alt

হাত-পা বিহীন ফজলুল করিম জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করা এক অদম্য মানুষ

প্রতিনিধি, আমতলী (বরগুনা) : বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

জীবনে সংগ্রাম না থাকলে সফলতার মূল্য বোঝা যায় না। কিন্তু কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা প্রতিকূলতার মধ্যেও জীবনের আসল অর্থ খুঁজে পান নিজের পরিশ্রম ও ইচ্ছাশক্তিতে। তেমনই এক মানুষ বরগুনার আমতলী উপজেলার কেওয়া বুনিয়া গ্রামের ফজলুল করিম। জন্মগতভাবে সুস্থ হলেও এক দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন দুটি অঙ্গ-একটি হাত ও একটি পা। তবুও থেমে যাননি তিনি। অন্যের দয়ার ভিক্ষা নয়, নিজের পরিশ্রমেই জীবনের হাল ধরেছেন এই অদম্য মানুষটি। ফজলুল করিম আমতলী উপজেলার ২নং কুকুয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কেওয়াবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। সাত ভাই-বোনের মধ্যে তিনি পঞ্চম। ১৯৯৩ সালে, মাত্র ১১ বছর বয়সে, ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় এক ভয়াবহ বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনায় তিনি একটি হাত ও একটি পা হারান। শৈশবেই এমন নির্মম পরিণতি তাঁর জীবনের গতিপথ সম্পূর্ণ বদলে দেয়। বহুদিন চিকিৎসা ও কষ্টের পর তিনি সুস্থ হন ঠিকই, কিন্তু আর কোনোদিন পূর্ণভাবে হাঁটতে বা কাজ করতে পারেননি। তবে এই সীমাবদ্ধতা তাঁর জীবনের লক্ষ্য থামিয়ে দিতে পারেনি। ফজলুল করিম বলেন, আমি কারও বোঝা হতে চাই না। নিজের পরিশ্রমেই বাঁচতে চাই। অঙ্গ হারিয়ে জীবন শেষ হয়ে যায়নি-এটাই আমি প্রমাণ করতে চাই। আমার ভবিষ্যৎ পর জন্ম যেন কখনো মাথা নিচু করে আমার জন্য হাঁটতে না হয়। তাঁর এই অদম্য মানসিকতাই তাঁকে নতুনভাবে জীবন শুরু করার সাহস জুগিয়েছে। ২০০৫ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। বর্তমানে দুই কন্যা সন্তানের জনক ফজলুল করিম নিজের পরিবার, সন্তানদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবেন প্রতিনিয়ত।

নিজের জীবিকা নির্বাহের জন্য ফজলুল করিম সিদ্ধান্ত নেন স্বনির্ভর হওয়ার। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও তিনি বাড়ির কাছেই-পূর্ব কেওয়া বুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে-একটি ছোট দোকান গড়ে তোলেন। দোকানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যেমন স্কুল শিক্ষার্থীদের নানারকম খাবার বিক্রি করেন তিনি। প্রতিদিন সকালে দোকান খোলেন, স্থানীয় শিক্ষার্থী, স্কুলের শিক্ষক, কৃষক ও পথচারীরা তার ক্রেতা। নিজের পরিশ্রমে অর্জিত প্রতিটি টাকাই তাঁর কাছে আত্মসম্মান ও গর্বের প্রতীক।

তবে সম্প্রতি তাঁর জীবনে নেমে এসেছে নতুন দুঃখের অধ্যায়। একবার নয়, দুইবার তাঁর দোকানে চুরি হয়েছে। চোরেরা দোকানের প্রায় সব মালামাল নিয়ে যায়। এতে তাঁর ক্ষতি হয় প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার মতো। চুরির পর থেকে দোকানে বেশি মাল তুলতে পারছি না।

ছবি

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচিত হলো ‘এআই পার্টি ফোন’ রিয়েলমি ১৫ সিরিজ

ছবি

জরাজীর্ণ অবস্থায় পাথরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

ছবি

পোরশায় খাস পুকুরের দন্দে বৃদ্ধ নিহত

ছবি

ভালুকায় বাণিজ্যিকভাবে কলা চাষে লাভবান কৃষক

ছবি

আখের রস বিক্রি করে সংসার চলে কাশেমের

ছবি

জীবনের বৈঠা হাতে লিয়াকত মাঝি পেট চলে না তবুও হাসি আছে মুখে

ছবি

মধুপুর গড় থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন জাতের প্রাকৃতিক বন আলু

ছবি

শিক্ষার্থীদের হাত ধোয়ালেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন

ছবি

খোকসায় বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে কৃষকের মৃত্যু

ছবি

দুর্গাপুরে প্রধান শিক্ষকের রহস্যজনক মৃত্যু দোষীদের বিচারের দাবীতে মানববন্ধন

ছবি

নাটোরে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় আটক ৭

ছবি

বেতাগী সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পিন্টু গ্রেপ্তার

ছবি

বিরামপুরে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল অটোচালকের

ছবি

সুন্দরগঞ্জে কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ

ছবি

সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতাকে হত্যার চেষ্টা, এলাকাবাসির মানববন্ধন

ছবি

মোরেলগঞ্জে ২১শ’ জেলে পরিবার পাচ্ছেন মানবিক সহায়তা

ছবি

সাটুরিয়া উপজেলায় এলজিইডির কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ছবি

ব্রহ্মপুত্রের চর জুড়ে কাশফুল ইকো ট্যুরিজমের নতুন দিগন্ত

ছবি

অ্যানথ্রাক্সের রহস্য উদ্ঘাটনে মাঠে বাকৃবির গবেষকরা

ছবি

দশমিনায় সড়কের পাশে শীতকালীন সবজির আবাদ, লাভবান কৃষক

ছবি

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার প্রতিযোগিতায় অসাধু জেলেরা

ছবি

পোরশায় প্রায় রাতেই হচ্ছে ডাকাতি, আতঙ্কে এলাকাবাসী

ছবি

ডিমলা হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে ফ্যান দিলেন ইউএনও

চুনারুঘাটে ভারতে প্রবেশের সময় যুবক আটক

ছবি

নড়াইলে আ’লীগ নেতা মুক্তির জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ

ছবি

কলমাকান্দায় সাপের কামড়ে প্রাণ গেল শিশুর

ছবি

ভারতে ৩ বাংলাদেশিকে কুপিয়ে হত্যা

ছবি

লক্ষ্মীপুরে বাস কাউন্টার দখল নিয়ে যুবদলের দুই পক্ষে সংঘর্ষ, আহত ২০

ছবি

বোয়ালখালীতে পুলিশ পরিচয়ে দুই বসতঘরে ডাকাতি

ছবি

দেবিদ্বারে মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেল ৭১ রাউন্ড গুলি

ছবি

লালপুরে খেজুর গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত গাছিরা

ছবি

আগাম ধানে কৃষকের মুখে হাসি

ছবি

শৈলকুপায় জমি অধিগ্রহণে ভিটেমাটি হারানোর শঙ্কায় নাসিমা খাতুন

ছবি

সংবাদ প্রকাশের পর চান্দিনা পৌর ভবনের নির্মাণাধীন এসএস গেইট ও গ্রিল অপসারণ

ছবি

উলিপুরে ৬১৪ বস্তা নকল টিএসপি সার ধ্বংস

ছবি

বরুড়ায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে সহায়ক উপকরণ বিতরণ

tab

হাত-পা বিহীন ফজলুল করিম জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করা এক অদম্য মানুষ

প্রতিনিধি, আমতলী (বরগুনা)

বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

জীবনে সংগ্রাম না থাকলে সফলতার মূল্য বোঝা যায় না। কিন্তু কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা প্রতিকূলতার মধ্যেও জীবনের আসল অর্থ খুঁজে পান নিজের পরিশ্রম ও ইচ্ছাশক্তিতে। তেমনই এক মানুষ বরগুনার আমতলী উপজেলার কেওয়া বুনিয়া গ্রামের ফজলুল করিম। জন্মগতভাবে সুস্থ হলেও এক দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন দুটি অঙ্গ-একটি হাত ও একটি পা। তবুও থেমে যাননি তিনি। অন্যের দয়ার ভিক্ষা নয়, নিজের পরিশ্রমেই জীবনের হাল ধরেছেন এই অদম্য মানুষটি। ফজলুল করিম আমতলী উপজেলার ২নং কুকুয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কেওয়াবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। সাত ভাই-বোনের মধ্যে তিনি পঞ্চম। ১৯৯৩ সালে, মাত্র ১১ বছর বয়সে, ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় এক ভয়াবহ বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনায় তিনি একটি হাত ও একটি পা হারান। শৈশবেই এমন নির্মম পরিণতি তাঁর জীবনের গতিপথ সম্পূর্ণ বদলে দেয়। বহুদিন চিকিৎসা ও কষ্টের পর তিনি সুস্থ হন ঠিকই, কিন্তু আর কোনোদিন পূর্ণভাবে হাঁটতে বা কাজ করতে পারেননি। তবে এই সীমাবদ্ধতা তাঁর জীবনের লক্ষ্য থামিয়ে দিতে পারেনি। ফজলুল করিম বলেন, আমি কারও বোঝা হতে চাই না। নিজের পরিশ্রমেই বাঁচতে চাই। অঙ্গ হারিয়ে জীবন শেষ হয়ে যায়নি-এটাই আমি প্রমাণ করতে চাই। আমার ভবিষ্যৎ পর জন্ম যেন কখনো মাথা নিচু করে আমার জন্য হাঁটতে না হয়। তাঁর এই অদম্য মানসিকতাই তাঁকে নতুনভাবে জীবন শুরু করার সাহস জুগিয়েছে। ২০০৫ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। বর্তমানে দুই কন্যা সন্তানের জনক ফজলুল করিম নিজের পরিবার, সন্তানদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবেন প্রতিনিয়ত।

নিজের জীবিকা নির্বাহের জন্য ফজলুল করিম সিদ্ধান্ত নেন স্বনির্ভর হওয়ার। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও তিনি বাড়ির কাছেই-পূর্ব কেওয়া বুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে-একটি ছোট দোকান গড়ে তোলেন। দোকানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যেমন স্কুল শিক্ষার্থীদের নানারকম খাবার বিক্রি করেন তিনি। প্রতিদিন সকালে দোকান খোলেন, স্থানীয় শিক্ষার্থী, স্কুলের শিক্ষক, কৃষক ও পথচারীরা তার ক্রেতা। নিজের পরিশ্রমে অর্জিত প্রতিটি টাকাই তাঁর কাছে আত্মসম্মান ও গর্বের প্রতীক।

তবে সম্প্রতি তাঁর জীবনে নেমে এসেছে নতুন দুঃখের অধ্যায়। একবার নয়, দুইবার তাঁর দোকানে চুরি হয়েছে। চোরেরা দোকানের প্রায় সব মালামাল নিয়ে যায়। এতে তাঁর ক্ষতি হয় প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার মতো। চুরির পর থেকে দোকানে বেশি মাল তুলতে পারছি না।

back to top