছেন শতাধিক। জেলার গোলড়া, মুলজান মোড়, তরা, ফলসাটিয়া , গিলন্ড , পুখুরিয়া, টেপড়া, উথলী মোড়, পাটুরিয়া মোড় ও পাটুরিয়া আরসিএল মোড়সহ বেশ কিছু স্থানে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। অতি সম্প্রতি আরসিএল মোড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় উদীয়মান ছাত্র রিয়াদ। পিতা-মাতার একমাত্র সন্তান ছিল সে। দুর্ঘটনার বিষয়টি নিয়ে এবং দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্থানিয় এলাকাবাসী সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছিল। মানববন্ধনে বক্তারা রুট পারমিট ও ফিটনেস বিহীন গাড়ি সড়কে চলাচল নিষিদ্ধের দাবি তুললেও তা কর্তৃপক্ষের নজর কারেনি।
এই রুটে চলাচলরত সেলফি, নীলাচল,যাত্রীসেবা, সেবালিং, শেফালী, পদ্মা লাইন, প্লাস, স্বপ্নসহ বিভিন্ন লোকাল বাসের মধ্যে সেলফি বাসের দুর্ঘটনার হার সবচেয়ে বেশি বলে জানা যায়। অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন ড্রাইভার, প্রতিযোগীতা করে এলোমেলো গাড়ি রাখা, সময় স্বল্পতার কারণে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোই দুর্ঘটনার কারণ বলে পরিবহন সংস্লিষ্ট অনেকেই বলেছেন। এই মহাসড়কে সেলফি, নীলাচলসহ প্রায় ৫শ’ বিভিন্ন নামের লোকাল বাস ডাইরেক্ট ঢাকা নাম নিয়ে চলাচল করছে। যাদের বেশির ভাগরই রুট পারমিট ও ফিটনেস নেই। নেই দক্ষ চালক। আরিচা ও পাটুরিয়া হতে গাবতলী পর্যন্ত মাত্র ৭৫ কিলোমিটার রাস্তায় এতা বিপুল সংখ্যক গাড়ি চলাও দুর্ঘনার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন সংস্লিষ্টরা। এছাড়াও রয়েছে পাটুরিয়া হয়ে দক্ষিণাঞ্চলে চলাচলরত বিভিন্ন দ্রুতগামী পরিবহন। তারা আরও বলেছেন, মাত্র ২-৪ মিনিট পর-পর গাড়ি ছাড়ায় রাস্তায় যাত্রী ধরতে অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন ড্রাইভাররা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালায় এবং দ্রুত ওভারটেকিং করতে গেলেও দুর্ঘটনায় পতিত হয়।
এই বিষয়ে বিআরটিএর ঢাকা জেলার সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পাটুরিয়া হতে ঢাকা চলাচলের জন্য মাত্র ৬৪ সেলফি গাড়ির রুট পারমিট দেয়া হয়েছে। নীলাচল পরিবহনের কোন রুট পারমিট নেই। এসব পরিবহনসহ অন্য রুট পারমিট বিহীন গাড়ি কিভাবে চলে সেটা দেখবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে সুষ্টু পরিবহন ব্যাবস্থার জন্য গাড়ির ফিটনেসসহ সব কাগজপত্র থাকা এবং দক্ষ ও লাইসেন্সধারী ড্রাইভার অত্যন্ত জরুরি বলেও তিনি মনে করেন। বিষয়গুলো বাস্তবায়নের জন্য কাজ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে সেলফি পরিবহনের পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের সব গাড়িরই রুট পারমিট আছে। রুট পারমিট ছাড়া গাড়ি চলেনা। অনেকের ফরিদপুর, বরিশাল, কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন জায়গার নামে রুট পারমিট নেয়া আছে। কিন্তু বেশির ভাগ সেলফিই গাবতলী হতে পাটুরিয়া পর্যন্ত চলে।
এসব ব্যাপারে বরংগাইল হাইওয়ে পুলিশের ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং গোলড়া হাইওয়ে পুলিশের ওসি দেওয়ান কৌশিক আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চললে আমরা আইনগত ভাবে তাদের নামে মামলা এবং জড়িমানা করে থাকি। তাছাড়াও সব যানবাহনের কাগজপত্র আপডেট করার জন্য নিয়মিত তদারকি করছি।
এই বিষয়ে ঢাকা রিজিয়ন হাইওয়ে পুলিশের এসপি ডক্টর আকতার উজ্জামান বসনিয়া এই প্রতিনিধিকে বলেছেন, মহাসড়কে কোন ধরনের অবৈধ গাড়ি যাতে চলতে না পারে আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। আপনার আরও কিছু জানার থাকলে আপনি আমার অফিসে আসেন।
সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
ঢাকা-আরিচা-পাটুরিয়া মহাসড়কে দুর্ঘটনা এখন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে। গত তিন মাসে এই রুটে সড়ক দুর্ঘটনার কারণে হাইওয়ে পুলিশ প্রসিকিউশন মামলা করেছে সর্বমোট ৮৭২টি এবং জড়িমানা আদায় করেছে ৩২ লক্ষ টাকা একই সাথে নিয়মিত মামলা করেছে ১২টি। গত তিন মাসে এই মহাসড়কে চলাচলরত বিভিন্ন ধরনের পরিবহনের খোজ-খবর নিয়ে জানা গেছে নানান চাঞ্চল্যকর তথ্য। মাত্র ৬৪টি গাড়ির রুট পারমিট নিয়ে চালানো হচ্ছে ২৯৪টি। একই রুটে চলাচলরত কিছু বাসের নেই রুট পারমিট ও ফিটনেস। মাত্র ৭৫ কিলোমিটারের রাস্তায় রুট পারমিট ও ফিটনেস বিহীন পাচশতাধিক বাস চলছে। রুট পারমিট ও ফিটনেসবিহীন বাসই দুর্ঘটনার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে একাধিকসূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা গেছে, মহাসড়কের আরিচা-পাটুরিয়া ও মানিকগঞ্জ এলাকার মধ্যেই গত তিন মাসে বিভিন্ন বাস দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে। যাতে প্রাণ গেছে কমপক্ষে ৮ জনের এবং আহত হয়েছেন শতাধিক। জেলার গোলড়া, মুলজান মোড়, তরা, ফলসাটিয়া , গিলন্ড , পুখুরিয়া, টেপড়া, উথলী মোড়, পাটুরিয়া মোড় ও পাটুরিয়া আরসিএল মোড়সহ বেশ কিছু স্থানে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। অতি সম্প্রতি আরসিএল মোড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় উদীয়মান ছাত্র রিয়াদ। পিতা-মাতার একমাত্র সন্তান ছিল সে। দুর্ঘটনার বিষয়টি নিয়ে এবং দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্থানিয় এলাকাবাসী সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছিল। মানববন্ধনে বক্তারা রুট পারমিট ও ফিটনেস বিহীন গাড়ি সড়কে চলাচল নিষিদ্ধের দাবি তুললেও তা কর্তৃপক্ষের নজর কারেনি।
এই রুটে চলাচলরত সেলফি, নীলাচল,যাত্রীসেবা, সেবালিং, শেফালী, পদ্মা লাইন, প্লাস, স্বপ্নসহ বিভিন্ন লোকাল বাসের মধ্যে সেলফি বাসের দুর্ঘটনার হার সবচেয়ে বেশি বলে জানা যায়। অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন ড্রাইভার, প্রতিযোগীতা করে এলোমেলো গাড়ি রাখা, সময় স্বল্পতার কারণে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোই দুর্ঘটনার কারণ বলে পরিবহন সংস্লিষ্ট অনেকেই বলেছেন। এই মহাসড়কে সেলফি, নীলাচলসহ প্রায় ৫শ’ বিভিন্ন নামের লোকাল বাস ডাইরেক্ট ঢাকা নাম নিয়ে চলাচল করছে। যাদের বেশির ভাগরই রুট পারমিট ও ফিটনেস নেই। নেই দক্ষ চালক। আরিচা ও পাটুরিয়া হতে গাবতলী পর্যন্ত মাত্র ৭৫ কিলোমিটার রাস্তায় এতা বিপুল সংখ্যক গাড়ি চলাও দুর্ঘনার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন সংস্লিষ্টরা। এছাড়াও রয়েছে পাটুরিয়া হয়ে দক্ষিণাঞ্চলে চলাচলরত বিভিন্ন দ্রুতগামী পরিবহন। তারা আরও বলেছেন, মাত্র ২-৪ মিনিট পর-পর গাড়ি ছাড়ায় রাস্তায় যাত্রী ধরতে অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন ড্রাইভাররা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালায় এবং দ্রুত ওভারটেকিং করতে গেলেও দুর্ঘটনায় পতিত হয়।
এই বিষয়ে বিআরটিএর ঢাকা জেলার সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পাটুরিয়া হতে ঢাকা চলাচলের জন্য মাত্র ৬৪ সেলফি গাড়ির রুট পারমিট দেয়া হয়েছে। নীলাচল পরিবহনের কোন রুট পারমিট নেই। এসব পরিবহনসহ অন্য রুট পারমিট বিহীন গাড়ি কিভাবে চলে সেটা দেখবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে সুষ্টু পরিবহন ব্যাবস্থার জন্য গাড়ির ফিটনেসসহ সব কাগজপত্র থাকা এবং দক্ষ ও লাইসেন্সধারী ড্রাইভার অত্যন্ত জরুরি বলেও তিনি মনে করেন। বিষয়গুলো বাস্তবায়নের জন্য কাজ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে সেলফি পরিবহনের পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের সব গাড়িরই রুট পারমিট আছে। রুট পারমিট ছাড়া গাড়ি চলেনা। অনেকের ফরিদপুর, বরিশাল, কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন জায়গার নামে রুট পারমিট নেয়া আছে। কিন্তু বেশির ভাগ সেলফিই গাবতলী হতে পাটুরিয়া পর্যন্ত চলে।
এসব ব্যাপারে বরংগাইল হাইওয়ে পুলিশের ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং গোলড়া হাইওয়ে পুলিশের ওসি দেওয়ান কৌশিক আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চললে আমরা আইনগত ভাবে তাদের নামে মামলা এবং জড়িমানা করে থাকি। তাছাড়াও সব যানবাহনের কাগজপত্র আপডেট করার জন্য নিয়মিত তদারকি করছি।
এই বিষয়ে ঢাকা রিজিয়ন হাইওয়ে পুলিশের এসপি ডক্টর আকতার উজ্জামান বসনিয়া এই প্রতিনিধিকে বলেছেন, মহাসড়কে কোন ধরনের অবৈধ গাড়ি যাতে চলতে না পারে আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। আপনার আরও কিছু জানার থাকলে আপনি আমার অফিসে আসেন।